জেমিনি সি ফুডের আর্থিক প্রতিবেদন যাচাইয়ে তদন্ত কমিটি
- আপডেট: ১২:৪০:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩
- / ৪৪৮১ বার দেখা হয়েছে
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) জেমিনি সি ফুডের আর্থিক প্রতিবেদনে অসঙ্গতি যাচাইয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটি কোম্পানিটির প্রকাশিত জুলাই, ২২ থেকে মার্চ, ২৩ পর্যন্ত নয় মাসের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন যাচাই করে দেখবে।
এর আগে প্রাথমিক তদন্তে কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনে অসঙ্গতির তথ্য উঠে এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিএসইসি সার্বিক দিক বিবেচনা করে তদন্ত কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিএসইসি এই তদন্ত কমিটি গঠন করে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
তদন্ত কমিটির তিন সদস্যের মধ্যে রয়েছে বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোল্লা মিরাজ-উস-সুন্নাহ, সহকারী পরিচালক আনোয়ারুল আজিম এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপক রুমানা ফেরদৌস মৌ। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিটি কোম্পানির অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং অপারেশনাল দক্ষতা, নির্ভরযোগ্য আর্থিক প্রতিবেদন এবং আইন, প্রবিধান এবং নীতির সাথে সম্মতি নিশ্চিতের বিষয়টিও তদন্ত করবে। এছাড়া, পরিচালনা পর্ষদ, অডিট কমিটি এবং শীর্ষ ব্যবস্থাপনার ভূমিকা স্ক্যান করার এবং বিনিয়োগকারীদের কাছে মিথ্যা এবং পক্ষপাতমূলক আর্থিক তথ্য সম্পর্কিত প্রমাণ জমা দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই কোম্পানির লেনদেন স্থগিত কাল
আর্থিক বিবৃতিতে মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর মূল্য-সংবেদনশীল তথ্য ব্যবহার করে পরিচালনা পর্ষদ, শীর্ষ ব্যবস্থাপনা এবং কোম্পানির অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সম্ভাব্য মূল্যেরও তদন্ত করবে।
জানা গেছে, জুলাই, ২২ থেকে মার্চ, ২৩ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৬৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। যার মধ্যে ২৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা স্থানীয় বিক্রয় থেকে এসেছে। বাকি ৩৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা রপ্তানি থেকে এসেছে। কিন্তু স্থানীয় বাজারে ১৬টি লেনদেনের মাধ্যমে ৭টি কোম্পানির কাছে বিক্রির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/টিএ