০২:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

ডিএসই’র প্রধান সূচক ৩৩ মাসের সর্বনিম্ন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৫২:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
  • / ৪২৮৯ বার দেখা হয়েছে

রাজনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে উঠা দেশের পুঁজিবাজার ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর কিছু দিন স্বস্তিতে ছিলো বিনিয়োগকারীরা। ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের গতি কিছুটা কমেছে। বেশ কিছু অসাধু চক্রের নতুন করে আরও কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের গুজবে আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা। ফলে আজ বুধবার (১২ মার্চ) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচকের পতনে ৩৩ মাসের নিচে অবস্থান করেছে। এদিন ডিএসইর লেনদেন কমে চার’শ কোটির ঘরে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) একই চিত্রে লেনদেন শেষ হয়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ডিএসইর প্রধান সূচক এর আগে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই দরপতনে ছয় হাজারের নিচে চলে যাবার পরে ফ্লোরপ্রাইস আরোপ করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পুঁজিবাজারে দরপতন ঠেকাতে ফ্লোরপ্রাইস আরোপের মত নজিরবিহীন ব্যবস্থা নেয় বিএসইসি, যদিও এ ব্যবস্থার উল্টা মাশুল গুণতে হয় বিনিয়োগকারী ও বাজারকে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই’র প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৩২ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৯৭৪ পয়েন্টে। যা ৩৩ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ০৭ জুন, ২০২১ তারিখে সূচক ছিলো ৫ হাজার ৯৭৫ পয়েন্ট।

অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৯.০৮ পয়েন্ট ০.৬৯ শতাংশ কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩০০.৮২ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৭.২৬ পয়েন্ট ০.৩৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৬.৫৬ পয়েন্টে।

বাজারের এই সংকট কাটিয়ে উঠতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিএসইসির মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাজারের প্রতিটি অবস্থার উপর নজর রাখছে এবং পর্যবেক্ষন করছে। বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) থেকে যে ফান্ড বাজারে আসার কথা তা দ্রুততম সময়ে বাজারে আনার চেষ্টা করছে কমিশন। কিছু ফান্ড বাজারে আসলেই এই অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন হবে বলে আশা করছি।

তিনি বলেন, কোভিড পরবর্তী ফ্লোর-প্রাইজ তুলে নেয়ার পর এটিই পুঁজিবাজারে সূচকের সর্বনিম্ন অবস্থান। বিনিয়োগকারীদের বলবো আতঙ্কিত হয়ে প্যানিক সেল না দেয়ার জন্য। আমরা আশা করছি খুব দ্রুতই এই সংকট কাটিয়ে উঠবে পুঁজিবাজার।

বুধবার ডিএসইতে ৪৮৩ কোটি ৩০ লাখ ৩৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আজ ডিএসইতে আগের দিন থেকে ৮০ কোটি ২২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা কম লেনদেন হয়েছে। গতকাল ডিএসইতে ৫৬৩ কোটি ৫৩ লাখ ২৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল

আরও পড়ুন: টার্নওভারের শীর্ষে লাভেলো আইসক্রিম

এদিন ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো-  কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের ৫.৭৪ শতাংশ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ৫.২৬ শতাংশ, রিজেন্ট টেক্সটাইলের ৫.০৪ শতাংশ, ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ৪.৫২ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ৪.১৬ শতাংশ, রূপালী ব্যাংকের ৪.১১ শতাংশ, তাল্লু স্পিনিংয়ের ৪.০৫ শতাংশ, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের ৪.০৪ শতাংশ, ফাইন ফুডসের ৪.০১ শতাংশ এবং এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের ৪.০১ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।

বুধবার ডিএসইতে মোট ৩৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৫টির, কমেছে ৩০৮টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৫টির।

অপর পুঁজিবাজার সিএসইর প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ৯৪.৬৮ পয়েন্ট বা ০.৯১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৭১.১৩ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫৭.৮২ পয়েন্ট বা ০.৯১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ১০৫.৪৫ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ১০.৪৮ পয়েন্ট বা ০.৯৩ শতাংশ কমে ১ হাজার ১০৬.৩৮ পয়েন্টে এবং সিএসই৩০ সূচক ৭৭.০৩ পয়েন্ট বা ০.৫৯ শতাংশ কমে ১২ হাজার ৮৪৮.৭১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

আজ সিএসইতে ২১৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ১৩১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির।

দিন শেষে সিএসইতে ১১ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৬ কোটি ৮৩ লাখ ১৬ হাজার টাকার শেয়ার।

ঢাকা/টিএ

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x
English Version

ডিএসই’র প্রধান সূচক ৩৩ মাসের সর্বনিম্ন

আপডেট: ০২:৫২:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪

রাজনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে উঠা দেশের পুঁজিবাজার ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর কিছু দিন স্বস্তিতে ছিলো বিনিয়োগকারীরা। ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের গতি কিছুটা কমেছে। বেশ কিছু অসাধু চক্রের নতুন করে আরও কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের গুজবে আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা। ফলে আজ বুধবার (১২ মার্চ) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচকের পতনে ৩৩ মাসের নিচে অবস্থান করেছে। এদিন ডিএসইর লেনদেন কমে চার’শ কোটির ঘরে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) একই চিত্রে লেনদেন শেষ হয়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ডিএসইর প্রধান সূচক এর আগে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই দরপতনে ছয় হাজারের নিচে চলে যাবার পরে ফ্লোরপ্রাইস আরোপ করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পুঁজিবাজারে দরপতন ঠেকাতে ফ্লোরপ্রাইস আরোপের মত নজিরবিহীন ব্যবস্থা নেয় বিএসইসি, যদিও এ ব্যবস্থার উল্টা মাশুল গুণতে হয় বিনিয়োগকারী ও বাজারকে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই’র প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৩২ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৯৭৪ পয়েন্টে। যা ৩৩ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ০৭ জুন, ২০২১ তারিখে সূচক ছিলো ৫ হাজার ৯৭৫ পয়েন্ট।

অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৯.০৮ পয়েন্ট ০.৬৯ শতাংশ কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩০০.৮২ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৭.২৬ পয়েন্ট ০.৩৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৬.৫৬ পয়েন্টে।

বাজারের এই সংকট কাটিয়ে উঠতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিএসইসির মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাজারের প্রতিটি অবস্থার উপর নজর রাখছে এবং পর্যবেক্ষন করছে। বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) থেকে যে ফান্ড বাজারে আসার কথা তা দ্রুততম সময়ে বাজারে আনার চেষ্টা করছে কমিশন। কিছু ফান্ড বাজারে আসলেই এই অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন হবে বলে আশা করছি।

তিনি বলেন, কোভিড পরবর্তী ফ্লোর-প্রাইজ তুলে নেয়ার পর এটিই পুঁজিবাজারে সূচকের সর্বনিম্ন অবস্থান। বিনিয়োগকারীদের বলবো আতঙ্কিত হয়ে প্যানিক সেল না দেয়ার জন্য। আমরা আশা করছি খুব দ্রুতই এই সংকট কাটিয়ে উঠবে পুঁজিবাজার।

বুধবার ডিএসইতে ৪৮৩ কোটি ৩০ লাখ ৩৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আজ ডিএসইতে আগের দিন থেকে ৮০ কোটি ২২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা কম লেনদেন হয়েছে। গতকাল ডিএসইতে ৫৬৩ কোটি ৫৩ লাখ ২৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল

আরও পড়ুন: টার্নওভারের শীর্ষে লাভেলো আইসক্রিম

এদিন ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো-  কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের ৫.৭৪ শতাংশ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ৫.২৬ শতাংশ, রিজেন্ট টেক্সটাইলের ৫.০৪ শতাংশ, ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ৪.৫২ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ৪.১৬ শতাংশ, রূপালী ব্যাংকের ৪.১১ শতাংশ, তাল্লু স্পিনিংয়ের ৪.০৫ শতাংশ, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের ৪.০৪ শতাংশ, ফাইন ফুডসের ৪.০১ শতাংশ এবং এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের ৪.০১ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।

বুধবার ডিএসইতে মোট ৩৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৫টির, কমেছে ৩০৮টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৫টির।

অপর পুঁজিবাজার সিএসইর প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ৯৪.৬৮ পয়েন্ট বা ০.৯১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৭১.১৩ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫৭.৮২ পয়েন্ট বা ০.৯১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ১০৫.৪৫ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ১০.৪৮ পয়েন্ট বা ০.৯৩ শতাংশ কমে ১ হাজার ১০৬.৩৮ পয়েন্টে এবং সিএসই৩০ সূচক ৭৭.০৩ পয়েন্ট বা ০.৫৯ শতাংশ কমে ১২ হাজার ৮৪৮.৭১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

আজ সিএসইতে ২১৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ১৩১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির।

দিন শেষে সিএসইতে ১১ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৬ কোটি ৮৩ লাখ ১৬ হাজার টাকার শেয়ার।

ঢাকা/টিএ