০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

গাড়ি-বাড়ির মালিকদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে: এনবিআর চেয়ারম্যান

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:২৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ ২০২১
  • / ৪১৫৬ বার দেখা হয়েছে

করের হার না বাড়িয়ে কর আদায়ের ক্ষেত্র বাড়ানোর পক্ষে সরকার। এ অবস্থায় করজাল বড় করতে গাড়ি-বাড়ির মালিকদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

গতকাল বুধবার (১০ মার্চ) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআর কার্যালয়ে প্রাইসওয়াটারহাউসকুপারস (পিডব্লিউসি) বাংলাদেশ এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সঙ্গে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।

শেয়ারববাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন:বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কিছু ক্ষেত্রে সংযোগের কাজটি আমরা সম্পন্ন করে ফেলেছি। যেমন-গাড়ির মালিক কারা? এই মালিকেরা রিটার্ন দাখিল করেন কিনা। দামি গাড়ি ব্যবহারকারীদের অর্থের উৎস কি-এ সব আমরা দেখব।

বাড়ির মালিকদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেন, বাড়ির হোল্ডিং নম্বর অনুযায়ী মালিকদের চিহ্নিত করা হবে। পরে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সঙ্গে মেলানো হবে।

গাড়ি-বাড়ির তথ্য ঘাটতিতে থাকলেও করদাতাদের সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগ এখনই বের করা যায় বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।

পিডব্লিউসি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা অংশীদার মামুন রশীদের নেতৃত্বাধীন একটি দল এনবিআরের কাছে লিখিত বাজেট প্রস্তাব দেয়। বলা হয়, একটি কোম্পানি আরেকটি কোম্পানিকে কিনে নেওয়া (অধিগ্রহণ) এবং একটি কোম্পানি আরেকটির সঙ্গে স্বেচ্ছায় মিলে যাওয়ার (একীভূত) অবস্থা তৈরি হয়নি দেশে। অথচ বিশ্বে এ ব্যবস্থা জনপ্রিয়।

গুগল ও আমাজনের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সহায়তা করার দাবি জানায় পিডব্লিউসি। বলা হয়, তারা যাতে বাংলাদেশে আনন্দচিত্তে কাজ করতে পারে এবং সহজে কর দিতে দিতে পারে সেই ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে।

সিপিডির পক্ষ থেকে বলা হয়, সৎ করদাতাদের বেশি কর দিতে হয়, আর অপ্রদর্শিত আয়ের মালিকদের দিত হয় কম। এ ব্যবস্থাটি সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করে। বাণিজ্যভিত্তিক মানি লন্ডারিং দূর করারও পদক্ষেপ নিতে বলেছে সিপিডি। গবেষণা সংস্থাটি আরও বলেছে, সম্পদের ওপর কর আরোপের চিন্তাও করতে পারে এনবিআর।

তবে সম্পদের ওপর কর আরোপ নিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সম্পদের ওপর সারচার্জ নেওয়া হয়। সম্পদ কর আরোপ করা হলে সম্পদ বিক্রি করে তা দিত হয় কিনা, সেটাও এক প্রশ্ন। কারণ, সম্পদ থাকলেও তার মাধ্যমে যদি আয় না হয়, তাহলে কর আরোপ করা সংগত নয়।

নিজের পৈতৃক তিন তলা বাড়ির দাম বাড়লেও এ থেকে কোনো আয় হয় না বলে উদাহরণ দেন এনবিআর চেয়ারম্যান।

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা/টিআর

 

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x

গাড়ি-বাড়ির মালিকদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে: এনবিআর চেয়ারম্যান

আপডেট: ০২:২৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ ২০২১

করের হার না বাড়িয়ে কর আদায়ের ক্ষেত্র বাড়ানোর পক্ষে সরকার। এ অবস্থায় করজাল বড় করতে গাড়ি-বাড়ির মালিকদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

গতকাল বুধবার (১০ মার্চ) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআর কার্যালয়ে প্রাইসওয়াটারহাউসকুপারস (পিডব্লিউসি) বাংলাদেশ এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সঙ্গে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।

শেয়ারববাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন:বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কিছু ক্ষেত্রে সংযোগের কাজটি আমরা সম্পন্ন করে ফেলেছি। যেমন-গাড়ির মালিক কারা? এই মালিকেরা রিটার্ন দাখিল করেন কিনা। দামি গাড়ি ব্যবহারকারীদের অর্থের উৎস কি-এ সব আমরা দেখব।

বাড়ির মালিকদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেন, বাড়ির হোল্ডিং নম্বর অনুযায়ী মালিকদের চিহ্নিত করা হবে। পরে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সঙ্গে মেলানো হবে।

গাড়ি-বাড়ির তথ্য ঘাটতিতে থাকলেও করদাতাদের সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগ এখনই বের করা যায় বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।

পিডব্লিউসি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা অংশীদার মামুন রশীদের নেতৃত্বাধীন একটি দল এনবিআরের কাছে লিখিত বাজেট প্রস্তাব দেয়। বলা হয়, একটি কোম্পানি আরেকটি কোম্পানিকে কিনে নেওয়া (অধিগ্রহণ) এবং একটি কোম্পানি আরেকটির সঙ্গে স্বেচ্ছায় মিলে যাওয়ার (একীভূত) অবস্থা তৈরি হয়নি দেশে। অথচ বিশ্বে এ ব্যবস্থা জনপ্রিয়।

গুগল ও আমাজনের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সহায়তা করার দাবি জানায় পিডব্লিউসি। বলা হয়, তারা যাতে বাংলাদেশে আনন্দচিত্তে কাজ করতে পারে এবং সহজে কর দিতে দিতে পারে সেই ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে।

সিপিডির পক্ষ থেকে বলা হয়, সৎ করদাতাদের বেশি কর দিতে হয়, আর অপ্রদর্শিত আয়ের মালিকদের দিত হয় কম। এ ব্যবস্থাটি সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করে। বাণিজ্যভিত্তিক মানি লন্ডারিং দূর করারও পদক্ষেপ নিতে বলেছে সিপিডি। গবেষণা সংস্থাটি আরও বলেছে, সম্পদের ওপর কর আরোপের চিন্তাও করতে পারে এনবিআর।

তবে সম্পদের ওপর কর আরোপ নিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সম্পদের ওপর সারচার্জ নেওয়া হয়। সম্পদ কর আরোপ করা হলে সম্পদ বিক্রি করে তা দিত হয় কিনা, সেটাও এক প্রশ্ন। কারণ, সম্পদ থাকলেও তার মাধ্যমে যদি আয় না হয়, তাহলে কর আরোপ করা সংগত নয়।

নিজের পৈতৃক তিন তলা বাড়ির দাম বাড়লেও এ থেকে কোনো আয় হয় না বলে উদাহরণ দেন এনবিআর চেয়ারম্যান।

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা/টিআর

 

আরও পড়ুন: