১২:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

পপুলার ফার্মার ভ্যাকসিন প্রত্যাহারের নির্দেশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:২০:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • / ৪৪৪৯ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালসের সরবরাহ করা জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন র‌্যাবিভ্যাক্স বাজার থেকে তুলে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। শুধু তা-ই নয়, কোনো চিকিৎসক যাতে ওই কোম্পানির র‌্যাবিভ্যাক্স ইনজেকশন ব্যবস্থাপত্রে না লেখেন, সে ব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি চীনের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিএফডিএ) সেদেশের অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান চেংচুন চেংসেং লাইফ সায়েন্সের কাঁচামাল নিম্নমানের বলে শনাক্ত করে। এ কারণে সিএফডিএ ওই প্রতিষ্ঠানটির যাবতীয় কাঁচামাল ও উৎপাদিত ওষুধ বাজার থেকে তুলে নেয়ার এবং সব ধরনের ভ্যাকসিন উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিসেস (জিএমপি) সনদও বাতিল করা হয়। সনদ বাতিল করা ওই প্রতিষ্ঠান থেকে জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন আমদানি করেছে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।

চেংচুন চেংসেং লাইফ সায়েন্সের তৈরি ভ্যাকসিন প্রত্যাহারে চীনের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের নির্দেশনার পর বাংলাদেশ  সোসাইটি অব মেডিসিন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাডভার্স ড্রাগ রিঅ্যাকশন সেল, বাংলাদেশ কার্ডিওলজি সোসাইটি, বাংলাদেশ সোসাইটি অব কার্ডিয়াক ইন্টারভেনশন, বাংলাদেশ অবস ও গাইনোকোলজি সোসাইটি, দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রধানের কাছে চিঠি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) রুহুল আমিন বণিক বার্তাকে বলেন, পর্যবেক্ষণের সময় কিছু সমস্যা চিহ্নিত হওয়ায় অ্যান্টির‌্যাবিস ভ্যাকসিন উৎপাদন ও উৎপাদিত ভ্যাকসিন প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় চীনের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। ওই নির্দেশনার পর বাংলাদেশের পপুলার ফার্মার র‌্যাবিভ্যাক্স ভ্যাকসিন বাজার থেকে তুলে নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস এরই মধ্যে বাজারে সরবরাহ করা ভ্যাকসিন প্রত্যাহার করে নেয়া শুরু করেছে। তবে শহরতলি ও গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন ফার্মেসিতে এখনো র‌্যাবিভ্যাক্স ভ্যাকসিন রয়ে গেছে বলে রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকার পাইকারি ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালসের সিনিয়র ম্যানেজার (রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স) জাকির হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, চীনের এফডিএ কর্তৃক চেংচুন চেংসেং লাইফ সায়েন্সের জিএমপি সনদ বাতিল ও তাদের উৎপাদিত ভ্যাকসিন তুলে নেয়ার নির্দেশনার খবরটি জানার পর স্বপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে জানিয়েছে পপুলার ফার্মা। পরে ঔষধ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী বাজার থেকে র‌্যাবিভ্যাক্স ইনজেকশন প্রত্যাহারও করা হয়েছে। তবে গ্রামগঞ্জের ফার্মেসিতে এ ভ্যাকসিন এখনো সরবরাহ থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে তাদের মেডিকেল প্রতিনিধিরা কাজ করছেন বলে জানান।

শেয়ার করুন

x
English Version

পপুলার ফার্মার ভ্যাকসিন প্রত্যাহারের নির্দেশ

আপডেট: ০৩:২০:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালসের সরবরাহ করা জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন র‌্যাবিভ্যাক্স বাজার থেকে তুলে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। শুধু তা-ই নয়, কোনো চিকিৎসক যাতে ওই কোম্পানির র‌্যাবিভ্যাক্স ইনজেকশন ব্যবস্থাপত্রে না লেখেন, সে ব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি চীনের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিএফডিএ) সেদেশের অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান চেংচুন চেংসেং লাইফ সায়েন্সের কাঁচামাল নিম্নমানের বলে শনাক্ত করে। এ কারণে সিএফডিএ ওই প্রতিষ্ঠানটির যাবতীয় কাঁচামাল ও উৎপাদিত ওষুধ বাজার থেকে তুলে নেয়ার এবং সব ধরনের ভ্যাকসিন উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিসেস (জিএমপি) সনদও বাতিল করা হয়। সনদ বাতিল করা ওই প্রতিষ্ঠান থেকে জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন আমদানি করেছে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।

চেংচুন চেংসেং লাইফ সায়েন্সের তৈরি ভ্যাকসিন প্রত্যাহারে চীনের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের নির্দেশনার পর বাংলাদেশ  সোসাইটি অব মেডিসিন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাডভার্স ড্রাগ রিঅ্যাকশন সেল, বাংলাদেশ কার্ডিওলজি সোসাইটি, বাংলাদেশ সোসাইটি অব কার্ডিয়াক ইন্টারভেনশন, বাংলাদেশ অবস ও গাইনোকোলজি সোসাইটি, দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রধানের কাছে চিঠি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) রুহুল আমিন বণিক বার্তাকে বলেন, পর্যবেক্ষণের সময় কিছু সমস্যা চিহ্নিত হওয়ায় অ্যান্টির‌্যাবিস ভ্যাকসিন উৎপাদন ও উৎপাদিত ভ্যাকসিন প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় চীনের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। ওই নির্দেশনার পর বাংলাদেশের পপুলার ফার্মার র‌্যাবিভ্যাক্স ভ্যাকসিন বাজার থেকে তুলে নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস এরই মধ্যে বাজারে সরবরাহ করা ভ্যাকসিন প্রত্যাহার করে নেয়া শুরু করেছে। তবে শহরতলি ও গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন ফার্মেসিতে এখনো র‌্যাবিভ্যাক্স ভ্যাকসিন রয়ে গেছে বলে রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকার পাইকারি ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালসের সিনিয়র ম্যানেজার (রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স) জাকির হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, চীনের এফডিএ কর্তৃক চেংচুন চেংসেং লাইফ সায়েন্সের জিএমপি সনদ বাতিল ও তাদের উৎপাদিত ভ্যাকসিন তুলে নেয়ার নির্দেশনার খবরটি জানার পর স্বপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে জানিয়েছে পপুলার ফার্মা। পরে ঔষধ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী বাজার থেকে র‌্যাবিভ্যাক্স ইনজেকশন প্রত্যাহারও করা হয়েছে। তবে গ্রামগঞ্জের ফার্মেসিতে এ ভ্যাকসিন এখনো সরবরাহ থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে তাদের মেডিকেল প্রতিনিধিরা কাজ করছেন বলে জানান।