০৮:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

পলিথিনে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব পরিবেশ বিরোধী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:১৬:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২
  • / ১০৩১৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সব ধরনের পলিথিন, প্লাস্টিক ব্যাগ ও মোড়ক সামগ্রীর ওপর গত অর্থবছরে যে ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল, তা ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর পলিথিন ব্যাগের দাম কমবে এবং আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ এ উপাদানের ব্যবহার ও দেশে পরিবেশ দূষণ আরও বাড়বে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ন্যাচার কনজার্ভেশন অ্যালায়েন্স (বিএনসিএ)।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

৩৩টি পরিবেশবাদি সংগঠনের জোট বিএনসিএ মনে করে, যেখানে সরকার ও সরকারি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা ক্ষতিকর পলিথিন ব্যবহারের বিরুদ্ধে বলছে, সেখানে পলিথিনের ওপর থেকে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব স্ববিরোধী।

বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণের অবস্থা ভয়াবহ। পলিথিন একটি অপচনশীল পণ্য। এটি দেশের পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশ ২০০২ সালে আইন করে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। কিন্তু এবার প্রস্তাবিত বাজেটে পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহারকে আরও উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে মনে করছে বিএনসিএ।

তিন দফ দাবি বিএনসিএ’র

১. পলিথিনের ওপর সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব পুর্নর্বিচনা করা।

২. পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পলিথিন ও প্লাস্টিক বন্ধে আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করতে সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ।

৩. পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সব শিল্পকে শুল্কের আওতায় আনা ও পরিবেশ-বান্ধব শিল্পকে প্রণোদনা দানের মাধ্যমে উৎসাহিত করা।

বিএনসিএ আশা প্রকাশ করে যে রিভাইজড বাজেটে পলিথিনের ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাবটি পুর্নর্বিবেচনা করা হবে এবং দেশ ও পরিবেশের স্বার্থে এই জোটের দাবিগুলো মেনে নেওয়া হবে।

বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের পরিচালক (ক্যাপস) ও বিএনসিএ’র আহ্ববায়ক অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান মজুমদার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

পলিথিনে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব পরিবেশ বিরোধী

আপডেট: ০৪:১৬:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সব ধরনের পলিথিন, প্লাস্টিক ব্যাগ ও মোড়ক সামগ্রীর ওপর গত অর্থবছরে যে ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল, তা ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর পলিথিন ব্যাগের দাম কমবে এবং আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ এ উপাদানের ব্যবহার ও দেশে পরিবেশ দূষণ আরও বাড়বে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ন্যাচার কনজার্ভেশন অ্যালায়েন্স (বিএনসিএ)।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

৩৩টি পরিবেশবাদি সংগঠনের জোট বিএনসিএ মনে করে, যেখানে সরকার ও সরকারি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা ক্ষতিকর পলিথিন ব্যবহারের বিরুদ্ধে বলছে, সেখানে পলিথিনের ওপর থেকে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব স্ববিরোধী।

বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণের অবস্থা ভয়াবহ। পলিথিন একটি অপচনশীল পণ্য। এটি দেশের পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশ ২০০২ সালে আইন করে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। কিন্তু এবার প্রস্তাবিত বাজেটে পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহারকে আরও উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে মনে করছে বিএনসিএ।

তিন দফ দাবি বিএনসিএ’র

১. পলিথিনের ওপর সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব পুর্নর্বিচনা করা।

২. পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পলিথিন ও প্লাস্টিক বন্ধে আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করতে সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ।

৩. পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সব শিল্পকে শুল্কের আওতায় আনা ও পরিবেশ-বান্ধব শিল্পকে প্রণোদনা দানের মাধ্যমে উৎসাহিত করা।

বিএনসিএ আশা প্রকাশ করে যে রিভাইজড বাজেটে পলিথিনের ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাবটি পুর্নর্বিবেচনা করা হবে এবং দেশ ও পরিবেশের স্বার্থে এই জোটের দাবিগুলো মেনে নেওয়া হবে।

বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের পরিচালক (ক্যাপস) ও বিএনসিএ’র আহ্ববায়ক অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান মজুমদার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

ঢাকা/টিএ