১২:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

দ্বিতীয় ধাপে মিনি স্টেডিয়াম হচ্ছে ১৮৬ উপজেলায়

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:৩৬:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মে ২০২১
  • / ৪১৯০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: উপজেলা পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান পরিচালনা করাসহ খেলোয়াড়দের অনুশীলনের জন্য উপজেলা পর্যায় ক্রীড়া অবকাঠামো নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আটটি বিভাগের ৫৭ জেলায় ১৮৬ ‘উপজেলা পর্যায়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ (২য় পর্যায়)’ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এই প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ ও ভূমি উন্নয়ন, প্রতিটি উপজেলায় শেখ রাসেলের মুর‌্যাল স্থাপন, প্যাভিলিয়ন ভবন নির্মাণ, গ্যালারি নির্মাণ, কম্পিউটার সামগ্রী ও আসবাবপত্র ক্রয়, আরসিসি সারফেস ড্রেন, গাছ লাগানোসহ ইত্যাদি কাজ করা হবে।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, জাতীয় জীবনে শৃঙ্খলা, সুস্বাস্থ্য, নেতৃত্ব ও চরিত্র গঠনে খেলাধুলার অবদান অপরিসীম। বিশেষ করে দেশের তরুণ ও যুব সমাজকে ক্রীড়া কার্যক্রমে আগ্রহী করে প্রাণ চাঞ্চল্য ও চিত্ত-বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতেও খেলাধুলার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সরকার প্রতিটি উপজেলায় খেলার মাঠ নির্মাণের লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে একটি করে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম পর্যায়ে ১২৫টি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প ২০১৯ সালের জুনে শেষ হয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় ১৮৬টি উপজেলায় ২য় পর্যায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, খেলাধুলা বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, অনুশীলন ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজনের লক্ষে আনুষঙ্গিক অবকাঠামো গড়ে তোলার বিষয়টি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা দলিলে উল্লেখ রয়েছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনসহ খেলোয়াড়দের অনুশীলন এবং সার্বিকভাবে খেলাধুলার মান উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পেয়েছে। একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পটি চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সাবেক সদস্য (সচিব) আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনসহ খেলোয়াড়দের অনুশীলন এবং সার্বিকভাবে খেলাধুলার মান উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এসব স্টেডিয়াম সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে, পাশাপাশি প্রতিবন্ধীদের জন্যও খেলাধুলার ব্যবস্থা থাকবে। যেহেতু প্রকল্পটির প্রথম পর্যায় শেষ হয়েছে সেহেতু দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করার প্রয়োজন ছিল। এছাড়া প্রকল্পটি চলতি পঞ্চবার্ষিকীর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x

দ্বিতীয় ধাপে মিনি স্টেডিয়াম হচ্ছে ১৮৬ উপজেলায়

আপডেট: ০৪:৩৬:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: উপজেলা পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান পরিচালনা করাসহ খেলোয়াড়দের অনুশীলনের জন্য উপজেলা পর্যায় ক্রীড়া অবকাঠামো নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আটটি বিভাগের ৫৭ জেলায় ১৮৬ ‘উপজেলা পর্যায়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ (২য় পর্যায়)’ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এই প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ ও ভূমি উন্নয়ন, প্রতিটি উপজেলায় শেখ রাসেলের মুর‌্যাল স্থাপন, প্যাভিলিয়ন ভবন নির্মাণ, গ্যালারি নির্মাণ, কম্পিউটার সামগ্রী ও আসবাবপত্র ক্রয়, আরসিসি সারফেস ড্রেন, গাছ লাগানোসহ ইত্যাদি কাজ করা হবে।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, জাতীয় জীবনে শৃঙ্খলা, সুস্বাস্থ্য, নেতৃত্ব ও চরিত্র গঠনে খেলাধুলার অবদান অপরিসীম। বিশেষ করে দেশের তরুণ ও যুব সমাজকে ক্রীড়া কার্যক্রমে আগ্রহী করে প্রাণ চাঞ্চল্য ও চিত্ত-বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতেও খেলাধুলার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সরকার প্রতিটি উপজেলায় খেলার মাঠ নির্মাণের লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে একটি করে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম পর্যায়ে ১২৫টি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প ২০১৯ সালের জুনে শেষ হয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় ১৮৬টি উপজেলায় ২য় পর্যায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, খেলাধুলা বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, অনুশীলন ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজনের লক্ষে আনুষঙ্গিক অবকাঠামো গড়ে তোলার বিষয়টি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা দলিলে উল্লেখ রয়েছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনসহ খেলোয়াড়দের অনুশীলন এবং সার্বিকভাবে খেলাধুলার মান উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পেয়েছে। একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পটি চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সাবেক সদস্য (সচিব) আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনসহ খেলোয়াড়দের অনুশীলন এবং সার্বিকভাবে খেলাধুলার মান উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এসব স্টেডিয়াম সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে, পাশাপাশি প্রতিবন্ধীদের জন্যও খেলাধুলার ব্যবস্থা থাকবে। যেহেতু প্রকল্পটির প্রথম পর্যায় শেষ হয়েছে সেহেতু দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করার প্রয়োজন ছিল। এছাড়া প্রকল্পটি চলতি পঞ্চবার্ষিকীর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: