০১:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

এবার বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন অপু

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৩৩:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মে ২০২১
  • / ৪২১৪ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: মাহিয়া মাহির ডিভোর্স হয়েছে দুই বছর আগে। কিন্তু সাবেক স্বামী পারভেজ মাহমুদ অপুর অনুরোধে এতদিন বিষয়টি জানাননি এই নায়িকা। অবশেষে ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে প্রকাশ করলেন বিচ্ছেদের খবর। 

বিচ্ছেদের খবর প্রকাশের পর শুরুতে বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছিলেন অপু। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনিও এ নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেন। পাঠকদের জন্য তার লেখাটি নিচে দেওয়া হলো। একটি সম্পর্ক গড়তে গেলে যেসব গুণ থাকে সেগুলো হলো সততা, ওয়াদা, বিশ্বস্ততা, বন্ধুত্ব, দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা, বোঝার ক্ষমতা, স্বচ্ছতা ও ভালোবাসা, নিজস্ব বিশ্বাস ইত্যাদি। সম্পর্ক হওয়ার পর সেটা পরিবর্তিত হতেই পারে। আমরা বেঁচে আছি সম্পর্ক নিয়ে সম্পর্কের বন্ধনে বন্দি হয়ে। আবার সম্পর্ক কখনও শেষ ও হয় না শুধু পরিবর্তিত হয়।’

বিচ্ছেদ যে কোনও সম্পর্কে যে কোনও সময় আসতে পারে। যে কোনও বিচ্ছেদই কষ্টদায়ক কিন্তু  প্রত্যেক মানুষের নিজের মতো করে বাঁচার স্বাধীনতা রয়েছে। আর এতে করে তিনি/তারা নিজের মতো করে ভালো থাকতেই পারেন। সম্পর্কগুলো স্থায়ী হোক এমনটাই সবাই চায়। কিন্তু বাস্তুবিক তা হয় না। দেখা যায় সারাজীবন দুজন পাশাপাশি থাকার পর মৃত্যু এসে একজনকে নিয়ে যায়। বা দুজনের মতের মিল ও বিশ্বাস আলাদা হলে তখন একসাথে থাকার চেয়ে আলাদা থাকতে চাই। এতে দোষের কিছু তো নাই বরং এটা উভয়ের জন্য ভালো।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আমাদের বাঙালি সমাজ এখনও সেভাবে প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি। তাই তো ডিভোর্স কথাটা শুনলেই অনেকেরই কান ভোঁ-ভোঁ করে ওঠে। এই কারণেই ডিভোর্সির দিকে কপাল কুঁচকে তাকানোটাই এই সমাজের একটা অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্পর্ক তৈরি করার মতো, সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসাও খুব স্বাভাবিক। মানুষের জীবনে অনুভূতির সংকোচন, সম্প্রসারণ হতেই পারে। একসাথে থাকতে না চাওয়ার কারণ জন্মাতে পারে। ভাল না লাগতে পারে। বিশেষ কোনও কারণে আলাদা হওয়ার ইচ্ছা হতে পারে। 

আবার কেউ কেউ মানিয়ে নিয়েও বেঁচে থাকে। দুজন মানুষের ভেতর অভ্যন্তরীণ বনিবনা না হলে, একসাথে থেকে তিক্ততা বাড়ানোর কোনও মানেই হয় না। তার চেয়ে, দুজন মানুষ আলাদা হয়ে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের জায়গাটুকু বাঁচিয়ে রাখার দৃশ্যই সুন্দর। যে কোনও বিচ্ছেদই কষ্টদায়ক। কিন্তু কোনও সম্পর্কই হয়তো পুরোপুরি শেষ হয় না, সময়ের সঙ্গে বদল আসে দুজনের বোঝাপড়ায়। 

আসলে ডিভোর্সের পর সম্পর্কের নাম বদলে যায় শুধু। একে অপরের কথা শেষ হয় যায় না, কেউ কারও শত্রু হয়ে যায় না বন্ধুত্বও শেষ হয়ে যায় না। অনেক চাওয়া পাওয়া অনেক ভালোবাসা, আকাঙ্খার ফসলে বৈবাহিক সমন্ধ গড়ে উঠে তার ভাঙনকালে যন্ত্রণা হওয়া অবশ্যম্ভাবী কিন্তু তার মানে এই নয় যে আপনার জীবন সেখানেই শেষ হয়ে গেল বা শেষ হয়ে গেলে এমনও নয় প্রাক্তনের প্রতি থাকবেই তীব্র বিদ্বেষ! ডিভোর্স সত্ত্বেও প্রাক্তনের প্রতি সম্মান ধরে রাখা সম্ভব। 

আর এই সম্মানটা মনের মধ্যে পোষণ করেই নিজেদের মর্যাদা অটুট রেখে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব। আর আশা করছি আমাদের পরিচিত পরিজনেরা শুভকাঙ্খীরা আমাদের এই সিদ্ধান্ত কে পজিটিভভাবে গ্রহণ করে আমাদের সাথে সাথে থাকবেন। আর একটা অনুরোধ করতে চাই আদর্শিক পার্থক্য বা নিজের ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের কারণে গালিগালাজ তথা নেতিবাচক মানসিকতা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখুন। এখনও কিছু মানুষ আছে যারা মূল্যবোধ, দায়বদ্ধতা, শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাস এই শব্দগুলোর মানে বুঝে। তাই সবার প্রতি অনুরোধ, নিজের আপত্তি বা ক্ষোভ যৌক্তিক এবং শোভনীয় ভাষায় তুলে ধরুন।

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

এবার বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন অপু

আপডেট: ০১:৩৩:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: মাহিয়া মাহির ডিভোর্স হয়েছে দুই বছর আগে। কিন্তু সাবেক স্বামী পারভেজ মাহমুদ অপুর অনুরোধে এতদিন বিষয়টি জানাননি এই নায়িকা। অবশেষে ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে প্রকাশ করলেন বিচ্ছেদের খবর। 

বিচ্ছেদের খবর প্রকাশের পর শুরুতে বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছিলেন অপু। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনিও এ নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেন। পাঠকদের জন্য তার লেখাটি নিচে দেওয়া হলো। একটি সম্পর্ক গড়তে গেলে যেসব গুণ থাকে সেগুলো হলো সততা, ওয়াদা, বিশ্বস্ততা, বন্ধুত্ব, দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা, বোঝার ক্ষমতা, স্বচ্ছতা ও ভালোবাসা, নিজস্ব বিশ্বাস ইত্যাদি। সম্পর্ক হওয়ার পর সেটা পরিবর্তিত হতেই পারে। আমরা বেঁচে আছি সম্পর্ক নিয়ে সম্পর্কের বন্ধনে বন্দি হয়ে। আবার সম্পর্ক কখনও শেষ ও হয় না শুধু পরিবর্তিত হয়।’

বিচ্ছেদ যে কোনও সম্পর্কে যে কোনও সময় আসতে পারে। যে কোনও বিচ্ছেদই কষ্টদায়ক কিন্তু  প্রত্যেক মানুষের নিজের মতো করে বাঁচার স্বাধীনতা রয়েছে। আর এতে করে তিনি/তারা নিজের মতো করে ভালো থাকতেই পারেন। সম্পর্কগুলো স্থায়ী হোক এমনটাই সবাই চায়। কিন্তু বাস্তুবিক তা হয় না। দেখা যায় সারাজীবন দুজন পাশাপাশি থাকার পর মৃত্যু এসে একজনকে নিয়ে যায়। বা দুজনের মতের মিল ও বিশ্বাস আলাদা হলে তখন একসাথে থাকার চেয়ে আলাদা থাকতে চাই। এতে দোষের কিছু তো নাই বরং এটা উভয়ের জন্য ভালো।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আমাদের বাঙালি সমাজ এখনও সেভাবে প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি। তাই তো ডিভোর্স কথাটা শুনলেই অনেকেরই কান ভোঁ-ভোঁ করে ওঠে। এই কারণেই ডিভোর্সির দিকে কপাল কুঁচকে তাকানোটাই এই সমাজের একটা অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্পর্ক তৈরি করার মতো, সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসাও খুব স্বাভাবিক। মানুষের জীবনে অনুভূতির সংকোচন, সম্প্রসারণ হতেই পারে। একসাথে থাকতে না চাওয়ার কারণ জন্মাতে পারে। ভাল না লাগতে পারে। বিশেষ কোনও কারণে আলাদা হওয়ার ইচ্ছা হতে পারে। 

আবার কেউ কেউ মানিয়ে নিয়েও বেঁচে থাকে। দুজন মানুষের ভেতর অভ্যন্তরীণ বনিবনা না হলে, একসাথে থেকে তিক্ততা বাড়ানোর কোনও মানেই হয় না। তার চেয়ে, দুজন মানুষ আলাদা হয়ে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের জায়গাটুকু বাঁচিয়ে রাখার দৃশ্যই সুন্দর। যে কোনও বিচ্ছেদই কষ্টদায়ক। কিন্তু কোনও সম্পর্কই হয়তো পুরোপুরি শেষ হয় না, সময়ের সঙ্গে বদল আসে দুজনের বোঝাপড়ায়। 

আসলে ডিভোর্সের পর সম্পর্কের নাম বদলে যায় শুধু। একে অপরের কথা শেষ হয় যায় না, কেউ কারও শত্রু হয়ে যায় না বন্ধুত্বও শেষ হয়ে যায় না। অনেক চাওয়া পাওয়া অনেক ভালোবাসা, আকাঙ্খার ফসলে বৈবাহিক সমন্ধ গড়ে উঠে তার ভাঙনকালে যন্ত্রণা হওয়া অবশ্যম্ভাবী কিন্তু তার মানে এই নয় যে আপনার জীবন সেখানেই শেষ হয়ে গেল বা শেষ হয়ে গেলে এমনও নয় প্রাক্তনের প্রতি থাকবেই তীব্র বিদ্বেষ! ডিভোর্স সত্ত্বেও প্রাক্তনের প্রতি সম্মান ধরে রাখা সম্ভব। 

আর এই সম্মানটা মনের মধ্যে পোষণ করেই নিজেদের মর্যাদা অটুট রেখে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব। আর আশা করছি আমাদের পরিচিত পরিজনেরা শুভকাঙ্খীরা আমাদের এই সিদ্ধান্ত কে পজিটিভভাবে গ্রহণ করে আমাদের সাথে সাথে থাকবেন। আর একটা অনুরোধ করতে চাই আদর্শিক পার্থক্য বা নিজের ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের কারণে গালিগালাজ তথা নেতিবাচক মানসিকতা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখুন। এখনও কিছু মানুষ আছে যারা মূল্যবোধ, দায়বদ্ধতা, শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাস এই শব্দগুলোর মানে বুঝে। তাই সবার প্রতি অনুরোধ, নিজের আপত্তি বা ক্ষোভ যৌক্তিক এবং শোভনীয় ভাষায় তুলে ধরুন।

আরও পড়ুন: