০৮:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

ঋণের নথি সংরক্ষণে গাফিলতি, সতর্ক করল বাংলাদেশ ব্যাংক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৪৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২
  • / ৪১৫৫ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ছবি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের বিতরণ করা ঋণ আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ–সংক্রান্ত নথিপত্র যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকার বেশি ঋণের নথি নির্দিষ্ট শাখার পাশাপাশি বিকল্প কোনো স্থানে সংরক্ষণের নির্দেশনা দিয়েছে। প্রয়োজনে এসব নথি অনলাইনেও সংরক্ষণ করা যাবে বলে এক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, আলোচিত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার আর্থিক প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স ফাইন্যান্স (আভিভা ফাইন্যান্স), এফএএস ফাইন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) থেকে নামে-বেনামে যে ঋণ বের করেছেন, তার অনেকগুলোর নথিই এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমন আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। সে জন্য এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ঋণ তদারকি ও অর্থ আদায়ে জটিলতা দেখা দিলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পরবর্তীকালে ঋণ বিতরণসংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রমের জন্য নথি ঋণ বিতরণকারী সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যথাযথভাবে সংরক্ষিত থাকা অত্যাবশ্যক। কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে, কোনো কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণের নথি যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করায় নানাবিধ জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে।

এ জন্য বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে রয়েছে—প্রতিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তাদের বিতরণ করা ঋণ হিসাবের আবেদন, ঋণ প্রস্তাব মূল্যায়ন, অনুমোদন, নবায়ন, পুনঃ তফসিল বা পুনর্গঠন, ঋণ অবলোপন, সুদ মওকুফের জন্য পর্ষদ সভায় উপস্থাপিত স্মারক ও সভার সিদ্ধান্ত এবং ঋণের হিসাব বিবরণী সংশ্লিষ্ট ঋণ আদায়ের মাধ্যমে সমন্বয় না হওয়া পর্যন্ত যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। ৫০ লাখ টাকা ও এর বেশি অঙ্কের ঋণের ক্ষেত্রে যে শাখার মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে, সে শাখা ছাড়াও কমপক্ষে একটি বিকল্প শাখা অফিস বা প্রধান কার্যালয়ে নথি সংরক্ষণ করতে হবে। ঋণের নথির অনুলিপি অনলাইন মাধ্যমেও সংরক্ষণ করা যাবে।

নীতিমালা অনুযায়ী বিতরণ করা ঋণের নথি যথাযথভাবে সংরক্ষিত আছে কি না, তা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষার মাধ্যমে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে যাচাই করে নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে উপস্থাপন করতে হবে। নিরীক্ষায় নথি যথাযথভাবে সংরক্ষণে কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে নিরীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপনের সাত কর্মদিবসের মধ্যে তা ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করবেন।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

ঋণের নথি সংরক্ষণে গাফিলতি, সতর্ক করল বাংলাদেশ ব্যাংক

আপডেট: ১১:৪৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের বিতরণ করা ঋণ আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ–সংক্রান্ত নথিপত্র যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকার বেশি ঋণের নথি নির্দিষ্ট শাখার পাশাপাশি বিকল্প কোনো স্থানে সংরক্ষণের নির্দেশনা দিয়েছে। প্রয়োজনে এসব নথি অনলাইনেও সংরক্ষণ করা যাবে বলে এক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, আলোচিত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার আর্থিক প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স ফাইন্যান্স (আভিভা ফাইন্যান্স), এফএএস ফাইন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) থেকে নামে-বেনামে যে ঋণ বের করেছেন, তার অনেকগুলোর নথিই এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমন আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। সে জন্য এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ঋণ তদারকি ও অর্থ আদায়ে জটিলতা দেখা দিলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পরবর্তীকালে ঋণ বিতরণসংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রমের জন্য নথি ঋণ বিতরণকারী সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যথাযথভাবে সংরক্ষিত থাকা অত্যাবশ্যক। কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে, কোনো কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণের নথি যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করায় নানাবিধ জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে।

এ জন্য বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে রয়েছে—প্রতিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তাদের বিতরণ করা ঋণ হিসাবের আবেদন, ঋণ প্রস্তাব মূল্যায়ন, অনুমোদন, নবায়ন, পুনঃ তফসিল বা পুনর্গঠন, ঋণ অবলোপন, সুদ মওকুফের জন্য পর্ষদ সভায় উপস্থাপিত স্মারক ও সভার সিদ্ধান্ত এবং ঋণের হিসাব বিবরণী সংশ্লিষ্ট ঋণ আদায়ের মাধ্যমে সমন্বয় না হওয়া পর্যন্ত যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। ৫০ লাখ টাকা ও এর বেশি অঙ্কের ঋণের ক্ষেত্রে যে শাখার মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে, সে শাখা ছাড়াও কমপক্ষে একটি বিকল্প শাখা অফিস বা প্রধান কার্যালয়ে নথি সংরক্ষণ করতে হবে। ঋণের নথির অনুলিপি অনলাইন মাধ্যমেও সংরক্ষণ করা যাবে।

নীতিমালা অনুযায়ী বিতরণ করা ঋণের নথি যথাযথভাবে সংরক্ষিত আছে কি না, তা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষার মাধ্যমে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে যাচাই করে নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে উপস্থাপন করতে হবে। নিরীক্ষায় নথি যথাযথভাবে সংরক্ষণে কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে নিরীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপনের সাত কর্মদিবসের মধ্যে তা ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করবেন।

ঢাকা/টিএ