ওটিটির কাজেও সিন্ডিকেট আছে: নাদিয়া
- আপডেট: ০৬:৫৯:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩
- / ৪১৫০ বার দেখা হয়েছে
এ প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সালহা খানম নাদিয়া। নাটকেই বেশি অভিনয় করেন। সম্প্রতি কলকাতার সিনেমায় অভিনয়ের কথাও জানিয়েছেন। সিনেমা, বর্তমান ব্যস্ততা এবং সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো…’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?
অভিনয় শিল্পীর ব্যস্ততা তো অভিনয় ঘিরেই থাকে। খণ্ড নাটক, ধারাবাহিক, শর্টফিল্ম, বিজ্ঞাপন-এসব নিয়ে ব্যস্ত আছি। সম্প্রতি একটা বিজ্ঞাপনের শুটিং করেছি।
কলকাতার একটা সিনেমা করছিলেন। সেটার খবর কী?
কলকাতার সিনেমা করছি শিবরাম শর্মার পরিচালনায়। এ সিনেমায় একটা সোশ্যাল মেসেজ আছে। বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়েছে। শিগ্গির আবার যাব কলকাতায় বাকি কাজ শেষ করতে। শুরুতে সিনেমাটি চলতি বছর মুক্তির কথা ছিল। কিন্তু এখন সেটা আগামী বছর মুক্তি পাবে বলে জেনেছি।
প্রথম সিনেমা দেশে না হয়ে কলকাতায় কেন?
দেশের কেউ হয়তো ভাবেনি যে আমাকে নিয়ে সিনেমা বানানো যায়। তাই দেশের আগে বাইরে কাজ করতে হচ্ছে। তবে কলকাতার কাজের পরিবেশ আর দেশের কাজের পরিবেশ অনেক ভিন্ন। কলকাতার সবকিছু অনেক পরিকল্পনামাফিক হয়। সেখানকার সব একদম যথাযথভাবে গুছানো থাকে। আর তারা অনেক যত্ন নিয়ে কাজ করে। এমনকি আর্টিস্টদেরও অনেক যত্ন নেয় ওরা। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এসবের কমতি রয়েছে। সেই সঙ্গে বাজেট ইস্যু তো অন্যতম।
আপনি দীর্ঘদিন নাটকে কাজ করছেন। এই দীর্ঘ সময়ে সবচেয়ে বড় পার্থক্য কী চোখে পড়েছে?
একটা সময় আমরা অনেক সুন্দর গল্প নিয়ে কাজ করতাম। এখন সেটা অনেক কমে গেছে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি থেকে গল্প হারিয়ে গেছে। সংস্কৃতি হারিয়ে গেছে। এখন সবাই ভাইরাল হওয়ার জন্য কাজ করে। তারা বোঝে না, এসব কাজ কেউ মনে রাখে না। ক্ষণিকের জন্য মানুষকে বিনোদন দিয়ে কী লাভ? যদি কেউ আমার কাজ বা গল্পটা মনেই না রাখে, তাহলে শিল্পী হিসাবে আমার সার্থকতার জায়গা কোথায়?
আরও পড়ুন: ১৩ অক্টোবর মুক্তি পাবে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’
আপনাকে এখন খুব কম কাজ করতে দেখা যায়। কেন?
ওই যে গল্পের অভাব। তাই কিছুটা বেছে কাজ করছি। সব ধরনের কাজ বা চরিত্র করতে রাজি আমি। এমনকি কমেডিও। তবে সেটা সুস্থ কমেডি হতে হবে।
ওটিটিতে কাজের প্রস্তাব পাচ্ছেন না?
খুব একটা না। ভিকি জাহেদের ‘রেডরাম’ করেছি। এরপর আর নতুন করে কিছু করা হয়নি। আসলে ওটিটির একটা সিন্ডিকেট আছে। ঘুরে ফিরে একই মানুষ নিয়ে কাজ করছে সবাই। তাই হয়তো আমার কাছে কাজের প্রস্তাব কম আসে।
ঢাকা/এসএম