০৮:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

খুলনা পাওয়ারের মুনাফার প্রবৃদ্ধি ৫৭ শতাংশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:০০:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১
  • / ৪১৯৬ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দেশের প্রথম স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী (আইপিপি) প্রতিষ্ঠান খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (কেপিসিএল) চলতি ২০২০-২১ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কর-পরবর্তী নিট মুনাফা সাড়ে ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে সাড়ে ২১ শতাংশ। গতকাল চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে কোম্পানিটির পর্ষদ।

কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ১৪০ কোটি ৮০ লাখ ৪৬ হাজার ১০০ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১১৫ কোটি ৮৩ লাখ ১ হাজার ২০৪ টাকা। সে হিসাবে তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ২৪ কোটি ৯৭ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯৬ টাকা বা সাড়ে ২১ শতাংশ। আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৪১ কোটি ৮৮ লাখ ৬৯ হাজার ৩৯ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২৬ কোটি ৫৯ লাখ ২৬ হাজার ২১৩ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ১৫ কোটি ২৯ লাখ ৪২ হাজার ৮২৬ টাকা বা সাড়ে ৫৭ শতাংশ। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৬৭ পয়সা।

অন্যদিকে চলতি হিসাব বছরের নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৪৮২ কোটি ৪০ লাখ ৭৩ হাজার ২২৮ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৮৯ কোটি ১৩ লাখ ৮ হাজার ৫৯০ টাকা। সে হিসাবে নয় মাসে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৯৩ কোটি ২৭ লাখ ৬৪ হাজার ৬৩৮ টাকা বা ২৪ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১০৫ কোটি ১৪ লাখ ৭১ হাজার ৪২৩ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১০৪ কোটি ৪৮ লাখ ২৯ হাজার ৩৩৬ টাকা। নয় মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৬৫ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২১ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৮৪ পয়সা।

কেপিসিএলের খুলনার খালিশপুরে অবস্থিত ১১৫ মেগাওয়াট সক্ষমতার এইচএফওভিত্তিক কেপিসিএল-২ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মেয়াদ শেষ হবে এ বছরের ৩১ মে। যশোরের নোয়াপাড়ায় অবস্থিত ৪০ মেগাওয়াট সক্ষমতার এইচএফওভিত্তিক কেপিসিএল-৩ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মেয়াদ শেষ হবে এ বছরের ২৮ মে। মেয়াদ শেষে কেন্দ্র দুটির বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রাখতে সম্প্রতি কোম্পানিটিকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। কেন্দ্র দুটির মেয়াদ আরো পাঁচ বছরের জন্য বাড়াতে গত বছরই বিপিডিবির কাছে আবেদন করেছিল কেপিসিএল। এ বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি বিপিডিবি। তবে মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে সরকার ও বিপিডিবির সঙ্গে কোম্পানির আলোচনা চলছে। সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এর আগে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর থেকে খুলনার খালিশপুরে অবস্থিত ১১০ মেগাওয়াট সক্ষমতার এইচএফওভিত্তিক কেপিসিএল-১ বার্জ মাউন্টেড বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কেন্দ্রটির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হলেও বিপিডিবি সেটি গ্রহণ করেনি। বর্তমানে কেন্দ্রটির সম্পদ বিক্রি করে দেয়ার চেষ্টা করছে কোম্পানিটি। এতে আয় কমে যাওয়ার কারণে ব্যবসায়িকভাবে চাপে পড়ে যায় কোম্পানিটি।

ঢাকা/এসআর

শেয়ার করুন

x
English Version

খুলনা পাওয়ারের মুনাফার প্রবৃদ্ধি ৫৭ শতাংশ

আপডেট: ১১:০০:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দেশের প্রথম স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী (আইপিপি) প্রতিষ্ঠান খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (কেপিসিএল) চলতি ২০২০-২১ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কর-পরবর্তী নিট মুনাফা সাড়ে ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে সাড়ে ২১ শতাংশ। গতকাল চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে কোম্পানিটির পর্ষদ।

কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ১৪০ কোটি ৮০ লাখ ৪৬ হাজার ১০০ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১১৫ কোটি ৮৩ লাখ ১ হাজার ২০৪ টাকা। সে হিসাবে তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ২৪ কোটি ৯৭ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯৬ টাকা বা সাড়ে ২১ শতাংশ। আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৪১ কোটি ৮৮ লাখ ৬৯ হাজার ৩৯ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২৬ কোটি ৫৯ লাখ ২৬ হাজার ২১৩ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ১৫ কোটি ২৯ লাখ ৪২ হাজার ৮২৬ টাকা বা সাড়ে ৫৭ শতাংশ। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৬৭ পয়সা।

অন্যদিকে চলতি হিসাব বছরের নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৪৮২ কোটি ৪০ লাখ ৭৩ হাজার ২২৮ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৮৯ কোটি ১৩ লাখ ৮ হাজার ৫৯০ টাকা। সে হিসাবে নয় মাসে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৯৩ কোটি ২৭ লাখ ৬৪ হাজার ৬৩৮ টাকা বা ২৪ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১০৫ কোটি ১৪ লাখ ৭১ হাজার ৪২৩ টাকা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১০৪ কোটি ৪৮ লাখ ২৯ হাজার ৩৩৬ টাকা। নয় মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৬৫ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২১ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৮৪ পয়সা।

কেপিসিএলের খুলনার খালিশপুরে অবস্থিত ১১৫ মেগাওয়াট সক্ষমতার এইচএফওভিত্তিক কেপিসিএল-২ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মেয়াদ শেষ হবে এ বছরের ৩১ মে। যশোরের নোয়াপাড়ায় অবস্থিত ৪০ মেগাওয়াট সক্ষমতার এইচএফওভিত্তিক কেপিসিএল-৩ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মেয়াদ শেষ হবে এ বছরের ২৮ মে। মেয়াদ শেষে কেন্দ্র দুটির বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রাখতে সম্প্রতি কোম্পানিটিকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। কেন্দ্র দুটির মেয়াদ আরো পাঁচ বছরের জন্য বাড়াতে গত বছরই বিপিডিবির কাছে আবেদন করেছিল কেপিসিএল। এ বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি বিপিডিবি। তবে মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে সরকার ও বিপিডিবির সঙ্গে কোম্পানির আলোচনা চলছে। সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এর আগে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর থেকে খুলনার খালিশপুরে অবস্থিত ১১০ মেগাওয়াট সক্ষমতার এইচএফওভিত্তিক কেপিসিএল-১ বার্জ মাউন্টেড বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কেন্দ্রটির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হলেও বিপিডিবি সেটি গ্রহণ করেনি। বর্তমানে কেন্দ্রটির সম্পদ বিক্রি করে দেয়ার চেষ্টা করছে কোম্পানিটি। এতে আয় কমে যাওয়ার কারণে ব্যবসায়িকভাবে চাপে পড়ে যায় কোম্পানিটি।

ঢাকা/এসআর