০৯:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

চলতি মাসেই চালু হচ্ছে ডিএসই’র বিকল্প বাজার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৪৯:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২
  • / ৪৩১৩ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত ২৯ আগস্ট বিকল্প বাজার বা অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডের (এটিবি) প্রবিধিমালার খসড়া অনুমোদন দিয়েছিল। এটিবি চালু করতে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আগামী সপ্তাহে গেজেট প্রকাশের পরেই এটিবি চালু হওয়ার আশা করছে বাজার সংশ্লিষ্টরা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ডিএসই প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান মুজমদার বলেন, এটিবি মার্কেট চালুর জন্য আমরা এক বছর আগে থেকেই পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়েছি। এটিবির রেগুলেশন গেজেট আকারে প্রকাশ হলেই এই মার্কেট চালুর দিন তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এই মাসের চালুর সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন: সপ্তাহজুড়ে ১৯ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা

প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, বিকল্প বাজারের মাধ্যমে কিছু কোম্পানিকে বাজারে আনা সম্ভব হবে। তবে তদারকি ঠিকমতো না হলে এ বাজারের অপব্যবহারও হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, এটিবি বিনিয়োগকারীর আস্থা অর্জন, বিনিয়োগকারী নিরাপদ বা ঝুঁকিমুক্তভাবে বিনিয়োগ করতে সহায়তা করবে।

আরও পড়ুন: বিকালে চার কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা

প্রসঙ্গত, মূলত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানি নিয়ে এটিবি গঠন করা হবে। এর মধ্যে যেসব কোম্পানির মূলধন ৫ কোটি টাকার নিচে তাদের সুযোগ দেওয়া হবে। এমনকি ৩০ বা ৫০ লাখ টাকার কোম্পানিও এতে তালিকাভুক্ত হবে পারবে।

এ ছাড়া ডিএসইর তালিকাভুক্ত কিন্তু লোকসানের কারণ বিলুপ্ত হয়ে ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটের (ওটিসি) রয়েছে, এমন কোম্পানিও মধ্যে যাদের ব্যবসা সচল রয়েছে এবং নিয়মিত এজিএম অনুষ্ঠিত হয় ও বার্ষিক প্রতিবেদন রয়েছে তারা সুযোগ পাবে।

এ ছাড়া এটিবিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ৫১ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকের কাছে রাখতে হবে। আর বাকি ৪৯ শতাংশ শেয়ার তারা বিক্রি করতে পারবে। তবে প্রতিষ্ঠানকে প্রথম মাসে ১০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করতে হবে। বিএসইসি কোনো কোম্পানিকে নির্দেশ দিলে ওই কোম্পানির জন্য নিয়মটি প্রযোজ্য হবে না। লেনদেন শুরুর প্রথম দুদিন সার্কিট ব্রেকার থাকবে ৪ শতাংশ। নিয়মিত দর বাড়া বা কমার ক্ষেত্রে এটি হবে ৫ শতাংশ।

এই বাজারে বিনিয়োগকারী যে কোনো সময় শেয়ার কিনতে পারলেও তিন মাসের আগে বিক্রি করতে পারবে না। বিক্রি করলেও লাভের সব টাকা দিতে হবে বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিলে। কারসাজি বন্ধে এটিবি বিনিয়োগকারীদের জন্য থাকবে মার্জিন ঋণের সুবিধা। আর তালিকাভুক্ত হওয়ার আগের উদ্যোক্তা-পরিচালকসহ প্লেসমেন্টধারীরা প্রাথমিক (প্রাইমারি) শেয়ারহোল্ডার হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিষয় প্রবিধানমালায় উল্লেখ আছে।

উল্লেখ্য, এরই মধ্যে বিএসইসি নতুন এই বাজারের জন্য ১৮টি কোম্পানি চূড়ান্ত করেছে। এ ছাড়া পাবলিক কিন্তু তালিকাভুক্ত নয় দেশে এমন কোম্পানির সংখ্যা ২ হাজার ১৭৩টি। এটিবি চালু হলে মার্চেন্ট ব্যাংকের সহযোগিতা ছাড়াই সরাসরি ডিএসইর মাধ্যমে বা বিশেষ ক্ষেত্রে বিএসইসির নির্দেশনায় এসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে।

বিকল্প বাজারের জন্য চূড়ান্ত হওয়া কোম্পানিগুলো হচ্ছে: বাংলা প্রসেস; ড্যান্ডি ডায়িং; ডায়নামিক টেক্সটাইল; মেটালেক্স করপোরেশন; মিতা টেক্সটাইল; মর্ডান সিমেন্টে; মর্ডান ইন্ডাস্ট্রিজ; মোনা ফোড; পারফিউম কেমিক্যাল; পেট্রো সিনথেটিক্স; ফার্মাকো ইন্টারন্যাশনাল; কাশেম সিল্ক; কাশেম টেক্সটাইল; রাসপিট ইনকোরেশন বিডি; রোজ হ্যাভেন বলপেন; সালেহ কার্পেট মিলস; শ্রীপুর টেক্সটাইল মিলস এবং ইউনাইটেড এয়ার (বিডি)।

আরও পড়ুন: এসএমই-এটিবি কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচায় নতুন নির্দেশনা

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

চলতি মাসেই চালু হচ্ছে ডিএসই’র বিকল্প বাজার

আপডেট: ০১:৪৯:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত ২৯ আগস্ট বিকল্প বাজার বা অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডের (এটিবি) প্রবিধিমালার খসড়া অনুমোদন দিয়েছিল। এটিবি চালু করতে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আগামী সপ্তাহে গেজেট প্রকাশের পরেই এটিবি চালু হওয়ার আশা করছে বাজার সংশ্লিষ্টরা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ডিএসই প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান মুজমদার বলেন, এটিবি মার্কেট চালুর জন্য আমরা এক বছর আগে থেকেই পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়েছি। এটিবির রেগুলেশন গেজেট আকারে প্রকাশ হলেই এই মার্কেট চালুর দিন তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এই মাসের চালুর সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন: সপ্তাহজুড়ে ১৯ কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা

প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, বিকল্প বাজারের মাধ্যমে কিছু কোম্পানিকে বাজারে আনা সম্ভব হবে। তবে তদারকি ঠিকমতো না হলে এ বাজারের অপব্যবহারও হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, এটিবি বিনিয়োগকারীর আস্থা অর্জন, বিনিয়োগকারী নিরাপদ বা ঝুঁকিমুক্তভাবে বিনিয়োগ করতে সহায়তা করবে।

আরও পড়ুন: বিকালে চার কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণা

প্রসঙ্গত, মূলত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানি নিয়ে এটিবি গঠন করা হবে। এর মধ্যে যেসব কোম্পানির মূলধন ৫ কোটি টাকার নিচে তাদের সুযোগ দেওয়া হবে। এমনকি ৩০ বা ৫০ লাখ টাকার কোম্পানিও এতে তালিকাভুক্ত হবে পারবে।

এ ছাড়া ডিএসইর তালিকাভুক্ত কিন্তু লোকসানের কারণ বিলুপ্ত হয়ে ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটের (ওটিসি) রয়েছে, এমন কোম্পানিও মধ্যে যাদের ব্যবসা সচল রয়েছে এবং নিয়মিত এজিএম অনুষ্ঠিত হয় ও বার্ষিক প্রতিবেদন রয়েছে তারা সুযোগ পাবে।

এ ছাড়া এটিবিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ৫১ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকের কাছে রাখতে হবে। আর বাকি ৪৯ শতাংশ শেয়ার তারা বিক্রি করতে পারবে। তবে প্রতিষ্ঠানকে প্রথম মাসে ১০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করতে হবে। বিএসইসি কোনো কোম্পানিকে নির্দেশ দিলে ওই কোম্পানির জন্য নিয়মটি প্রযোজ্য হবে না। লেনদেন শুরুর প্রথম দুদিন সার্কিট ব্রেকার থাকবে ৪ শতাংশ। নিয়মিত দর বাড়া বা কমার ক্ষেত্রে এটি হবে ৫ শতাংশ।

এই বাজারে বিনিয়োগকারী যে কোনো সময় শেয়ার কিনতে পারলেও তিন মাসের আগে বিক্রি করতে পারবে না। বিক্রি করলেও লাভের সব টাকা দিতে হবে বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিলে। কারসাজি বন্ধে এটিবি বিনিয়োগকারীদের জন্য থাকবে মার্জিন ঋণের সুবিধা। আর তালিকাভুক্ত হওয়ার আগের উদ্যোক্তা-পরিচালকসহ প্লেসমেন্টধারীরা প্রাথমিক (প্রাইমারি) শেয়ারহোল্ডার হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিষয় প্রবিধানমালায় উল্লেখ আছে।

উল্লেখ্য, এরই মধ্যে বিএসইসি নতুন এই বাজারের জন্য ১৮টি কোম্পানি চূড়ান্ত করেছে। এ ছাড়া পাবলিক কিন্তু তালিকাভুক্ত নয় দেশে এমন কোম্পানির সংখ্যা ২ হাজার ১৭৩টি। এটিবি চালু হলে মার্চেন্ট ব্যাংকের সহযোগিতা ছাড়াই সরাসরি ডিএসইর মাধ্যমে বা বিশেষ ক্ষেত্রে বিএসইসির নির্দেশনায় এসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে।

বিকল্প বাজারের জন্য চূড়ান্ত হওয়া কোম্পানিগুলো হচ্ছে: বাংলা প্রসেস; ড্যান্ডি ডায়িং; ডায়নামিক টেক্সটাইল; মেটালেক্স করপোরেশন; মিতা টেক্সটাইল; মর্ডান সিমেন্টে; মর্ডান ইন্ডাস্ট্রিজ; মোনা ফোড; পারফিউম কেমিক্যাল; পেট্রো সিনথেটিক্স; ফার্মাকো ইন্টারন্যাশনাল; কাশেম সিল্ক; কাশেম টেক্সটাইল; রাসপিট ইনকোরেশন বিডি; রোজ হ্যাভেন বলপেন; সালেহ কার্পেট মিলস; শ্রীপুর টেক্সটাইল মিলস এবং ইউনাইটেড এয়ার (বিডি)।

আরও পড়ুন: এসএমই-এটিবি কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচায় নতুন নির্দেশনা

ঢাকা/এসএ