০২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

নাভানা ফার্মার শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস নির্ধারন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:২৩:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ জুলাই ২০২২
  • / ৪১৭১ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বুকবিল্ডিং পদ্ধতির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসার প্রক্রিয়ায় থাকা ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানি নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস নির্ধারন হয়েছে ৩৪ টাকা। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত নিলামে এই মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বুকবিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওর নিয়ম অনুসারে গত ৪ জুলাই থেকে ৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৫টায় নিলাম শেষ হয়। নিলামে ২৮১টি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। এতে অভিহিত মূল্যের সর্বোচ্চ উঠে ৩৪ টাকা। আর সর্বনিম্ন প্রস্তাব করা হয় ২০ টাকা।

জানা গেছে, মাত্র ২ সেকেন্ডে শেষ হয়ে গেছে নাভানা শেয়ার বিক্রির নিলাম। বর্তমান বিধি কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্যের ১ দশমিক ২ গুনের বেশি দর প্রস্তাব করা যায় না বলে নিলামে অংশগ্রহণারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ইচ্ছে থাকা সত্বেও হয়তো বেশি দর প্রস্তাব করতে পারেনি। তাই শেয়ার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে আইনি সীমার মধ্যে যতটুকু সর্বোচ্চ দর প্রস্তাব করা যায়, ততটুকু দর প্রস্তাব জমা দেওয়ার চেষ্টা করেছে সবাই। এ কারনে এত অল্প সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার নিলামে বিক্রি হয়ে গেছে।
নিলামে ৩৪ দরে শেয়ার কেনার জন্য ২৬৪ টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব জমা দেয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট ২ কোটি ৪৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ শেয়ারের জন্য প্রস্তাব করে। এই শেয়ারের মোট মূল্য ৮৩ কোটি ৪৫ লাখ ৮৫ হাজার ৬০০ টাকা, যা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত কোটার ৪২৫ দশমিক ৪৬৫ শতাংশ।
নিলামে ৩৩ টাকা দরে কোম্পানিটির শেয়ার কেনার জন্য প্রস্তাব করে ১০টি প্রতিষ্ঠান৷ তারা মোট ৯ লাখ ৬৫ হাজার শেয়ার কেনার জন্য প্রস্তাব করে। এছাড়া ৩২ টাকা দরে প্রস্তাব করে ৪ প্রতিষ্ঠান, ২৭ টাকা দরে ২ প্রতিষ্ঠান এবং ২৫ টাকা প্রস্তাব করে ১টি প্রতিষ্ঠান।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুসারে, কাট-অফ প্রাইসের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম দামে আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা হবে।
নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করা অর্থ নতুন উৎপাদন ভবন নির্মাণ, নতুন ইউটিলিটি ও ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন নির্মাণ, সেফালোস্ফোরিন ইউনিটের সংস্কার, আংশিক ঋণ পরিশোধ ও আইপিওর জন্য ব্যয় করবে।
গত ১ জুলাই, ২০২১ থেকে ৩১ মার্চ, ২০২২ তারিখ পর্যন্ত নয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২ টাকা ৩৯ পয়সা। গত ৫ বছরে কর পরবর্তী মুনাফার ভারিত গড় হারে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৫১ টাকা।
গত ৩১ মার্চ, ২০২২ তারিখে পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৯ টাকা ০২ পয়সা। আর পুনর্মূল্যায়ন পরবর্তী মূল্য ছিল ৪৩ টাকা ৫৩ পয়সা।
আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিএসইসির দেওয়া শর্ত, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে না।
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

নাভানা ফার্মার শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস নির্ধারন

আপডেট: ০৭:২৩:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ জুলাই ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বুকবিল্ডিং পদ্ধতির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসার প্রক্রিয়ায় থাকা ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানি নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস নির্ধারন হয়েছে ৩৪ টাকা। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত নিলামে এই মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বুকবিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওর নিয়ম অনুসারে গত ৪ জুলাই থেকে ৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৫টায় নিলাম শেষ হয়। নিলামে ২৮১টি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। এতে অভিহিত মূল্যের সর্বোচ্চ উঠে ৩৪ টাকা। আর সর্বনিম্ন প্রস্তাব করা হয় ২০ টাকা।

জানা গেছে, মাত্র ২ সেকেন্ডে শেষ হয়ে গেছে নাভানা শেয়ার বিক্রির নিলাম। বর্তমান বিধি কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্যের ১ দশমিক ২ গুনের বেশি দর প্রস্তাব করা যায় না বলে নিলামে অংশগ্রহণারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ইচ্ছে থাকা সত্বেও হয়তো বেশি দর প্রস্তাব করতে পারেনি। তাই শেয়ার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে আইনি সীমার মধ্যে যতটুকু সর্বোচ্চ দর প্রস্তাব করা যায়, ততটুকু দর প্রস্তাব জমা দেওয়ার চেষ্টা করেছে সবাই। এ কারনে এত অল্প সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার নিলামে বিক্রি হয়ে গেছে।
নিলামে ৩৪ দরে শেয়ার কেনার জন্য ২৬৪ টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব জমা দেয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট ২ কোটি ৪৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ শেয়ারের জন্য প্রস্তাব করে। এই শেয়ারের মোট মূল্য ৮৩ কোটি ৪৫ লাখ ৮৫ হাজার ৬০০ টাকা, যা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত কোটার ৪২৫ দশমিক ৪৬৫ শতাংশ।
নিলামে ৩৩ টাকা দরে কোম্পানিটির শেয়ার কেনার জন্য প্রস্তাব করে ১০টি প্রতিষ্ঠান৷ তারা মোট ৯ লাখ ৬৫ হাজার শেয়ার কেনার জন্য প্রস্তাব করে। এছাড়া ৩২ টাকা দরে প্রস্তাব করে ৪ প্রতিষ্ঠান, ২৭ টাকা দরে ২ প্রতিষ্ঠান এবং ২৫ টাকা প্রস্তাব করে ১টি প্রতিষ্ঠান।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুসারে, কাট-অফ প্রাইসের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম দামে আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা হবে।
নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করা অর্থ নতুন উৎপাদন ভবন নির্মাণ, নতুন ইউটিলিটি ও ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন নির্মাণ, সেফালোস্ফোরিন ইউনিটের সংস্কার, আংশিক ঋণ পরিশোধ ও আইপিওর জন্য ব্যয় করবে।
গত ১ জুলাই, ২০২১ থেকে ৩১ মার্চ, ২০২২ তারিখ পর্যন্ত নয় মাসে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২ টাকা ৩৯ পয়সা। গত ৫ বছরে কর পরবর্তী মুনাফার ভারিত গড় হারে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৫১ টাকা।
গত ৩১ মার্চ, ২০২২ তারিখে পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৯ টাকা ০২ পয়সা। আর পুনর্মূল্যায়ন পরবর্তী মূল্য ছিল ৪৩ টাকা ৫৩ পয়সা।
আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিএসইসির দেওয়া শর্ত, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে না।
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

ঢাকা/টিএ