পাচারের টাকা ফেরতের সুযোগ মন্দের ভালো: আইসিএমএবি

- আপডেট: ১২:২৯:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০২২
- / ১০৩৩৬ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পাচারের টাকা দেশে ফেরত আনার সুযোগকে মন্দের ভালো বলে মনে করছে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত বাজেট বিশ্নেষণ করে এ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে আইসিএমএবির সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ‘পাচার করা টাকা ফেরত আনার সুযোগ দেওয়া নিয়ে অনেক বিতর্ক হচ্ছে। তবে এই সুযোগকে আমরা মনে করি মন্দের ভালো।’
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে আরও বক্তব্য দেন আইসিএমএবির ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুল ইসলাম, সেক্রেটারি এ কে এম কামরুজ্জামান ও কোষাধ্যক্ষ মো. আলী হায়দার চৌধুরী। বাজেটের ওপর একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন শফিকুল আলম অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের সিইও শফিকুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক ও ঢাকা ব্রাঞ্চ কাউন্সিলের কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন।
মো. মামুনুর রশিদ বলেন, সামগ্রিকভাবে বাজেট ভালো হয়েছে। বাজেটে শর্তসাপেক্ষে হলেও করপোরেট কর কমানোর বিষয়টি ইতিবাচক। তবে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা চার লাখ টাকা এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী করদাতার জন্য এটি পাঁচ লাখ টাকা করা দরকার। এখনও যেহেতু বাজেট পাস হয়নি, সরকার চাইলে এটা করার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, এ বছর মূসক আইনকে অনেক বাস্তবমুখী এবং ব্যবসাবান্ধব করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তার পরও ব্যবসা সহজ, স্বচ্ছতা ও রাজস্ব বাড়ানোর স্বার্থে আরও কিছু বিষয় যুক্ত করা উচিত।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ছয় লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়ন বিশাল চ্যালেঞ্জ। এখন অনেক বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খরচ কমাতে সরকার পেশাদার অ্যাকাউন্ট্যান্টদের এসব প্রকল্পে কাজে লাগাতে পারে। এ ছাড়া কোম্পানি নিরীক্ষার ক্ষেত্রেও অ্যাকাউন্ট্যান্টদের কাজে লাগানো যেতে পারে। তাতে খরচ ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বাড়বে, সব পর্যায়ে স্বচ্ছতা আসবে। আবার রাজস্ব আয়ও বাড়বে। এ ছাড়া বাজেটে মূল্যস্ম্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রবৃদ্ধি অর্জনের যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন কঠিন হবে না বলে তাঁরা মনে করেন।
তারা আরও বলেন, অনেক মধ্যস্বত্ব ব্যবসায়ী পাইকারি ব্যবসা করেন। তারা সাধারণত অল্প মুনাফায় অধিক পরিমাণে লেনদেন করেন। তাদের বাস্তবসম্মত হারে কর জালে আনা উচিত। এতে মূসক খাতে রাজস্ব বাড়বে। মূসক ব্যবস্থা আরও বাস্তবভিত্তিক হবে।
ঢাকা/এসএ