০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

দেশ-বিদেশে ২৮ ডিজিটাল বুথের অনুমোদন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২১
  • / ৪১৩১ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার ডিজিটালাইজেশন করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তারই অংশ হিসেবে দেশে-বিদেশে ডিজিটাল বুথ স্থাপনের কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।  গত বছরের শেষের দিকে এই কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ২৮টি ডিজিটাল বুথ স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, সক্ষমতা যাচাই সাপেক্ষে বুথ খোলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আমরা মোট ২৮টি বুথ খোলার অনুমোদন দিয়েছি।

জানা গেছে, সবার  আগে ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন পায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেড। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে তারা প্রথম ডিজিাল বুথ খুলে ইতিহাসে নাম লেখায়। পরে কানাডার টরেন্টোতে ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমতি পায় পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ।

বিএসইসি সূত্র বলছে,  ২৮টি ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমতি পেয়েছে দুই এক্সচেঞ্জের সদস্যভুক্ত ১০টি ব্রোকারেজ হাউজ। এর মধ্যে বিদেশে ২টি ও দেশে ২৬টি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অনুমতি পাওয়া হাউজগুলো হলো— আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ, ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ, পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, ইউনাইটেড ফাইন্যান্স অ্যান্ড ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড, বি রিচ, কবির সিকিউরিটিজ, রয়েল ক্যাপিটাল, গ্রিন ডেলটা সিকিউরিটিজ, ফখরুল ইসলাম সিকিউরিটিজ এবং স্কয়ার সিকিউরিটিজ লিমিটেড।

এগুলোর মধ্যে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের ১০টি, ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজের ৫টি, পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজের ১টি, ইউনাইটেড ফাইন্যান্স অ্যান্ড ট্রেডিং কোম্পানির ১টি, বি রিচ এর ৩টি, কবির সিকিউরিটিজের ২টি, রয়েল ক্যাপিটালের ১টি, গ্রিন ডেলটা সিকিউরিটিজের ১টি, ফখরুল ইসলাম সিকিউরিটিজের ১টি এবং স্কয়ার সিকিউরিটিজের ১টি।

সবচেয়ে বেশি ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন পেয়েছে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ। প্রতিষ্ঠানটি মোট ১০টি ডিজিটাল বুথের অনুমোদন পেয়েছে। এই ১০টি বুথের মধ্যে ভোলায় ১টি, রাঙামাটিতে ১টি, সাতক্ষীরায় ১টি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১টি, হাজীগঞ্জে ১টি, সিরাজগঞ্জে ২টি, ফটিকছড়িতে ১টি, কক্সবাজারে ১টি এবং লক্ষীপুরে ১টি ডিজিটাল বুথ খুলবে।

দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ। প্রতিষ্ঠানটি মোট ৫টি বুথ খোলার অনুমোতি পেয়েছে। এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত দুবাই ১টি, চট্টগামের খাতুনগঞ্জে ২টি, খুলনায় ১টি এবং বরিশালে ১টি।

ইউনাইটেড ফাইন্যান্স অ্যান্ড ট্রেডিং কোম্পানি ও বি রিচ কোম্পানি ৩টি করে বুথ খোলার অনুমোদন পেয়েছে। এর মধ্যে ইউনাইটেড ফাইন্যান্স অ্যান্ড ট্রেডিং কোম্পানি দেশের অভ্যন্তরে রংপুর, সিরাজগঞ্জ ও গাজীপুরে এই বুথ খোলার অনুমোদন পেয়েছে। আর বি রিচ চট্টগ্রামের সন্দীপ, নোয়াখালীর সুন্দরপুর ও সিলেটের দক্ষিণ ধোপার দিঘীর পাড়ে ডিজিটাল বুথ খুলবে।

এছাড়া, কবির সিকিউরিটিজ চট্টগ্রামের নাজির হাট ও খাতুগঞ্জে ২ টি; রয়েল ক্যাপিটাল কক্সবাজারের ঝিলংজায়, গ্রিনডেল্টা সিকিউরিটিজ ঢাকার ধানমন্ডিতে এবং পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ কানাডার টরেনটোতে, ফখরুল ইসলাম সিকিউরিটিজ সিলেটের বিয়ানী বাজারে, স্কয়ার সিকিউরিটিজ ইশ্বরদিতে ১টি করে ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন পেয়েছে।

তিনটি ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউনাইটেড ফাইন্যান্স অ্যান্ড ট্রেডিং কোম্পানির  ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুল আওয়াল। শেয়ারবাজারনিউজকে তিনি বলেন, সম্প্রতি তিনটি ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন আমরা পেয়েছি। তবে কবে সেগুলো খোলা হবে তা এখন নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। পরে জানানো যাবে।

১০টি বুধ অনুমোদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এফসিএমএ। বৃহস্পতিবার তিনি শেয়ারবাজারনিউজকে বলেন, ডিজিটাল বুথের অনুমোদন পাওয়ার পর ইতিমধ্যে আমরা কয়েকটির কার্যক্রম শুরু করেছি। বাকিগুলো শিগগিরই চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।

বিএসইসি জানিয়েছে, স্থানীয়, প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তুলতে দেশে ও বিদেশে ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমতি দিচ্ছে কমিশন। এর মধ্যে বেশ কিছু ব্রোকার তাদের পছন্দমতো জায়গায় বুথ খোলার আবেদন জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদন যাচাই-বাছাই করে পর্যায়ক্রমে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x
English Version

দেশ-বিদেশে ২৮ ডিজিটাল বুথের অনুমোদন

আপডেট: ০২:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার ডিজিটালাইজেশন করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তারই অংশ হিসেবে দেশে-বিদেশে ডিজিটাল বুথ স্থাপনের কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।  গত বছরের শেষের দিকে এই কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ২৮টি ডিজিটাল বুথ স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, সক্ষমতা যাচাই সাপেক্ষে বুথ খোলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আমরা মোট ২৮টি বুথ খোলার অনুমোদন দিয়েছি।

জানা গেছে, সবার  আগে ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন পায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেড। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে তারা প্রথম ডিজিাল বুথ খুলে ইতিহাসে নাম লেখায়। পরে কানাডার টরেন্টোতে ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমতি পায় পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ।

বিএসইসি সূত্র বলছে,  ২৮টি ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমতি পেয়েছে দুই এক্সচেঞ্জের সদস্যভুক্ত ১০টি ব্রোকারেজ হাউজ। এর মধ্যে বিদেশে ২টি ও দেশে ২৬টি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অনুমতি পাওয়া হাউজগুলো হলো— আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ, ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ, পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, ইউনাইটেড ফাইন্যান্স অ্যান্ড ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড, বি রিচ, কবির সিকিউরিটিজ, রয়েল ক্যাপিটাল, গ্রিন ডেলটা সিকিউরিটিজ, ফখরুল ইসলাম সিকিউরিটিজ এবং স্কয়ার সিকিউরিটিজ লিমিটেড।

এগুলোর মধ্যে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের ১০টি, ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজের ৫টি, পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজের ১টি, ইউনাইটেড ফাইন্যান্স অ্যান্ড ট্রেডিং কোম্পানির ১টি, বি রিচ এর ৩টি, কবির সিকিউরিটিজের ২টি, রয়েল ক্যাপিটালের ১টি, গ্রিন ডেলটা সিকিউরিটিজের ১টি, ফখরুল ইসলাম সিকিউরিটিজের ১টি এবং স্কয়ার সিকিউরিটিজের ১টি।

সবচেয়ে বেশি ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন পেয়েছে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ। প্রতিষ্ঠানটি মোট ১০টি ডিজিটাল বুথের অনুমোদন পেয়েছে। এই ১০টি বুথের মধ্যে ভোলায় ১টি, রাঙামাটিতে ১টি, সাতক্ষীরায় ১টি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১টি, হাজীগঞ্জে ১টি, সিরাজগঞ্জে ২টি, ফটিকছড়িতে ১টি, কক্সবাজারে ১টি এবং লক্ষীপুরে ১টি ডিজিটাল বুথ খুলবে।

দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ। প্রতিষ্ঠানটি মোট ৫টি বুথ খোলার অনুমোতি পেয়েছে। এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত দুবাই ১টি, চট্টগামের খাতুনগঞ্জে ২টি, খুলনায় ১টি এবং বরিশালে ১টি।

ইউনাইটেড ফাইন্যান্স অ্যান্ড ট্রেডিং কোম্পানি ও বি রিচ কোম্পানি ৩টি করে বুথ খোলার অনুমোদন পেয়েছে। এর মধ্যে ইউনাইটেড ফাইন্যান্স অ্যান্ড ট্রেডিং কোম্পানি দেশের অভ্যন্তরে রংপুর, সিরাজগঞ্জ ও গাজীপুরে এই বুথ খোলার অনুমোদন পেয়েছে। আর বি রিচ চট্টগ্রামের সন্দীপ, নোয়াখালীর সুন্দরপুর ও সিলেটের দক্ষিণ ধোপার দিঘীর পাড়ে ডিজিটাল বুথ খুলবে।

এছাড়া, কবির সিকিউরিটিজ চট্টগ্রামের নাজির হাট ও খাতুগঞ্জে ২ টি; রয়েল ক্যাপিটাল কক্সবাজারের ঝিলংজায়, গ্রিনডেল্টা সিকিউরিটিজ ঢাকার ধানমন্ডিতে এবং পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ কানাডার টরেনটোতে, ফখরুল ইসলাম সিকিউরিটিজ সিলেটের বিয়ানী বাজারে, স্কয়ার সিকিউরিটিজ ইশ্বরদিতে ১টি করে ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন পেয়েছে।

তিনটি ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউনাইটেড ফাইন্যান্স অ্যান্ড ট্রেডিং কোম্পানির  ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুল আওয়াল। শেয়ারবাজারনিউজকে তিনি বলেন, সম্প্রতি তিনটি ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন আমরা পেয়েছি। তবে কবে সেগুলো খোলা হবে তা এখন নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। পরে জানানো যাবে।

১০টি বুধ অনুমোদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এফসিএমএ। বৃহস্পতিবার তিনি শেয়ারবাজারনিউজকে বলেন, ডিজিটাল বুথের অনুমোদন পাওয়ার পর ইতিমধ্যে আমরা কয়েকটির কার্যক্রম শুরু করেছি। বাকিগুলো শিগগিরই চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।

বিএসইসি জানিয়েছে, স্থানীয়, প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তুলতে দেশে ও বিদেশে ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমতি দিচ্ছে কমিশন। এর মধ্যে বেশ কিছু ব্রোকার তাদের পছন্দমতো জায়গায় বুথ খোলার আবেদন জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদন যাচাই-বাছাই করে পর্যায়ক্রমে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: