১১:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

গ্রামীণ সড়কের উন্নয়নে সহায়তা দেবে এডিবি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:২৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩
  • / ৪২১৪ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশের গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নের জন্য ১৯০ মিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত ঋণ অনুমোদন করেছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)।

আজ মঙ্গলবার (১১ জুলাই) এডিবির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ঋণের এ তথ্য জানানো হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অতিরিক্ত এ অর্থায়নের মাধ্যমে সব ধরনের আবহাওয়ার উপযোগী করে ১৩৫০ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার হবে। উপজেলা পর্যায়ে ১৮০টি সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কার্যালয়ে ট্রাক ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের সক্ষমতা বাড়াবে।

এ বিষয়ে এডিবির প্রধান পল্লী উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ মাসাহিরো নিশিমুরা জানিয়েছেন, গ্রামীণ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় অতিরিক্ত অর্থায়ন এটি। যা দেশটির গ্রামীণ সড়কের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। কৃষি এলাকাগুলোকে আরও উৎপাদনশীল করে তুলবে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় গ্রামীণ এলাকার মানুষের জীবনমানের উন্নতিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

আরও পড়ুন: বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে একসঙ্গে কাজ করবে বিডা-বিজপ্রো

তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পটি গ্রামীণ এলাকায় পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং দেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সাহায্য করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করছে।

২০১৮ সালের নভেম্বরে ‘রুরাল কানেকটিভিটি ইমপ্রুভমেন্ট’ নামে প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। যার লক্ষ্য ছিল ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তার উন্নয়ন করা, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্থাগুলোর সক্ষমতা জোরদার, গ্রামীণ মানুষের অবস্থার পরিবর্তনসহ গ্রামীণ সড়ক নিয়ে মহাপরিকল্পনার উন্নয়ন করা।

২০২০ সালের পর উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রকল্পটিতে অতিরিক্ত ৯০০ কিলোমিটারের বেশি গ্রামীণ রাস্তা সংযুক্ত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি আরও উল্লেখ করেছে, চরম দারিদ্র্যতা দূরীকরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে একটি সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক এবং টেকসই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধভাবে কাজ করছে এডিবি।

প্রসঙ্গত, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ৩১ সদস্য নিয়ে গঠিত হয় ব্যাংকটি। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী- ৬৮টি দেশ এর সদস্য। এর মধ্যে ৪৮টি দেশই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার। বাকী ১৯টি দেশ বহিঃবিশ্ব থেকে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

গ্রামীণ সড়কের উন্নয়নে সহায়তা দেবে এডিবি

আপডেট: ০৭:২৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩

বাংলাদেশের গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নের জন্য ১৯০ মিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত ঋণ অনুমোদন করেছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)।

আজ মঙ্গলবার (১১ জুলাই) এডিবির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ঋণের এ তথ্য জানানো হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অতিরিক্ত এ অর্থায়নের মাধ্যমে সব ধরনের আবহাওয়ার উপযোগী করে ১৩৫০ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার হবে। উপজেলা পর্যায়ে ১৮০টি সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কার্যালয়ে ট্রাক ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের সক্ষমতা বাড়াবে।

এ বিষয়ে এডিবির প্রধান পল্লী উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ মাসাহিরো নিশিমুরা জানিয়েছেন, গ্রামীণ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় অতিরিক্ত অর্থায়ন এটি। যা দেশটির গ্রামীণ সড়কের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। কৃষি এলাকাগুলোকে আরও উৎপাদনশীল করে তুলবে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় গ্রামীণ এলাকার মানুষের জীবনমানের উন্নতিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

আরও পড়ুন: বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে একসঙ্গে কাজ করবে বিডা-বিজপ্রো

তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পটি গ্রামীণ এলাকায় পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং দেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সাহায্য করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করছে।

২০১৮ সালের নভেম্বরে ‘রুরাল কানেকটিভিটি ইমপ্রুভমেন্ট’ নামে প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। যার লক্ষ্য ছিল ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তার উন্নয়ন করা, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্থাগুলোর সক্ষমতা জোরদার, গ্রামীণ মানুষের অবস্থার পরিবর্তনসহ গ্রামীণ সড়ক নিয়ে মহাপরিকল্পনার উন্নয়ন করা।

২০২০ সালের পর উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রকল্পটিতে অতিরিক্ত ৯০০ কিলোমিটারের বেশি গ্রামীণ রাস্তা সংযুক্ত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি আরও উল্লেখ করেছে, চরম দারিদ্র্যতা দূরীকরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে একটি সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক এবং টেকসই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধভাবে কাজ করছে এডিবি।

প্রসঙ্গত, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ৩১ সদস্য নিয়ে গঠিত হয় ব্যাংকটি। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী- ৬৮টি দেশ এর সদস্য। এর মধ্যে ৪৮টি দেশই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার। বাকী ১৯টি দেশ বহিঃবিশ্ব থেকে।

ঢাকা/টিএ