১২:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪

তিন মাসে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ২৬ শতাংশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:১১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪১৮২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুটি খাতে ধারাবাহিক সংকট তৈরি হয়েছে। এতে রিজার্ভে চাপ বাড়ছে। ডলার সংকট ও রিজার্ভের ধারাবাহিক পতনের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুটি খাতেই দু:সংবাদ এসেছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৫৪ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার বা ২৬ শতাংশ। রপ্তানি আয়ের চেয়ে আমদানি ব্যয় বেশি হওয়ায় এই বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যের (ব্যালান্স অব পেমেন্ট) এ তথ্য উঠে এসেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বরে) ১ হাজার ৯৩৪ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। তার বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ১৮০ কোটি ডলারের পণ্য। এতে ৭৫৪ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের বা ২৫ দশমিক ৬২ শতাংশ বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন: রিজার্ভ কমে দাড়িয়েছে ৩৫ বিলিয়ন ডলারে

এসময় সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতিও বেড়েছে। সেপ্টেম্বর মাস শেষে সেবা খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ২২৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। অন্যদিকে সেবা খাতে ব্যয় হয়েছে ৩৩৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। এ খাতের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১১০ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৬০ কোটি ডলার।

আরও পড়ুন: পোশাক রপ্তানি বেড়েছে সাড়ে ১১ কোটি ডলার

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাস শেষে চলতি হিসাবের ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৬১ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে একই সময়ে এ ঘাটতি ছিল ২৫৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরের ৩ মাসে ঘাটতি বেড়েছে ১০৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ কমে দাড়িয়েছে ৩৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত রিজার্ভ থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে গত বছরের আগস্টে রিজার্ভ উঠেছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

তিন মাসে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ২৬ শতাংশ

আপডেট: ০৭:১১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুটি খাতে ধারাবাহিক সংকট তৈরি হয়েছে। এতে রিজার্ভে চাপ বাড়ছে। ডলার সংকট ও রিজার্ভের ধারাবাহিক পতনের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুটি খাতেই দু:সংবাদ এসেছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৫৪ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার বা ২৬ শতাংশ। রপ্তানি আয়ের চেয়ে আমদানি ব্যয় বেশি হওয়ায় এই বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যের (ব্যালান্স অব পেমেন্ট) এ তথ্য উঠে এসেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বরে) ১ হাজার ৯৩৪ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। তার বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ১৮০ কোটি ডলারের পণ্য। এতে ৭৫৪ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের বা ২৫ দশমিক ৬২ শতাংশ বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন: রিজার্ভ কমে দাড়িয়েছে ৩৫ বিলিয়ন ডলারে

এসময় সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতিও বেড়েছে। সেপ্টেম্বর মাস শেষে সেবা খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ২২৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। অন্যদিকে সেবা খাতে ব্যয় হয়েছে ৩৩৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। এ খাতের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১১০ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৬০ কোটি ডলার।

আরও পড়ুন: পোশাক রপ্তানি বেড়েছে সাড়ে ১১ কোটি ডলার

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাস শেষে চলতি হিসাবের ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৬১ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে একই সময়ে এ ঘাটতি ছিল ২৫৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরের ৩ মাসে ঘাটতি বেড়েছে ১০৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ কমে দাড়িয়েছে ৩৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত রিজার্ভ থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে গত বছরের আগস্টে রিজার্ভ উঠেছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে।

ঢাকা/এসএ