০৮:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

পতনের বাজারে মূলধন কমলো ১৬ হাজার কোটি টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৩৩:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ৪১৪২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বড় দরপতন দিয়ে গত সপ্তাহ পার করেছে দেশের পুঁজিবাজার। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ১০ হাজার কোটি টাকা কমে গেছে। এর মাধ্যমে টানা দুই সপ্তাহের পতনে ১৬ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে ডিএসই। সেই সঙ্গে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক ও লেনদেনের পরিমাণ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা, যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল পাঁচ লাখ ৬০ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১০ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমে পাঁচ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। এ হিসেবে টানা দুই সপ্তাহের পতনে বাজার মূলধন কমলো ১৬ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা।

বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে। অর্থাৎ বাজার মূলধন বাড়লে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ বেড়ে যায়। একইভাবে বাজার মূলধন কমলে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ কমে যায়।

বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৯৭টির। আর ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৫১ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৯৪ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে কমেছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গত সপ্তাহজুড়ে এই সূচকটি কমেছে ৫৮ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ২৩ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৯১ শতাংশ।

প্রধান মূল্যসূচক ও ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত বাছাই করা সূচকের পাশাপাশি টানা দুই সপ্তাহ কমেছে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক। গেল সপ্তাহে এ সূচকটি কমেছে ৩২ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৯ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৬২ শতাংশ।

গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৯৯৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় এক হাজার ১৯৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৯৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বা ১৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে তিন হাজার ৯৮৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় পাঁচ হাজার ৯৬৭ কোটি ১২ লাখ টাকা। সেই হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে এক হাজার ৯৭৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা বা ৩৩ দশমিক ১৭ শতাংশ। মোট লেনদেন বেশি হারে কমার কারণ ২১ ফেব্রুয়ারির কারণে গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৯৫ কোটি ৬৭ লাখ ৬২ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফরচুন সুজের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯১ হাজার টাকা। ১৩২ কোটি ৬৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা।

এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, ড্রাগন সোয়েটার, সাইফ পাওয়ারটেক এবং সোনালী পেপার।

ঢাকা/বিএইচ

শেয়ার করুন

x

পতনের বাজারে মূলধন কমলো ১৬ হাজার কোটি টাকা

আপডেট: ১১:৩৩:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বড় দরপতন দিয়ে গত সপ্তাহ পার করেছে দেশের পুঁজিবাজার। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ১০ হাজার কোটি টাকা কমে গেছে। এর মাধ্যমে টানা দুই সপ্তাহের পতনে ১৬ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে ডিএসই। সেই সঙ্গে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক ও লেনদেনের পরিমাণ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা, যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল পাঁচ লাখ ৬০ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১০ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমে পাঁচ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। এ হিসেবে টানা দুই সপ্তাহের পতনে বাজার মূলধন কমলো ১৬ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা।

বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে। অর্থাৎ বাজার মূলধন বাড়লে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ বেড়ে যায়। একইভাবে বাজার মূলধন কমলে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ কমে যায়।

বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৯৭টির। আর ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৫১ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৯৪ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে কমেছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গত সপ্তাহজুড়ে এই সূচকটি কমেছে ৫৮ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ২৩ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৯১ শতাংশ।

প্রধান মূল্যসূচক ও ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত বাছাই করা সূচকের পাশাপাশি টানা দুই সপ্তাহ কমেছে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক। গেল সপ্তাহে এ সূচকটি কমেছে ৩২ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৯ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৬২ শতাংশ।

গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৯৯৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় এক হাজার ১৯৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৯৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বা ১৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে তিন হাজার ৯৮৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় পাঁচ হাজার ৯৬৭ কোটি ১২ লাখ টাকা। সেই হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে এক হাজার ৯৭৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা বা ৩৩ দশমিক ১৭ শতাংশ। মোট লেনদেন বেশি হারে কমার কারণ ২১ ফেব্রুয়ারির কারণে গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৯৫ কোটি ৬৭ লাখ ৬২ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফরচুন সুজের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯১ হাজার টাকা। ১৩২ কোটি ৬৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা।

এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, ড্রাগন সোয়েটার, সাইফ পাওয়ারটেক এবং সোনালী পেপার।

ঢাকা/বিএইচ