১২:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

পাঁচ ঘণ্টায় বজ্রপাতে ১৬ জনের মৃত্যু

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৪৬:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ মে ২০১৮
  • / ৪৩৫১ বার দেখা হয়েছে

সারাদেশে বজ্রপাতে বাবা-ছেলে ও গৃহবধূসহ অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১৩ জন।

আজ রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত ঝড় ও বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।

এদের মধ্যে সিরাজগঞ্জে বাবা-ছেলেসহ পাঁচজন, নোয়াখালীতে দুইজন, আখাউড়ায় একজন, নওগাঁয় দুইজন, গাজীপুরে একজন, সুনামগঞ্জে একজন, রাঙামাটিতে একজন ও মাগুরায় তিনজনের মৃত্যু হয়।

গত বছরে মৃত্যুর মিছিলে এই সংখ্যাটি চারশোর একটু কম- ৩৭৯ জন! আর ২০১০ সালের পর গত সাত বছরে মৃতের সংখ্যা দুই হাজারেরও বেশি।

২০১০ সালের পর দেশে বজ্রপাত বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। ২০১৬ সালে পর পর দুদিনে বজ্রপাতে ৮১ জনের প্রাণহানি ঘটে। এরপরই বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করে মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি বজ্রপাত থেকে সুরক্ষা পেতে স্থানীয় ধারণাকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করে সারা দেশে ১০ লাখ তালগাছ রোপণের এক অভিনব কর্মসূচি নিয়েছে সরকার।

আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের তিন উপজেলায় বজ্রপাতে বাবা-ছেলেসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার শাহজাদপুর, কাজিপুর ও কামারখন্দ উপজেলায় এসব বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- কাজীপুর উপজেলার ডিগ্রি তেকানী গ্রামের পারেশ মন্ডলের ছেলে শামছুল মন্ডল (৫৫) ও শামছুল মন্ডলের ছেলে আরমান (১৪), শাহজাদপুর পৌর এলাকার ছয়আনিপাড়া মহল্লার ফারুক হাসানের ছেলে নাবিল হোসেন (১৭), রাশেদুল হাসানের ছেলে পলিং হোসেন (১৬) এবং কামারখন্দের পেস্তক কুড়াগ্রামের আহের মন্ডলের ছেলে কাদের হোসেন (৩৭)।

কাজিপুরের তেকানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হারুনার রশিদ জানান, সকালে ডিগ্রি তেকানী চরে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাদাম তুলছিলেন শামছুল। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে দুজনেই ঝলসে যান। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কাজিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে উভয়েই মারা যান।

অন্যদিকে দুপুরে শাহজাদপুর উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে বজ্রপাতে নাবিল ও পলিং নামে দুই কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত নাবিল হোসেন পৌর এলাকার ছয় আনিপাড়া মহল্লার বাসিন্দা এবং পলিং হোসেন শাহজাদপুর ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র।

প্রেসক্লাব শাহজাদপুরের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তারা দুজনে সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল।

এছাড়া সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কামারখন্দ উপজেলার পেস্তক কুড়া গ্রামের একটি ধানক্ষেতে বজ্রপাতে কাদের হোসেন (৩৭) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের আহের মন্ডলের ছেলে।

নোয়াখালী: জেলার পৌর এলাকার লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামে ও সেনবাগ উপজেলায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামে বজ্রপাতে নোয়াখালী জিলা স্কুলের দিবা-ক শাখার ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম ইকবাল হাসনাত পিয়াল। সে ওই গ্রামের মো. সোহেল রানা জগলু ও পারভিন আক্তারের বড় ছেলে। বাড়ির পাশে খোলা মাঠে ক্রিকেট খেলা শেষে বাড়ি ফেরার সময় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।

অপরদিকে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে শাহীন নামে এক কৃষিশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আব্বাস ও মনির হোসেন নামে দুজন।

স্থানীয়রা জানান, রবিবার বেলা ১১টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে ধানকাটা অবস্থায় বজ্রপাতের শিকার হন তিন শ্রমিক। এ সময় ঘটনাস্থলে শাহীন নিহত হন।

নিহত শাহীন ভোলা জেলার তমিজ উদ্দিন উপজেলার সোনাপুর গ্রামের মো. রজন মিয়ার ছেলে। আহত আব্বাস উদ্দিন ও মনির হোসেন একই এলাকার বাসিন্দা।

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ধান কাটার সময় বজ্রপাতে আব্দুর রহিম নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আরো দুইজন আহত হন।

রবিবার সকালে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের দরুইন গ্রামের বাগানবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শ্রমিক শ্রীমঙ্গল জেলার বাসিন্দা ছিলেন।

এদিকে বজ্রপাতে শ্রমিক হতাহতের খবর পেয়ে জমির মালিক তাজুল ইসলাম হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাকেসহ আহত দুই শ্রমিককে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

খবর পেয়ে আখাউড়া থানা পুলিশ মৃতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে বলে ওসি মোশারফ হোসেন তরফদার জানান।

নওগাঁ: নওগাঁয় বজ্রপাতে স্কুলছাত্র ও এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রবিবার দুপুর ৩টার দিকে নওগাঁর পোরশা উপজেলায় বজ্রপাতে মুক্তার হোসেন (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

মুক্তার হোসেন উপজেলার বালিয়াচান্দা গ্রামের ফাইজ উদ্দিনের ছেলে।

পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম জানান, মুক্তার হোসেন বালিয়াচান্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। দুপুরে বাড়ি পাশে মাঠে গরু আনতে গেলে হঠাৎ তার উপর বজ্রপাত হয়। পরে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

অপরদিকে জেলার সাপাহারে বজ্রপাতে সোনাভান (২৪) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন- সোনাভানের স্বামী রুবেল হোসেন (২৮), সালেহা বিবি (৪২) ও শিশু রাজু (১২)। আহতদের সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

গাজীপুর: জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার মাটিকাটা এলাকায় বজ্রপাতে জাফরুল ইসলাম (২০) নামে পোশাক কারখানার এক চেকম্যানের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নারীসহ পাঁচ শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিক তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

সুনামগঞ্জ: জেলার সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে বজ্রপাতে লিটন মিয়া (৩০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

কৃষক লিটন সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মিয়ার ছেলে। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাঙামাটি: রাঙামাটির বাঘাইছড়ির মুসলিম ব্লক এলাকায় রান্নাঘরে বজ্রপাতে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুর ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তার নাম মানছুরা বেগম।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাদিম সারওয়ার বলেন, নিহতের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।

মাগুরায়: মাগুরা সদর উপজেলার অক্কুরপাড়া, রায়গ্রাম ও শালিখা উপজেলার বুনাগাতী গ্রামে বজ্রপাত ও কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

সদর থানার এসআই আশরাফ হোসেন জানান, দুপুরে সদর উপজেলার অক্কুরপাড়ায় শামীম হোসেন নামে এক ব্যক্তি বজ্রপাতে মারা যান। তিনি ভ্যান চালিয়ে মাগুরা থেকে শ্রীপুর যাওয়ার সময় কামারবাড়ি এলাকায় বজ্রপাতে মারা যান।

সদরের রায়গ্রামে বজ্রপাতে নিহত অপর ব্যক্তির নাম আলম মিয়া। তিনি সদর উপজেলার বুলুগ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।

অন্যদিকে শালিখার উপজেলার বুনাগাতী এলাকায় একটি মোবাইল টাওয়ারে কাজ করার সময় ঝড়ো বাতাসের দাপটে টাওয়ার থেকে পড়ে মেহেদী নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মেহেদী জয়পুরহাট জেলার মনপুরা এলাকার আলম মিয়ার ছেলে।

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x
English Version

পাঁচ ঘণ্টায় বজ্রপাতে ১৬ জনের মৃত্যু

আপডেট: ০৩:৪৬:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ মে ২০১৮

সারাদেশে বজ্রপাতে বাবা-ছেলে ও গৃহবধূসহ অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১৩ জন।

আজ রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত ঝড় ও বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।

এদের মধ্যে সিরাজগঞ্জে বাবা-ছেলেসহ পাঁচজন, নোয়াখালীতে দুইজন, আখাউড়ায় একজন, নওগাঁয় দুইজন, গাজীপুরে একজন, সুনামগঞ্জে একজন, রাঙামাটিতে একজন ও মাগুরায় তিনজনের মৃত্যু হয়।

গত বছরে মৃত্যুর মিছিলে এই সংখ্যাটি চারশোর একটু কম- ৩৭৯ জন! আর ২০১০ সালের পর গত সাত বছরে মৃতের সংখ্যা দুই হাজারেরও বেশি।

২০১০ সালের পর দেশে বজ্রপাত বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। ২০১৬ সালে পর পর দুদিনে বজ্রপাতে ৮১ জনের প্রাণহানি ঘটে। এরপরই বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করে মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি বজ্রপাত থেকে সুরক্ষা পেতে স্থানীয় ধারণাকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করে সারা দেশে ১০ লাখ তালগাছ রোপণের এক অভিনব কর্মসূচি নিয়েছে সরকার।

আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের তিন উপজেলায় বজ্রপাতে বাবা-ছেলেসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার শাহজাদপুর, কাজিপুর ও কামারখন্দ উপজেলায় এসব বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- কাজীপুর উপজেলার ডিগ্রি তেকানী গ্রামের পারেশ মন্ডলের ছেলে শামছুল মন্ডল (৫৫) ও শামছুল মন্ডলের ছেলে আরমান (১৪), শাহজাদপুর পৌর এলাকার ছয়আনিপাড়া মহল্লার ফারুক হাসানের ছেলে নাবিল হোসেন (১৭), রাশেদুল হাসানের ছেলে পলিং হোসেন (১৬) এবং কামারখন্দের পেস্তক কুড়াগ্রামের আহের মন্ডলের ছেলে কাদের হোসেন (৩৭)।

কাজিপুরের তেকানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হারুনার রশিদ জানান, সকালে ডিগ্রি তেকানী চরে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাদাম তুলছিলেন শামছুল। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে দুজনেই ঝলসে যান। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কাজিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে উভয়েই মারা যান।

অন্যদিকে দুপুরে শাহজাদপুর উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে বজ্রপাতে নাবিল ও পলিং নামে দুই কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত নাবিল হোসেন পৌর এলাকার ছয় আনিপাড়া মহল্লার বাসিন্দা এবং পলিং হোসেন শাহজাদপুর ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র।

প্রেসক্লাব শাহজাদপুরের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তারা দুজনে সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল।

এছাড়া সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কামারখন্দ উপজেলার পেস্তক কুড়া গ্রামের একটি ধানক্ষেতে বজ্রপাতে কাদের হোসেন (৩৭) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের আহের মন্ডলের ছেলে।

নোয়াখালী: জেলার পৌর এলাকার লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামে ও সেনবাগ উপজেলায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামে বজ্রপাতে নোয়াখালী জিলা স্কুলের দিবা-ক শাখার ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম ইকবাল হাসনাত পিয়াল। সে ওই গ্রামের মো. সোহেল রানা জগলু ও পারভিন আক্তারের বড় ছেলে। বাড়ির পাশে খোলা মাঠে ক্রিকেট খেলা শেষে বাড়ি ফেরার সময় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।

অপরদিকে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে শাহীন নামে এক কৃষিশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আব্বাস ও মনির হোসেন নামে দুজন।

স্থানীয়রা জানান, রবিবার বেলা ১১টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে ধানকাটা অবস্থায় বজ্রপাতের শিকার হন তিন শ্রমিক। এ সময় ঘটনাস্থলে শাহীন নিহত হন।

নিহত শাহীন ভোলা জেলার তমিজ উদ্দিন উপজেলার সোনাপুর গ্রামের মো. রজন মিয়ার ছেলে। আহত আব্বাস উদ্দিন ও মনির হোসেন একই এলাকার বাসিন্দা।

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ধান কাটার সময় বজ্রপাতে আব্দুর রহিম নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আরো দুইজন আহত হন।

রবিবার সকালে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের দরুইন গ্রামের বাগানবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শ্রমিক শ্রীমঙ্গল জেলার বাসিন্দা ছিলেন।

এদিকে বজ্রপাতে শ্রমিক হতাহতের খবর পেয়ে জমির মালিক তাজুল ইসলাম হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাকেসহ আহত দুই শ্রমিককে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

খবর পেয়ে আখাউড়া থানা পুলিশ মৃতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে বলে ওসি মোশারফ হোসেন তরফদার জানান।

নওগাঁ: নওগাঁয় বজ্রপাতে স্কুলছাত্র ও এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রবিবার দুপুর ৩টার দিকে নওগাঁর পোরশা উপজেলায় বজ্রপাতে মুক্তার হোসেন (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

মুক্তার হোসেন উপজেলার বালিয়াচান্দা গ্রামের ফাইজ উদ্দিনের ছেলে।

পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম জানান, মুক্তার হোসেন বালিয়াচান্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। দুপুরে বাড়ি পাশে মাঠে গরু আনতে গেলে হঠাৎ তার উপর বজ্রপাত হয়। পরে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

অপরদিকে জেলার সাপাহারে বজ্রপাতে সোনাভান (২৪) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন- সোনাভানের স্বামী রুবেল হোসেন (২৮), সালেহা বিবি (৪২) ও শিশু রাজু (১২)। আহতদের সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

গাজীপুর: জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার মাটিকাটা এলাকায় বজ্রপাতে জাফরুল ইসলাম (২০) নামে পোশাক কারখানার এক চেকম্যানের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নারীসহ পাঁচ শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিক তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

সুনামগঞ্জ: জেলার সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে বজ্রপাতে লিটন মিয়া (৩০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

কৃষক লিটন সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মিয়ার ছেলে। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাঙামাটি: রাঙামাটির বাঘাইছড়ির মুসলিম ব্লক এলাকায় রান্নাঘরে বজ্রপাতে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুর ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তার নাম মানছুরা বেগম।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাদিম সারওয়ার বলেন, নিহতের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।

মাগুরায়: মাগুরা সদর উপজেলার অক্কুরপাড়া, রায়গ্রাম ও শালিখা উপজেলার বুনাগাতী গ্রামে বজ্রপাত ও কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

সদর থানার এসআই আশরাফ হোসেন জানান, দুপুরে সদর উপজেলার অক্কুরপাড়ায় শামীম হোসেন নামে এক ব্যক্তি বজ্রপাতে মারা যান। তিনি ভ্যান চালিয়ে মাগুরা থেকে শ্রীপুর যাওয়ার সময় কামারবাড়ি এলাকায় বজ্রপাতে মারা যান।

সদরের রায়গ্রামে বজ্রপাতে নিহত অপর ব্যক্তির নাম আলম মিয়া। তিনি সদর উপজেলার বুলুগ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।

অন্যদিকে শালিখার উপজেলার বুনাগাতী এলাকায় একটি মোবাইল টাওয়ারে কাজ করার সময় ঝড়ো বাতাসের দাপটে টাওয়ার থেকে পড়ে মেহেদী নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মেহেদী জয়পুরহাট জেলার মনপুরা এলাকার আলম মিয়ার ছেলে।