০৪:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

‘কাবার গিলাফ তৈরিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের নির্দেশ’

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:১১:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৪২ বার দেখা হয়েছে

কাবার গিলাফ ও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের সময় আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নতমানের মেশিনারিজ ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীর জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগের প্রধান ড. আবদুর রহমান আস সুদাইস।

তিনি বলেন, মসজিদে হারাম এবং মসজিদে নববীর নির্মিত ও নির্মাণাধীন যত স্থাপনা আছে, তা  আরও আকর্ষণীয় করতে আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নতমানের মেশিনারিজ ব্যবহার করা উচিত। 

সেই সঙ্গে এই দুই মসজিদে ব্যবহৃত জিনিসগুলো দেশের ভেতর ও বাইরের জাদুঘরে প্রদর্শন করা যেতে পারে। এতে দর্শনার্থীদের আগ্রহ আরও বাড়বে বলে মতামত দিয়েছেন তিনি। 

ড. সুদাইসি আরও বলেন, এক্ষেত্রে মসজিদে হারামাইন শারিফাইনের খাদেম বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এবং প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের সুনাম সুখ্যাতি বাড়বে। এই কাজগুলো অব্যাহতভাবে চালিয়ে যেতে পারলে দুই মসজিদে তাদের একনিষ্ঠ কাজগুলো লোকদের সামনে স্পষ্ট হবে। 

কাবার গিলাফ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বাদশাহ আবদুল আজিজ কমপ্লেক্স ইতোমধ্যেই তাদের প্রস্তুত সামগ্রীর মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। 

গিলাফের কাপড় কাটা, সেলাই করার মেশিন, এসবই অত্যাধুনিক করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। 

প্রসঙ্গত, প্রত্যেক বছর ৯ জিলহজ পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। 

কাবা শরিফে চড়ানো এবছরের নতুন গিলাফে ৬৭০ কেজি খাঁটি রেশম, ১২০ কেজি খাঁটি স্বর্ণ এবং ১০০ কেজি রূপার সুতা ব্যবহার করা হয়েছে। 

স্বর্ণের সুতা দিয়ে গিলাফের বিভিন্ন অংশে কোরআনের আয়াত লেখা হয়েছে।

জানা যায়, গিলাফে ব্যবহৃত খাঁটি রেশম আনা হয়েছে ইতালি থেকে। স্বর্ণ জার্মান থেকে। অনুমান করা হচ্ছে, কাবার নতুন গিলাফের কাজ সম্পন্ন করতে প্রায় ২২ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল খরচ হয়েছে।

দুই শতাধিক শ্রমিক সারাবছর কাবার গিলাফ তৈরির কাজে নিয়োজিত থাকেন। গিলাফটি খুব টেকসই ও মানসম্মত উপায়ে তৈরি করা হয়। যেন রোদ-বৃষ্টিতে গিলাফ নষ্ট না হয়।

আরব নিউজ অবলম্বনে- মুহাম্মদ বিন ওয়াহিদ

শেয়ার করুন

x

‘কাবার গিলাফ তৈরিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের নির্দেশ’

আপডেট: ০৫:১১:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১

কাবার গিলাফ ও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের সময় আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নতমানের মেশিনারিজ ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীর জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগের প্রধান ড. আবদুর রহমান আস সুদাইস।

তিনি বলেন, মসজিদে হারাম এবং মসজিদে নববীর নির্মিত ও নির্মাণাধীন যত স্থাপনা আছে, তা  আরও আকর্ষণীয় করতে আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নতমানের মেশিনারিজ ব্যবহার করা উচিত। 

সেই সঙ্গে এই দুই মসজিদে ব্যবহৃত জিনিসগুলো দেশের ভেতর ও বাইরের জাদুঘরে প্রদর্শন করা যেতে পারে। এতে দর্শনার্থীদের আগ্রহ আরও বাড়বে বলে মতামত দিয়েছেন তিনি। 

ড. সুদাইসি আরও বলেন, এক্ষেত্রে মসজিদে হারামাইন শারিফাইনের খাদেম বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এবং প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের সুনাম সুখ্যাতি বাড়বে। এই কাজগুলো অব্যাহতভাবে চালিয়ে যেতে পারলে দুই মসজিদে তাদের একনিষ্ঠ কাজগুলো লোকদের সামনে স্পষ্ট হবে। 

কাবার গিলাফ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বাদশাহ আবদুল আজিজ কমপ্লেক্স ইতোমধ্যেই তাদের প্রস্তুত সামগ্রীর মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। 

গিলাফের কাপড় কাটা, সেলাই করার মেশিন, এসবই অত্যাধুনিক করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। 

প্রসঙ্গত, প্রত্যেক বছর ৯ জিলহজ পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। 

কাবা শরিফে চড়ানো এবছরের নতুন গিলাফে ৬৭০ কেজি খাঁটি রেশম, ১২০ কেজি খাঁটি স্বর্ণ এবং ১০০ কেজি রূপার সুতা ব্যবহার করা হয়েছে। 

স্বর্ণের সুতা দিয়ে গিলাফের বিভিন্ন অংশে কোরআনের আয়াত লেখা হয়েছে।

জানা যায়, গিলাফে ব্যবহৃত খাঁটি রেশম আনা হয়েছে ইতালি থেকে। স্বর্ণ জার্মান থেকে। অনুমান করা হচ্ছে, কাবার নতুন গিলাফের কাজ সম্পন্ন করতে প্রায় ২২ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল খরচ হয়েছে।

দুই শতাধিক শ্রমিক সারাবছর কাবার গিলাফ তৈরির কাজে নিয়োজিত থাকেন। গিলাফটি খুব টেকসই ও মানসম্মত উপায়ে তৈরি করা হয়। যেন রোদ-বৃষ্টিতে গিলাফ নষ্ট না হয়।

আরব নিউজ অবলম্বনে- মুহাম্মদ বিন ওয়াহিদ