হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। খোঁজ নিলে জানা যাবে, প্রতিবেশী, সহকর্মী, আত্মীয়-স্বজনের অনেকেই হৃদরোগে ভুগছেন। তবে প্রচলিত একটি ধারণা আছে যে, নারীদের চেয়ে পুরুষদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকে ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তবে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব

নারী এবং পুরুষ উভয়ের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি সমান। দৈনন্দিন জীবনের কিছু অনিয়ম হৃদরোগ ডেকে আনে। তাই ঝুঁকি এড়াতে প্রতিদিনের জীবনযাপনে কিছু নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়। জীবন যদি নিয়মে বাঁধতে পারেন তা হলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা এড়ানো যাবে।

নিয়ম মেনেও যে সব সময় হার্ট অ্যাটাক আটকানো যায়, তা নয়। হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা শুরু হওয়াটা জরুরি। যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করা যাবে, সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনাও তত বাড়বে। তাই হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো সম্পর্কে জেনে রাখা জরুরি।

এ নিয়ে ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, নারী এবং পুরুষের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো সব সময় এক হয় না। ‘দ্য ল্যানসেট ডিজিট্যাল হেলথ’-পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণা তেমনটাই জানাচ্ছে।

নারীদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের প্রধান লক্ষণ হলো নিশ্বাসের কষ্ট। শ্বাসবন্ধ হয়ে আসা হচ্ছে নারীদের হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম উপসর্গ। সেখানে পুরুষদের বুকে ব্যথার সমস্যা হলে তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা জরুরি। তবে উভয়ের ক্ষেত্রে দরদর করে ঘাম হওয়াটা সাধারণ লক্ষণ।

নারীর ক্ষেত্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার মূলত ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, কাঁধ ও ঘাড়ে ব্যথার মতো উপসর্গগুলোই প্রকট হয়। পুরুষদের যে এই লক্ষণগুলো হয় না, তা নয়। তবে হবেই এমন নয়। নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া এবং বুকে ব্যথা— পুরুষের হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ এগুলো।

আরও পড়ুন: ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে ১৩ মৃত্যু

একটা বয়সের পর নারীদের ঋতুবন্ধ হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঋতুবন্ধের আগের এবং পরের উপসর্গের সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো গুলিয়ে ফেলেন অনেকেই। এতেই বাড়ে বিপদের ঝুঁকি।

ঋতুবন্ধের পর হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। কারণ ঋতুবন্ধের পর উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের আশঙ্কা অনেক বেশি। হৃদরোগের আশঙ্কা বৃদ্ধি করে এই সমস্যাগুলো। তাই ঋতুবন্ধের আগে কিংবা পরে, যখনই এই সব উপসর্গ অনুভব করবেন, ফেলে না রেখে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ঢাকা/এসএম