১১:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪

করোনায় সুরক্ষা টি-সেলে: গবেষণা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৪১১০ বার দেখা হয়েছে

বানরের করোনা সংক্রমণ পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ইমিউন সিস্টেমের টি-সেল এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে পারে। তবে শরীরের অ্যান্টিবডির মানসম্মতভাবে সাড়া দিতে হবে। তাদের এই গবেষণা ভবিষ্যতে করোনার টিকা ও ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগবে।

নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধে বিজ্ঞানীরা নভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষায় অ্যান্টিবডি ও ইমিউন সেলের ওপর আলোকপাত করেছেন।

গবেষণাপত্রের লেখক যুক্তরাষ্ট্রের একটি চিকিৎসাকেন্দ্রের গবেষক ডান বারুচ বলেছেন, ‘গবেষণায় আমরা বানরকে কভিড-১৯ থেকে সুরক্ষায় অ্যান্টিবডি বনাম টি-সেলের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছি।’ টি-সেল হচ্ছে রক্তের একটি শ্বেতকণিকা।

ডান বারুচ বলেন, এই গবেষণা কভিড-১৯-এর টিকা ও অ্যান্টিবডিভিত্তিক চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য কৌশল প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, যেসব প্রাণী বেশি অ্যান্টিবডি গ্রহণ করে, তারা পুরোপুরি সুরক্ষিত থাকে। কিন্তু যেসব প্রাণী কম অ্যান্টিবডি পায়, তারা থাকে কম সুরক্ষিত।

পরীক্ষায় দেখা গেছে, করোনায় আক্রান্ত বানরকে বেশি অ্যান্টিবডি দিলে সেগুলো দ্রুত সুস্থ হয়।

বাইরের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, প্যারাসাইটস শরীরে প্রবেশ করলেই শরীর প্রতিক্রিয়া জানায়। এটাকেই বলে অ্যান্টিজেন। অ্যান্টিজেনকে ধ্বংস করার জন্য পাঁচ রকমের প্রোটিন আমাদের শরীরে তৈরি হয়ে থাকে। সেগুলোকে বলা হয় অ্যান্টিবডি। অর্থাৎ আমাদের শরীরে কোনো অ্যান্টিজেন প্রবেশ করলেই শরীর সতর্ক হয়ে যায়। তখন সেই অ্যান্টিজেন ধ্বংস করতে এগিয়ে আসে অ্যান্টিবডি। সূত্র: পিটিআই।

শেয়ার করুন

x

করোনায় সুরক্ষা টি-সেলে: গবেষণা

আপডেট: ১১:২৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২০

বানরের করোনা সংক্রমণ পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ইমিউন সিস্টেমের টি-সেল এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে পারে। তবে শরীরের অ্যান্টিবডির মানসম্মতভাবে সাড়া দিতে হবে। তাদের এই গবেষণা ভবিষ্যতে করোনার টিকা ও ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগবে।

নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধে বিজ্ঞানীরা নভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষায় অ্যান্টিবডি ও ইমিউন সেলের ওপর আলোকপাত করেছেন।

গবেষণাপত্রের লেখক যুক্তরাষ্ট্রের একটি চিকিৎসাকেন্দ্রের গবেষক ডান বারুচ বলেছেন, ‘গবেষণায় আমরা বানরকে কভিড-১৯ থেকে সুরক্ষায় অ্যান্টিবডি বনাম টি-সেলের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছি।’ টি-সেল হচ্ছে রক্তের একটি শ্বেতকণিকা।

ডান বারুচ বলেন, এই গবেষণা কভিড-১৯-এর টিকা ও অ্যান্টিবডিভিত্তিক চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য কৌশল প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, যেসব প্রাণী বেশি অ্যান্টিবডি গ্রহণ করে, তারা পুরোপুরি সুরক্ষিত থাকে। কিন্তু যেসব প্রাণী কম অ্যান্টিবডি পায়, তারা থাকে কম সুরক্ষিত।

পরীক্ষায় দেখা গেছে, করোনায় আক্রান্ত বানরকে বেশি অ্যান্টিবডি দিলে সেগুলো দ্রুত সুস্থ হয়।

বাইরের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, প্যারাসাইটস শরীরে প্রবেশ করলেই শরীর প্রতিক্রিয়া জানায়। এটাকেই বলে অ্যান্টিজেন। অ্যান্টিজেনকে ধ্বংস করার জন্য পাঁচ রকমের প্রোটিন আমাদের শরীরে তৈরি হয়ে থাকে। সেগুলোকে বলা হয় অ্যান্টিবডি। অর্থাৎ আমাদের শরীরে কোনো অ্যান্টিজেন প্রবেশ করলেই শরীর সতর্ক হয়ে যায়। তখন সেই অ্যান্টিজেন ধ্বংস করতে এগিয়ে আসে অ্যান্টিবডি। সূত্র: পিটিআই।