অর্থ মন্ত্রণালয়ের সার্কুলার ও সার্ভিস (বেতন ও সুবিধাদি) অর্ডার লঙ্ঘন করে ঢাকা ওয়াসার এমডিকে অযৌক্তিক ও উচ্চ বেতন দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কনজ্যুমার অ্যাসেসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষ থেকে গত জুলাইয়ে রিট করা হয়।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি তাকসিমের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বিএফআইইউ
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ১৭ আগস্ট রুলসহ আদেশ দেন। এ সময় ঢাকা ওয়াসার এমডিকে গত ১৩ বছরে দেওয়া বেতন, বোনাস, টিএ–ডিএসহ অন্য সুবিধাদির বিষয়ে তথ্য প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর ধারাবাহিকতায় আজ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম মাছুম। পরে আইনজীবী এ এম মাছুম বলেন, গত ১৩ বছরে ঢাকা ওয়াসার এমডির বেতন-ভাতাদির তথ্যসংবলিত প্রতিবেদনটি আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আদালত প্রতিবেদনটি নথিভুক্ত করতে আদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি ১৩ বছরের বেতন-ভাতার হিসাব চেয়েছে হাইকোর্ট
প্রতিবেদনে ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাকসিম এ খানের নেওয়া বেতন-ভাতার তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, মূল বেতন, বাড়িভাড়া, নববর্ষ ভাতা, উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, স্পেশাল পে, আপ্যায়ন খরচ এবং পারফরম্যান্স ভাতা মিলিয়ে তাকসিমের মোট বেতন হিসাব করা হয়েছে।
তাকসিম এ খানের মোট বেতন থেকে বাড়িভাড়া, আয়কর, কোয়ার্টার মেরামত খরচ ও অন্যান্য কর্তন বাদ দেওয়া হয়েছে, যার পরিমাণ ১ কোটি ২৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৭৭ টাকা।
ঢাকা/টিএ