০৮:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

বৈঠক করেছে বিএসইসি-আইএমএফ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২৮:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪২৬৪ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজারে সুশাসন নিশ্চিত করতে যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন ও নতুন নতুন পলিসি নির্ধারণসহ বেশকিছু বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে বৈঠক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বে বিএসইসির সব কমিশনার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। আইএমএফের চার সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন এশিয়া ও প্যাসিফিক ডিভিশনের বাংলাদেশের ডেপুটি মিশন চিফ পিয়াপর্ণ নিক্কি সোদশ্রী উইবুন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসির দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, মূলত চারটি বিষয়কে কেন্দ্র করে বিএসইসির সাথে বৈঠক করেছে আইএমএফ। সেগুলো হলো- বর্তমান পুঁজিবাজার পরিস্থিতি, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে নতুন আইন-কানুন ও পলিসি নির্ধারণ, বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন ও সর্বজনীন পেনশন স্কিম।

বিএসইসির মুখপাত্র বলেন, রিসেন্ট মার্কেট ডেভেলপমেন্ট নিয়ে আলোচনা হরেয়ছে। সেখানে মার্কেট লিক্যুইডিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একসময় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের লিক্যুইডিটি ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি ছিল। পরবর্তীতে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেটা ১ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি নেমে আসে। বর্তমানে সেটা আরও কমে ৫০০ কোটি টাকা হয়েছে। সামনে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিনিয়োগকারীরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। আশা করা যাচ্ছে, নির্বাচন-পরবর্তী পুঁজিবাজারের লিক্যুইডিটি অনেক বাড়বে এবং বাজারের অবস্থা ভালো হবে।

তিনি আরও বলেন, মিচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও বন্ড মার্কেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

পলিসি ইনিসিয়েটিভের ক্ষেত্রে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ ও ডেরিভিটিভস মার্কেট চালু করার জন্য যে রুলস তৈরি করা হয়েছে, তা ইতোমধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশ করার জন্য দেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রুলসটি গেজেট আকারে প্রকাশ হবে। পরবর্তী সময়ে কমোডিটি এক্সচেঞ্জের রেজিস্ট্রেশনসহ অন্যান্য সার্বিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে আগামী বছরের মধ্যে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করা হবে। যেখানে কমোডিটি ডেরিভিটিভস প্রোডাক্ট লেনদেন হবে।

কমিশন আরও জানিয়েছে, নতুন পলিসির অংশ হিসেবে রিয়েল স্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, শিগগিরই রিয়েল স্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট রুলস গেজেট আকারে প্রকাশ করা জন্য পাঠানো হবে।

আরও পড়ুন: ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের লেনদেন শুরু

সেন্ট্রাল কাউন্টার পার্টি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিসিবিএল) বিষয়ে বলা হয়েছে, ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্টে রিস্ক কমানোর জন্য সিসিবিএল আগামী ছয় মাসের মধ্যে ফুল ফ্লেজে অপারেশনে আসবে। যদিও বর্তমানে সিসিবিএল কাজ করছে। তবে, এখনও অপারেশ শুরু করেনি। তবে, ছয় মাসের মথ্যে এটা চালু হয়ে যাবে।

গ্রিন বন্ড, ব্লু বন্ড ও অরেঞ্জ বন্ডের বিষয়ে কমিশন জানিয়েছে, এসব বন্ডে বিনিয়োগ করার বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করার বিষয়ে কমিশন কাজ করছে। আশা করা হচ্ছে, বন্ডে বিনিয়োগের বিষয়ে বিনিয়োগকারীরা আরও আগ্রহী হবেন।

সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ে আইএমএফ জানতে চাইলে কমিশন জানায়, সরকারের এ সিদ্ধান্তটি যুগপোযগী। এটা পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে স্থিতিসহায়ক ভূমিকা পালন করবে। কারণ, সর্বজনীন পেনশন স্কিমের যে তহবিল থাকবে, সেখান থেকে একটি অংশ পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ হবে বলে কমিশন প্রত্যাশা করছে। এতে বন্ডসহ অন্যান্য ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের চাহিদা অনেক বাড়বে, যা সার্বিক পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

বাংলাদেশের ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টরের লিক্যুইডিটি, ইন্টারেস্ট রেট, ট্রেজারি বন্ড ও বিলের কুপন রেটসহ বিভিন্ন বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসইসির দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

বৈঠক করেছে বিএসইসি-আইএমএফ

আপডেট: ১১:২৮:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩

পুঁজিবাজারে সুশাসন নিশ্চিত করতে যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন ও নতুন নতুন পলিসি নির্ধারণসহ বেশকিছু বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে বৈঠক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বে বিএসইসির সব কমিশনার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। আইএমএফের চার সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন এশিয়া ও প্যাসিফিক ডিভিশনের বাংলাদেশের ডেপুটি মিশন চিফ পিয়াপর্ণ নিক্কি সোদশ্রী উইবুন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসির দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, মূলত চারটি বিষয়কে কেন্দ্র করে বিএসইসির সাথে বৈঠক করেছে আইএমএফ। সেগুলো হলো- বর্তমান পুঁজিবাজার পরিস্থিতি, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে নতুন আইন-কানুন ও পলিসি নির্ধারণ, বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন ও সর্বজনীন পেনশন স্কিম।

বিএসইসির মুখপাত্র বলেন, রিসেন্ট মার্কেট ডেভেলপমেন্ট নিয়ে আলোচনা হরেয়ছে। সেখানে মার্কেট লিক্যুইডিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একসময় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের লিক্যুইডিটি ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি ছিল। পরবর্তীতে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেটা ১ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি নেমে আসে। বর্তমানে সেটা আরও কমে ৫০০ কোটি টাকা হয়েছে। সামনে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিনিয়োগকারীরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। আশা করা যাচ্ছে, নির্বাচন-পরবর্তী পুঁজিবাজারের লিক্যুইডিটি অনেক বাড়বে এবং বাজারের অবস্থা ভালো হবে।

তিনি আরও বলেন, মিচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও বন্ড মার্কেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

পলিসি ইনিসিয়েটিভের ক্ষেত্রে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ ও ডেরিভিটিভস মার্কেট চালু করার জন্য যে রুলস তৈরি করা হয়েছে, তা ইতোমধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশ করার জন্য দেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রুলসটি গেজেট আকারে প্রকাশ হবে। পরবর্তী সময়ে কমোডিটি এক্সচেঞ্জের রেজিস্ট্রেশনসহ অন্যান্য সার্বিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে আগামী বছরের মধ্যে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করা হবে। যেখানে কমোডিটি ডেরিভিটিভস প্রোডাক্ট লেনদেন হবে।

কমিশন আরও জানিয়েছে, নতুন পলিসির অংশ হিসেবে রিয়েল স্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, শিগগিরই রিয়েল স্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট রুলস গেজেট আকারে প্রকাশ করা জন্য পাঠানো হবে।

আরও পড়ুন: ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের লেনদেন শুরু

সেন্ট্রাল কাউন্টার পার্টি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিসিবিএল) বিষয়ে বলা হয়েছে, ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্টে রিস্ক কমানোর জন্য সিসিবিএল আগামী ছয় মাসের মধ্যে ফুল ফ্লেজে অপারেশনে আসবে। যদিও বর্তমানে সিসিবিএল কাজ করছে। তবে, এখনও অপারেশ শুরু করেনি। তবে, ছয় মাসের মথ্যে এটা চালু হয়ে যাবে।

গ্রিন বন্ড, ব্লু বন্ড ও অরেঞ্জ বন্ডের বিষয়ে কমিশন জানিয়েছে, এসব বন্ডে বিনিয়োগ করার বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করার বিষয়ে কমিশন কাজ করছে। আশা করা হচ্ছে, বন্ডে বিনিয়োগের বিষয়ে বিনিয়োগকারীরা আরও আগ্রহী হবেন।

সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ে আইএমএফ জানতে চাইলে কমিশন জানায়, সরকারের এ সিদ্ধান্তটি যুগপোযগী। এটা পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে স্থিতিসহায়ক ভূমিকা পালন করবে। কারণ, সর্বজনীন পেনশন স্কিমের যে তহবিল থাকবে, সেখান থেকে একটি অংশ পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ হবে বলে কমিশন প্রত্যাশা করছে। এতে বন্ডসহ অন্যান্য ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের চাহিদা অনেক বাড়বে, যা সার্বিক পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

বাংলাদেশের ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টরের লিক্যুইডিটি, ইন্টারেস্ট রেট, ট্রেজারি বন্ড ও বিলের কুপন রেটসহ বিভিন্ন বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসইসির দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

ঢাকা/এসএ