নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, আজারবাইজান থেকে বড় বিনিয়োগ আহ্বান
- আপডেট: ১১:৩২:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৪১০৮ বার দেখা হয়েছে
নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য ও আজারবাইজানের কাছে আরো বড় বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে, যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন বিষয়ক সচিব ডেভিড ক্যামেরন এবং আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথক দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান জানান।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন (এমএসসি) ২০২৪-এর ফাঁকে কনফারেন্স ভেন্যু হোটেল বেইরিশার হফে এসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনা নেদারল্যান্ডসকে অন্যতম প্রধান উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করে বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগের অনুরোধ জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেদারল্যান্ড বাংলাদেশে ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ বাস্তবায়ন এবং ড্রেজিংয়ের ক্ষেত্রে গৃরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়নে নেদারল্যান্ডস ব্যাপক অবদান রেখেছে।”
আরেক বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যকে বাংলাদেশে আরো বেশি পরিমাণে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। শেখ হাসিনা এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক কীভাবে উন্নত করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানান ড. হাছান মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের অবদানের প্রশংসা করে এটিকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করেন। শেখ হাসিনা ক্যামেরনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
অন্যদিকে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। এ সময় আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতি বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন আজ
তিনি আগামী নভেম্বরে আজারবাইজানে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কপ২৯-এর আগে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তারা যুদ্ধ বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং গাজা আক্রমণের অবসানের বিষয়েও আলোচনা করেন।
এসময় সিনিয়র পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এসএইচ