০৭:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

টাকা আত্মসাতে এনসিসি ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:০১:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩
  • / ৪১৮৭ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে ৫১টি পে-অর্ডার ইস্যু করে ১ কোটি ৬০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এনসিসি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকসহ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৭ মার্চ) দুদকের গাজীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মামলার আসামিরা হলেন- এনসিসি ব্যাংকের নরসিংদী শাখার বরখাস্ত হওয়া ব্যবস্থাপক নাসিরুদ্দীন আহম্মদ, উপ-ব্যবস্থাপক মো. ফরহাদ হোসেন, এক্সিকিউটিভ অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক কম্পিউটার অপারেটর মো. সাইফুর রহমান ও ব্যাংকটির অফিসার মো. নাজমুল ইসলাম। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা একে অপরের সহায়তায় প্রতারণা, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ২৫ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে ৫১টি পে-অর্ডার ইস্যু করে মোট ১ কোটি ৬০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় আসামিরা গ্রাহকের নামে পরিচালিত বিশেষ সঞ্চয়ী হিসাব, অন্যান্য গ্রাহকের ভুয়া মেয়াদি আমানত ও বন্ধ হিসাব কৌশলে ব্যবহার করেছেন।

আরও পড়ুন: এনবিআরের সম্পদ আহরণের দুর্বলতা রয়েছে: সিপিডি

জানা যায়, অর্থ আত্মসাতের অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যাংক ব্যবস্থাপক নাসিরুদ্দীন আহম্মদ ও উপ-ব্যবস্থাপক মো. ফরহাদ হোসেন উল্লেখিত পে-অর্ডারগুলোর একাউন্ট পেয়ী বাতিল করে ক্যাশে পরিশোধের জন্য ব্যবস্থা করেন। পরিশেষে কম্পিউটার অপারেটর মো. সাইফুর রহমানের দেন।এসময় মো. সাইফুর রহমান ও অফিসার মো. নাজমুল ইসলাম পে-অর্ডারের সই যাচাই করে ব্যাংক ব্যবস্থাপক নাসিরুদ্দীন আহম্মদ ও উপ-ব্যবস্থাপক মো. ফরহাদ হোসেন ও এক্সিকিউটিভ অফিসার জাহাঙ্গীর আলমের কাছে সেগুলো নগদায়নের নিমিত্ত উপস্থাপন করেন। এরপর তারা দেখে পে-অর্ডারগুলো নগদ পরিশোধের নিমিত্ত পাস করে সাইফুর রহমানের কাছে দেন।

এরপর মো. সাইফুর রহমান পে-অর্ডারের অপর পৃষ্ঠায় নিজেই বিভিন্ন ব্যক্তির সই জাল করে ক্যাশ থেকে নগদে এক কোটি ৬০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা উত্তোলন করে পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন। এঘটনায় অনুসন্ধান চলমান। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছেন।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

টাকা আত্মসাতে এনসিসি ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আপডেট: ০৮:০১:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে ৫১টি পে-অর্ডার ইস্যু করে ১ কোটি ৬০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এনসিসি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকসহ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৭ মার্চ) দুদকের গাজীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মামলার আসামিরা হলেন- এনসিসি ব্যাংকের নরসিংদী শাখার বরখাস্ত হওয়া ব্যবস্থাপক নাসিরুদ্দীন আহম্মদ, উপ-ব্যবস্থাপক মো. ফরহাদ হোসেন, এক্সিকিউটিভ অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক কম্পিউটার অপারেটর মো. সাইফুর রহমান ও ব্যাংকটির অফিসার মো. নাজমুল ইসলাম। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা একে অপরের সহায়তায় প্রতারণা, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ২৫ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে ৫১টি পে-অর্ডার ইস্যু করে মোট ১ কোটি ৬০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় আসামিরা গ্রাহকের নামে পরিচালিত বিশেষ সঞ্চয়ী হিসাব, অন্যান্য গ্রাহকের ভুয়া মেয়াদি আমানত ও বন্ধ হিসাব কৌশলে ব্যবহার করেছেন।

আরও পড়ুন: এনবিআরের সম্পদ আহরণের দুর্বলতা রয়েছে: সিপিডি

জানা যায়, অর্থ আত্মসাতের অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যাংক ব্যবস্থাপক নাসিরুদ্দীন আহম্মদ ও উপ-ব্যবস্থাপক মো. ফরহাদ হোসেন উল্লেখিত পে-অর্ডারগুলোর একাউন্ট পেয়ী বাতিল করে ক্যাশে পরিশোধের জন্য ব্যবস্থা করেন। পরিশেষে কম্পিউটার অপারেটর মো. সাইফুর রহমানের দেন।এসময় মো. সাইফুর রহমান ও অফিসার মো. নাজমুল ইসলাম পে-অর্ডারের সই যাচাই করে ব্যাংক ব্যবস্থাপক নাসিরুদ্দীন আহম্মদ ও উপ-ব্যবস্থাপক মো. ফরহাদ হোসেন ও এক্সিকিউটিভ অফিসার জাহাঙ্গীর আলমের কাছে সেগুলো নগদায়নের নিমিত্ত উপস্থাপন করেন। এরপর তারা দেখে পে-অর্ডারগুলো নগদ পরিশোধের নিমিত্ত পাস করে সাইফুর রহমানের কাছে দেন।

এরপর মো. সাইফুর রহমান পে-অর্ডারের অপর পৃষ্ঠায় নিজেই বিভিন্ন ব্যক্তির সই জাল করে ক্যাশ থেকে নগদে এক কোটি ৬০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা উত্তোলন করে পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন। এঘটনায় অনুসন্ধান চলমান। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছেন।

ঢাকা/এসএ