০২:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

এডিবিভুক্ত দেশগুলোকে আরও ৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিবে এডিবি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৩১:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৪১২৪ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: এডিবিভুক্ত দেশগুলোকে আরও ৮ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এডিবি’র স্বাধীন মূল্যায়ন বিভাগ (আইইডি) থেকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, এডিবি আঞ্চলিক অবকাঠামো উন্নয়নকে আরও বেগবান করতে ৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ও অনুদান প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কো-ফাইন্যান্সিং করবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জানা গেছে, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সবসময় সাব রিজিওনাল করিডোর অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করছে। সেই ধারাবাহিকতায় আঞ্চলিক করিডোরের উন্নয়নে আরো ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন করবে এডিবি। প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরে এই অর্থায়নের পরিমাণ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। এডিবি’র সদস্যভুক্ত ৬৮টি দেশ সহজ শর্তের এ ঋণ ব্যবহার করে আঞ্চলিক করিডোর উন্নয়ন করেছে। কনসেশনাল এ ঋণে সুদের হার ২ শতাংশ। এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ব্যবসা-বিনিয়োগ সম্প্রসারণে ওই ঋণ ব্যবহার করা হয়েছে।

গ্রেটার মেকং সাবরিজিয়ন (জিএমএস) প্রোগ্রামের আওতায় এডিবি সাবরিজিওনাল করিডোরে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন করেছে। কর্মসূচির আওতায় এর আগে ২০১২ থেকে ২০২০ মেয়াদে ১৩০ প্রকল্পে ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছিল এডিবি। প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৪ লাখ ৭৬ হাজার কোটি টাকা। উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ আরো প্রসারিত করতে বিভিন্ন ধরনের ইতিবাচক পদক্ষেপও প্রচার করছে সংস্থাটি।

এডিবি’র প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, এডিবি’র প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা প্রোগ্রামটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। জিএমএস কর্মসূচির আওতায় এডিবিভুক্ত দেশগুলোতে ১৩০টি বেশি প্রকল্পে অর্থায়ন করা হয়েছে। যার পরিমাণ ছিল ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফলে উপ-অঞ্চলের অর্থনৈতিক করিডোরগুলোতে অবকাঠামো অনেক উন্নত হয়েছে। নতুন ৮ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নে আরো উন্নত হবে অর্থনৈতিক করিডোরগুলো।

এডিবি’র আইইডি মহাপরিচালক ইমানুয়েল জিমেনেজ বলেন, ‘জিএমএস প্রোগ্রাম দেখিয়েছে কীভাবে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা উন্নত করা যায়। সমবেতভাবে এই কর্মসূচির সুবিধা নিতে পারে দেশগুলো। আঞ্চলিক করিডোরে উভয় দেশ লাভবান হবে।’

এডিবি প্রধান মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ এবং প্রতিবেদনের প্রধান লেখক বিন গুয়েন বলেন, আঞ্চলিক চাহিদার কথা বিবেচনা করে পাইপলাইনে থাকা প্রকল্পগুলো নির্বাচন করা জরুরি। এখানে জাতীয় স্বার্থ না দেখে আঞ্চলিক স্বার্থ দেখা দরকার। দেশ-পর্যায়ের ফলাফল এবং আঞ্চলিক ফলাফলের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট যোগসূত্রসহ আঞ্চলিক উন্নয়ন ফলাফলগুলিকে শক্তিশালী করতে হবে।

ঢাকা/এসআর

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x

এডিবিভুক্ত দেশগুলোকে আরও ৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিবে এডিবি

আপডেট: ০৫:৩১:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: এডিবিভুক্ত দেশগুলোকে আরও ৮ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এডিবি’র স্বাধীন মূল্যায়ন বিভাগ (আইইডি) থেকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, এডিবি আঞ্চলিক অবকাঠামো উন্নয়নকে আরও বেগবান করতে ৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ও অনুদান প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কো-ফাইন্যান্সিং করবে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জানা গেছে, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সবসময় সাব রিজিওনাল করিডোর অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করছে। সেই ধারাবাহিকতায় আঞ্চলিক করিডোরের উন্নয়নে আরো ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন করবে এডিবি। প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরে এই অর্থায়নের পরিমাণ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। এডিবি’র সদস্যভুক্ত ৬৮টি দেশ সহজ শর্তের এ ঋণ ব্যবহার করে আঞ্চলিক করিডোর উন্নয়ন করেছে। কনসেশনাল এ ঋণে সুদের হার ২ শতাংশ। এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ব্যবসা-বিনিয়োগ সম্প্রসারণে ওই ঋণ ব্যবহার করা হয়েছে।

গ্রেটার মেকং সাবরিজিয়ন (জিএমএস) প্রোগ্রামের আওতায় এডিবি সাবরিজিওনাল করিডোরে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন করেছে। কর্মসূচির আওতায় এর আগে ২০১২ থেকে ২০২০ মেয়াদে ১৩০ প্রকল্পে ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছিল এডিবি। প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৪ লাখ ৭৬ হাজার কোটি টাকা। উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ আরো প্রসারিত করতে বিভিন্ন ধরনের ইতিবাচক পদক্ষেপও প্রচার করছে সংস্থাটি।

এডিবি’র প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, এডিবি’র প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা প্রোগ্রামটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। জিএমএস কর্মসূচির আওতায় এডিবিভুক্ত দেশগুলোতে ১৩০টি বেশি প্রকল্পে অর্থায়ন করা হয়েছে। যার পরিমাণ ছিল ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফলে উপ-অঞ্চলের অর্থনৈতিক করিডোরগুলোতে অবকাঠামো অনেক উন্নত হয়েছে। নতুন ৮ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নে আরো উন্নত হবে অর্থনৈতিক করিডোরগুলো।

এডিবি’র আইইডি মহাপরিচালক ইমানুয়েল জিমেনেজ বলেন, ‘জিএমএস প্রোগ্রাম দেখিয়েছে কীভাবে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা উন্নত করা যায়। সমবেতভাবে এই কর্মসূচির সুবিধা নিতে পারে দেশগুলো। আঞ্চলিক করিডোরে উভয় দেশ লাভবান হবে।’

এডিবি প্রধান মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ এবং প্রতিবেদনের প্রধান লেখক বিন গুয়েন বলেন, আঞ্চলিক চাহিদার কথা বিবেচনা করে পাইপলাইনে থাকা প্রকল্পগুলো নির্বাচন করা জরুরি। এখানে জাতীয় স্বার্থ না দেখে আঞ্চলিক স্বার্থ দেখা দরকার। দেশ-পর্যায়ের ফলাফল এবং আঞ্চলিক ফলাফলের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট যোগসূত্রসহ আঞ্চলিক উন্নয়ন ফলাফলগুলিকে শক্তিশালী করতে হবে।

ঢাকা/এসআর