০৭:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

পুঁজিবাজার ইস্যুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়সারা আচরণে বিব্রত বিএসইসি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৪৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ অগাস্ট ২০২১
  • / ৪১৮০ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আবারও পুঁজিবাজার ইস্যুতে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে সমন্বয় না করেই ব্যাংকগুলোকে দৈনিক ভিত্তিতে পুুঁজিবাজারে বিনিয়োগের তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি বিএসইসি। আর এ কারনেই পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত/বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সঙ্গে আলোচনা, পরামর্শ ও সমন্বয় প্রয়োজন- সাড়ে ৯ বছর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে জারি করা একটি আদেশ আবার স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে।

পুঁজিবাজারে ব্যাংক ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ বিষয়ে দৈনিকভিত্তিতে প্রতিবেদন দাখিল সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করার পর ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারির সেই নির্দেশনাটি পুঁজিবাজার নিয়ে কাজ করে, এমন গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে আবার পাঠিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

সংস্থাটি বলেছে, বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাজার একটি সংবেদনশীল বাজার হিসাবে স্বীকৃত। এই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজার অত্যন্ত সংবেদনশীল। এ কারণে বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা কর্তৃক পুঁজিবাজার সম্পর্কে সম্যকভাবে অবহিত না হয়ে বিভিন্ন বক্তব্য ও মন্তব্য প্রদানের ফলে বাজার প্রভাবিত হওয়ার এবং বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির আশঙ্কা থাকে। এ কারণে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত/বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাথে আলোচনা, পরামর্শ ও সমন্বয় প্রয়োজন।

বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে। প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ হাজার ৭০০ পয়েন্টে উঠেছে। লেনদেন প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার ঘরে পৌঁছেছে।

এ পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এবং পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর পুঁজিবাজার নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেন।

আবার গত ১২ আগস্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি আদেশ জারি করে। এতে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব ও সাবসিডিয়ারি কোম্পানিসহ কোন খাতে অর্থ বিনিয়োগ করা হচ্ছে, সে তথ্য দৈনিক ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করতে হবে। প্রতিদিন বিকাল ৫টার মধ্যে ব্যাংকগুলোকে এ তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ব্যাংকের টাকা ও বিনিয়োগের তথ্য পাঠাতে হবে প্রতিদিন
সেই মন্তব্যের পরিপেক্ষিতে বিএসইসি ৯ বছর আগে অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ‘পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত/বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সঙ্গে আলোচনা, পরামর্শ ও সমন্বয়’ শীর্ষক প্রজ্ঞাপনটি রোববার গণমাধ্যমে আবার পাঠিয়েছে।

পুরনো নির্দেশনাটি কেন আবার স্মরণ করিয়ে দেয়া হলো-জানতে চাইলে বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে অভিজ্ঞজনরা মতামত দিয়ে থাকেন। অনেক সময় কমিশন যে উদ্দেশ্যে নির্দেশনা জারি করে তার ভুল ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়।

‘এমন অবস্থায় পুঁজিবাজার অভিজ্ঞজনের মতামতের পাশাপাশি কমিশনের মতামত নেয়া হলে তা বাজারের জন্য ইতিবাচক হবে এবং এবং এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনাও আছে, যেখানে কমিশনের সঙ্গে সমন্বয়ের বিষয়টি বলা আছে।’

ঢাকা/এসআর

শেয়ার করুন

x

পুঁজিবাজার ইস্যুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়সারা আচরণে বিব্রত বিএসইসি

আপডেট: ১২:৪৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আবারও পুঁজিবাজার ইস্যুতে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে সমন্বয় না করেই ব্যাংকগুলোকে দৈনিক ভিত্তিতে পুুঁজিবাজারে বিনিয়োগের তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি বিএসইসি। আর এ কারনেই পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত/বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সঙ্গে আলোচনা, পরামর্শ ও সমন্বয় প্রয়োজন- সাড়ে ৯ বছর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে জারি করা একটি আদেশ আবার স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে।

পুঁজিবাজারে ব্যাংক ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ বিষয়ে দৈনিকভিত্তিতে প্রতিবেদন দাখিল সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করার পর ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারির সেই নির্দেশনাটি পুঁজিবাজার নিয়ে কাজ করে, এমন গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে আবার পাঠিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

সংস্থাটি বলেছে, বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাজার একটি সংবেদনশীল বাজার হিসাবে স্বীকৃত। এই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজার অত্যন্ত সংবেদনশীল। এ কারণে বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা কর্তৃক পুঁজিবাজার সম্পর্কে সম্যকভাবে অবহিত না হয়ে বিভিন্ন বক্তব্য ও মন্তব্য প্রদানের ফলে বাজার প্রভাবিত হওয়ার এবং বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির আশঙ্কা থাকে। এ কারণে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত/বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাথে আলোচনা, পরামর্শ ও সমন্বয় প্রয়োজন।

বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে। প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ হাজার ৭০০ পয়েন্টে উঠেছে। লেনদেন প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার ঘরে পৌঁছেছে।

এ পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এবং পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর পুঁজিবাজার নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেন।

আবার গত ১২ আগস্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি আদেশ জারি করে। এতে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব ও সাবসিডিয়ারি কোম্পানিসহ কোন খাতে অর্থ বিনিয়োগ করা হচ্ছে, সে তথ্য দৈনিক ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করতে হবে। প্রতিদিন বিকাল ৫টার মধ্যে ব্যাংকগুলোকে এ তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ব্যাংকের টাকা ও বিনিয়োগের তথ্য পাঠাতে হবে প্রতিদিন
সেই মন্তব্যের পরিপেক্ষিতে বিএসইসি ৯ বছর আগে অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ‘পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত/বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সঙ্গে আলোচনা, পরামর্শ ও সমন্বয়’ শীর্ষক প্রজ্ঞাপনটি রোববার গণমাধ্যমে আবার পাঠিয়েছে।

পুরনো নির্দেশনাটি কেন আবার স্মরণ করিয়ে দেয়া হলো-জানতে চাইলে বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে অভিজ্ঞজনরা মতামত দিয়ে থাকেন। অনেক সময় কমিশন যে উদ্দেশ্যে নির্দেশনা জারি করে তার ভুল ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়।

‘এমন অবস্থায় পুঁজিবাজার অভিজ্ঞজনের মতামতের পাশাপাশি কমিশনের মতামত নেয়া হলে তা বাজারের জন্য ইতিবাচক হবে এবং এবং এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনাও আছে, যেখানে কমিশনের সঙ্গে সমন্বয়ের বিষয়টি বলা আছে।’

ঢাকা/এসআর