০৭:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪

ঋণের ৯ শতাংশ সুদহার সীমা তুলে নিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৪৪:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩
  • / ১০৩১০ বার দেখা হয়েছে

নিয়ন্ত্রণের শত চেষ্টার পরও নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে চলেছে। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা পিষ্ট। ফলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ঋণ সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে ঋণের ৯ শতাংশ সুদহার সীমা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রোববার (১৮ জুন) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ ব্যাংকে সংবাদ সম্মেলেনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) ‘মনিটারি পলিসি স্টেটমেন্ট (এমপিএস)’ প্রকাশ করেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। এসময় এ কথা জানান তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, এবার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে জোর দেয়া হয়েছে। তাই সুদের হার নিয়ে নতুন ঘোষণা দেয়া হলো। ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদের হার সীমা তুলে নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ব্যাংক ঋণে বিদ্যমান ৯ শতাংশ সুদহারের সীমা তুলে দেয়া হয়েছে। সেটা যৌক্তিক পর্যায়ে নেয়া হয়েছে। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে তা কার্যকর হবে। এতে ব্যাংকের সুদহার বেড়েছে। মুদ্রানীতিতে নতুন সুদের হার রয়েছে। আগামী ৬ মাস ঋণ প্রবাহ সতর্কতার সঙ্গে দেখা হবে। স্বাভাবিকভাবেই যা সুদহার বাড়ানোর কৌশল।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। যার অন্যতম শর্ত সুদহার বাজারভিত্তিক করা। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক গবেষণা প্রতিবেদনেও সুদহারের সীমা প্রত্যাহার কিংবা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়।

আরও পড়ুন: সুদহার বাড়িয়ে মুদ্রানীতি ঘোষণা

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সুদহার পুরো বাজারভিত্তিক করে চাপ সামাল দেয়া কঠিন হবে। ফলে তা হচ্ছে না। নতুন এক পদ্ধতি চালু হবে। সেটা হলো ‘স্মার্ট’ তথা শর্ট টার্ম মুভিং এভারেজ রেট।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নি‌র্দেশনা অনুযায়ী, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ঋণের সর্বোচ্চ সীমা ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে ডেপুটি গভর্নরসহ বিএফআইইউয়ের প্রধান কর্মকর্তা, চিফ ইকোনমিস্ট, গবেষণা বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উপস্থিত রয়েছেন।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

ঋণের ৯ শতাংশ সুদহার সীমা তুলে নিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

আপডেট: ০৭:৪৪:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩

নিয়ন্ত্রণের শত চেষ্টার পরও নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে চলেছে। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা পিষ্ট। ফলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ঋণ সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে ঋণের ৯ শতাংশ সুদহার সীমা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রোববার (১৮ জুন) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ ব্যাংকে সংবাদ সম্মেলেনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) ‘মনিটারি পলিসি স্টেটমেন্ট (এমপিএস)’ প্রকাশ করেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। এসময় এ কথা জানান তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, এবার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে জোর দেয়া হয়েছে। তাই সুদের হার নিয়ে নতুন ঘোষণা দেয়া হলো। ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদের হার সীমা তুলে নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ব্যাংক ঋণে বিদ্যমান ৯ শতাংশ সুদহারের সীমা তুলে দেয়া হয়েছে। সেটা যৌক্তিক পর্যায়ে নেয়া হয়েছে। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে তা কার্যকর হবে। এতে ব্যাংকের সুদহার বেড়েছে। মুদ্রানীতিতে নতুন সুদের হার রয়েছে। আগামী ৬ মাস ঋণ প্রবাহ সতর্কতার সঙ্গে দেখা হবে। স্বাভাবিকভাবেই যা সুদহার বাড়ানোর কৌশল।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। যার অন্যতম শর্ত সুদহার বাজারভিত্তিক করা। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক গবেষণা প্রতিবেদনেও সুদহারের সীমা প্রত্যাহার কিংবা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়।

আরও পড়ুন: সুদহার বাড়িয়ে মুদ্রানীতি ঘোষণা

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সুদহার পুরো বাজারভিত্তিক করে চাপ সামাল দেয়া কঠিন হবে। ফলে তা হচ্ছে না। নতুন এক পদ্ধতি চালু হবে। সেটা হলো ‘স্মার্ট’ তথা শর্ট টার্ম মুভিং এভারেজ রেট।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নি‌র্দেশনা অনুযায়ী, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ঋণের সর্বোচ্চ সীমা ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে ডেপুটি গভর্নরসহ বিএফআইইউয়ের প্রধান কর্মকর্তা, চিফ ইকোনমিস্ট, গবেষণা বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উপস্থিত রয়েছেন।

ঢাকা/এসএ