০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

জুমাতুল বিদায়ে আল-আকসায় হামলা: ১৬৩ ফিলিস্তিনি আহত

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:১৬:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১
  • / ৪১৭০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল ডেস্কঃ জেরুজালেমে অবস্থিত মসজিদ আল-আকসায় শুক্রবার ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৬৩ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এ সময় ফিলিস্তিনিদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে ৬ ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনাও আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়।

অবৈধভাবে ফিলিস্তিনিদের বসতি উচ্ছেদে জেরে আল-আকসায় মুসল্লিদের তাড়িয়ে দিতে চাইলে প্রথমে ইহুদি সেটেলারদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলিবর্ষণ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী।

ফিলিস্তিনিদের দেয়া ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গুরুতর আহত ও গুলিবিদ্ধ ৮৮ জন ফিলিস্তিনিকে জেরুজালেম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার (৭ মে) রমজানের শেষ জুমায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি মুসল্লি জেরুজালেমের তৃতীয় পবিত্রতম আল-আকসা মসজিদে জমায়েত হন। অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের উচ্ছেদের কবলেপড়া ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ করেছেন তারা।

চলমান উত্তেজনার মধ্যেই শেখ তাইসির আবু সুনাইনাহের শুক্রবারের খুতবায় ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের বিষয়টিই বেশি স্থান পেয়েছে। শেখ জাররাহ গ্রামের অধিবাসীদের তিনি বলেন, বাড়িতে আপনারা অবিচল ও সহনশীল থাকবেন। তিনি সবাইকে ধৈর্যহারা হতে না করেন।

জুমার পর উচ্ছেদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে হাজারো মুসল্লি আল-আকসা প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন। এ সময়ে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়িয়ে তারা স্লোগান দিতে থাকেন। তারা বলেন, জীবন দিয়ে হলেও আমরা আল-আকসাকে উদ্ধার করব।
সোমবার শেখ জাররাহ গ্রামটি থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদে ইসরাইলি সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হবে।

১৯৫৬ সাল থেকে গ্রামটির ২৭টি বাড়িতে ৩৭ ফিলিস্তিনি পরিবার বসবাস করে আসছেন। তাদের মধ্যে ২৮টি শরণার্থী পরিবার ১৯৪৮ সালে জাফা ও হাইফায় জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের মুখে এই গ্রামে এসে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু অবৈধ দখলদাররা এখন তাদের উচ্ছেদ করতে মরিয়া।

সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, আল-জাজিরা

শেয়ার করুন

x
English Version

জুমাতুল বিদায়ে আল-আকসায় হামলা: ১৬৩ ফিলিস্তিনি আহত

আপডেট: ১১:১৬:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল ডেস্কঃ জেরুজালেমে অবস্থিত মসজিদ আল-আকসায় শুক্রবার ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৬৩ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এ সময় ফিলিস্তিনিদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে ৬ ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনাও আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়।

অবৈধভাবে ফিলিস্তিনিদের বসতি উচ্ছেদে জেরে আল-আকসায় মুসল্লিদের তাড়িয়ে দিতে চাইলে প্রথমে ইহুদি সেটেলারদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলিবর্ষণ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী।

ফিলিস্তিনিদের দেয়া ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গুরুতর আহত ও গুলিবিদ্ধ ৮৮ জন ফিলিস্তিনিকে জেরুজালেম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার (৭ মে) রমজানের শেষ জুমায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি মুসল্লি জেরুজালেমের তৃতীয় পবিত্রতম আল-আকসা মসজিদে জমায়েত হন। অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের উচ্ছেদের কবলেপড়া ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ করেছেন তারা।

চলমান উত্তেজনার মধ্যেই শেখ তাইসির আবু সুনাইনাহের শুক্রবারের খুতবায় ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের বিষয়টিই বেশি স্থান পেয়েছে। শেখ জাররাহ গ্রামের অধিবাসীদের তিনি বলেন, বাড়িতে আপনারা অবিচল ও সহনশীল থাকবেন। তিনি সবাইকে ধৈর্যহারা হতে না করেন।

জুমার পর উচ্ছেদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে হাজারো মুসল্লি আল-আকসা প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন। এ সময়ে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়িয়ে তারা স্লোগান দিতে থাকেন। তারা বলেন, জীবন দিয়ে হলেও আমরা আল-আকসাকে উদ্ধার করব।
সোমবার শেখ জাররাহ গ্রামটি থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদে ইসরাইলি সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হবে।

১৯৫৬ সাল থেকে গ্রামটির ২৭টি বাড়িতে ৩৭ ফিলিস্তিনি পরিবার বসবাস করে আসছেন। তাদের মধ্যে ২৮টি শরণার্থী পরিবার ১৯৪৮ সালে জাফা ও হাইফায় জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের মুখে এই গ্রামে এসে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু অবৈধ দখলদাররা এখন তাদের উচ্ছেদ করতে মরিয়া।

সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, আল-জাজিরা