০৮:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

পাপনকে নিয়ে সালাউদ্দিনের বক্তব্য ছিল অশোভন: ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:০৫:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৪১৯৫ বার দেখা হয়েছে

মাঠে ক্রীড়াবিদদের পারফরম্যান্স নয়, গত কয়েকদিন ধরে ক্রীড়াঙ্গনে বেশি আলোচনা দেশের দুই শীর্ষ ফেডারেশন বাফুফে ও বিসিবির সভাপতির কথার যুদ্ধ। কয়েকদিন আগে বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে খোঁচা মেরেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে। তার জবাবে সালাউদ্দিনকেও একহাত নিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এই প্রথম দুই শীর্ষ ফেডারেশনের দুই সভাপতির কথার যুদ্ধ নিয়ে মন্তব্য করেছেন দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। রোববার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ টাওয়ারে নিজ কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের ক্রীড়াপ্রতিমন্ত্রী বলেছেন, যে ধরনের কথাবার্তায় মানুষ বিব্রত হন তা এড়িয়ে চলতে। তবে সালাউদ্দিন ও পাপনের মধ্যে তৈরি হওয়া এই কথার যুদ্ধে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী কাজী মো. সালাউদ্দিনকেই দোষারোপ করেছেন।

দুই ফেডারেশনের দুই সভাপতির কথার যুদ্ধকে কিভাবে দেখছেন? জানতে চাইলে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি অত্যন্ত সম্মানিত মানুষ, আমাদের একজন জীবন্ত কিংবদন্তি। খেলাধুলায় তার অবদান অবশ্যই অবিস্মরণীয়। খেলাধুলার জগতে তার অবদানকে আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে শ্রদ্ধা জানাই। কিন্তু উনি ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতিকে নিয়ে যে কথাটি বলেছেন তা অশোভনীয় বক্তব্য।’

‘যে কেউ এটা কিন্তু মানতে পারে না। তিনিও (নাজমুল হাসান পাপন) সম্মানিত মানুষ, সংসদ সদস্য ছাড়াও ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট। আবার সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জড়িত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ক্রীড়াপ্রেমী একজন মানুষ, তিনি খেলাধুলাকে এত ভালোবাসেন। তিনি নিজে সবসময় খেলাধুলার খবর নেন, নিজে টেলিভিশনে খেলাধুলা দেখেন। যখন সময় পান মাঠে চলে আসেন। এটা কিন্তু জন্মগতভাবে ওনার মধ্যে এসেছে। ওনার পরিবার খেলাধুলা জগতের মানুষ। এ ধরনের একটি কথা বলা, এটাকে কোনোভাবেই আমি মানতে পারছি না। এ ধরনের কথা এড়িয়ে চলা উচিত। বুঝতে হবে কোন কথাটি বলা উচিত। আমাদের মতো মানুষের কাছে অন্যরা শিখবে। আমরা এমন কোনো কথা বলবো না, যে কথা শুনে মানুষ বিভ্রান্ত হবে, মনে কষ্ট পাবে।’

কাজী মো. সালাউদ্দিন ও নাজমুল হাসান পাপনের মধ্যে এই যে কাঁদা ছোড়াছুড়ি, তার সূত্রপাত নারী ফুটবল দলকে মিয়নমার না পাঠানো এবং সাফজয়ী সাবিনাদের বিসিবির পুরস্কার নিয়ে কাজী সালাউদ্দিনের বক্তব্যে। নারী ফুটবল দলকে মিয়ানমার না পাঠানো প্রসঙ্গে আগেও নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছিলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। রোববার পূণরায় বিস্তারিত জানালেন তিনি।

আরও পড়ুন: লিটনের আগেই কলকাতায় জেসন রয়

ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘নারী ফুটবল দলের অলিম্পিক ফুটবল বাছাইয়ে অংশ না নিতে পারায় বাফুফে থেকে আমাদেরকে দোষারোপ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দেয়নি, এজন্য টিম পাঠাতে পারেনি। আমরা ২৭ মার্চ ফুটবল ফেডারেশনের চিঠি পেয়েছি। ৩১ মার্চের মধ্যে ৯২ লাখ টাকা দিতে তারা অনুরোধ করেছিল। একদিন পরই তারা জানালেন যেম টাকা পাচ্ছেন না বলে টিম পাঠাতে পারছে না।’

‘কিভাবে এটা হয়? এক দিনের মধ্যে কোনো কিছু আবেদন করে পরদিনই দোষারোপ করা যায়? এ কাজটি তারা করেছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে। নিজের দোষকে অন্যের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়ার একটা হীন প্রচেষ্টা তারা করেছেন। এত টাকার মধ্যে খরচটা আমি দেখেছি, ৩০-৪০ লাখ টাকা হলেও খেলায় অংশ নিতে পারত মেয়েরা। সেটি যে কেউ দিতে পারত। এমনকি আমরাও দিতে পারতাম। আমরা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতও ছিলাম। আসলে তাদের মধ্যে এমন কোনো কিছু ছিল যে, তাদের ইচ্ছাই ছিল নারী ফুটবল টিমকে বিদেশে না পাঠানোর। এই জন্যই এমন নাটক সাজিয়ে দোষটা আরেকজনের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

পাপনকে নিয়ে সালাউদ্দিনের বক্তব্য ছিল অশোভন: ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

আপডেট: ০৮:০৫:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩

মাঠে ক্রীড়াবিদদের পারফরম্যান্স নয়, গত কয়েকদিন ধরে ক্রীড়াঙ্গনে বেশি আলোচনা দেশের দুই শীর্ষ ফেডারেশন বাফুফে ও বিসিবির সভাপতির কথার যুদ্ধ। কয়েকদিন আগে বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে খোঁচা মেরেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে। তার জবাবে সালাউদ্দিনকেও একহাত নিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এই প্রথম দুই শীর্ষ ফেডারেশনের দুই সভাপতির কথার যুদ্ধ নিয়ে মন্তব্য করেছেন দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। রোববার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ টাওয়ারে নিজ কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের ক্রীড়াপ্রতিমন্ত্রী বলেছেন, যে ধরনের কথাবার্তায় মানুষ বিব্রত হন তা এড়িয়ে চলতে। তবে সালাউদ্দিন ও পাপনের মধ্যে তৈরি হওয়া এই কথার যুদ্ধে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী কাজী মো. সালাউদ্দিনকেই দোষারোপ করেছেন।

দুই ফেডারেশনের দুই সভাপতির কথার যুদ্ধকে কিভাবে দেখছেন? জানতে চাইলে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি অত্যন্ত সম্মানিত মানুষ, আমাদের একজন জীবন্ত কিংবদন্তি। খেলাধুলায় তার অবদান অবশ্যই অবিস্মরণীয়। খেলাধুলার জগতে তার অবদানকে আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে শ্রদ্ধা জানাই। কিন্তু উনি ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতিকে নিয়ে যে কথাটি বলেছেন তা অশোভনীয় বক্তব্য।’

‘যে কেউ এটা কিন্তু মানতে পারে না। তিনিও (নাজমুল হাসান পাপন) সম্মানিত মানুষ, সংসদ সদস্য ছাড়াও ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট। আবার সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জড়িত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ক্রীড়াপ্রেমী একজন মানুষ, তিনি খেলাধুলাকে এত ভালোবাসেন। তিনি নিজে সবসময় খেলাধুলার খবর নেন, নিজে টেলিভিশনে খেলাধুলা দেখেন। যখন সময় পান মাঠে চলে আসেন। এটা কিন্তু জন্মগতভাবে ওনার মধ্যে এসেছে। ওনার পরিবার খেলাধুলা জগতের মানুষ। এ ধরনের একটি কথা বলা, এটাকে কোনোভাবেই আমি মানতে পারছি না। এ ধরনের কথা এড়িয়ে চলা উচিত। বুঝতে হবে কোন কথাটি বলা উচিত। আমাদের মতো মানুষের কাছে অন্যরা শিখবে। আমরা এমন কোনো কথা বলবো না, যে কথা শুনে মানুষ বিভ্রান্ত হবে, মনে কষ্ট পাবে।’

কাজী মো. সালাউদ্দিন ও নাজমুল হাসান পাপনের মধ্যে এই যে কাঁদা ছোড়াছুড়ি, তার সূত্রপাত নারী ফুটবল দলকে মিয়নমার না পাঠানো এবং সাফজয়ী সাবিনাদের বিসিবির পুরস্কার নিয়ে কাজী সালাউদ্দিনের বক্তব্যে। নারী ফুটবল দলকে মিয়ানমার না পাঠানো প্রসঙ্গে আগেও নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছিলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। রোববার পূণরায় বিস্তারিত জানালেন তিনি।

আরও পড়ুন: লিটনের আগেই কলকাতায় জেসন রয়

ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘নারী ফুটবল দলের অলিম্পিক ফুটবল বাছাইয়ে অংশ না নিতে পারায় বাফুফে থেকে আমাদেরকে দোষারোপ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দেয়নি, এজন্য টিম পাঠাতে পারেনি। আমরা ২৭ মার্চ ফুটবল ফেডারেশনের চিঠি পেয়েছি। ৩১ মার্চের মধ্যে ৯২ লাখ টাকা দিতে তারা অনুরোধ করেছিল। একদিন পরই তারা জানালেন যেম টাকা পাচ্ছেন না বলে টিম পাঠাতে পারছে না।’

‘কিভাবে এটা হয়? এক দিনের মধ্যে কোনো কিছু আবেদন করে পরদিনই দোষারোপ করা যায়? এ কাজটি তারা করেছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে। নিজের দোষকে অন্যের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়ার একটা হীন প্রচেষ্টা তারা করেছেন। এত টাকার মধ্যে খরচটা আমি দেখেছি, ৩০-৪০ লাখ টাকা হলেও খেলায় অংশ নিতে পারত মেয়েরা। সেটি যে কেউ দিতে পারত। এমনকি আমরাও দিতে পারতাম। আমরা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতও ছিলাম। আসলে তাদের মধ্যে এমন কোনো কিছু ছিল যে, তাদের ইচ্ছাই ছিল নারী ফুটবল টিমকে বিদেশে না পাঠানোর। এই জন্যই এমন নাটক সাজিয়ে দোষটা আরেকজনের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

ঢাকা/এসএম