০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

প্রিমিয়ার সিমেন্টের আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়মে বিএসইসির ব্যাখ্যা তলব

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৪৯:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২
  • / ৪১৩৬ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুঁজিবাজারে সিমেন্ট খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের ৩০ জুন ২০২১ সালের সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে বেশ কিছু অসঙ্গতি পেয়েছে।

বিএসইসি সম্প্রতি প্রিমিয়ার সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ বিষয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। অসঙ্গতির বিষয়ে দশ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসির পর্যাবেক্ষণে উঠে এসেছে, প্রিমিয়ার সিমেন্ট ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে ক্যাপিটাল ওয়ার্ক ইন প্রোগ্রেস দেখিয়েছে ৯৫৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। আগের বছর একই সময়ে তা ছিল ৮২০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। অথচ ২০১৯ সালের ৩০ জুন তা ছিল ৩৯১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে প্রতি বছরই ধারাবাহিকভাবে ক্যাপিটাল ওয়ার্ক ইন প্রোগেস বেড়েছে। আর এই অর্থে যেসব নতুন প্রকল্প করা হয়েছে তার তথ্য চেয়েছে কমিশন। 

শুধু তাই নয় প্রকল্পের নাম, ভেন্ডর, প্রকল্প ব্যয়, প্রকল্প শেষ হওয়ার সম্ভাব্য সময় বা কাজ শেষ হওয়ার হার এবং ২০১৭ সালে থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রত্যেক বছরের প্রকল্পের অর্থ প্রদানের বিষয়েও বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়েছে কমিশন।

এদিকে, প্রিমিয়ার সিমেন্টের ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে ধারাবাহিকভাবে স্বল্প মেয়াদী ব্যাংক ঋণও বেড়েছে। ২০১৯ সালে ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির স্বল্প মেয়াদী ব্যাংক ঋণ ছিল ৫৬১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। পরের বছর একই সময়ে এসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আর ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে স্বল্প মেয়াদী ঋণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৭৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আর তাই ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে কোম্পানির গত ৫ বছরের দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগের ব্যাখ্যা, ক্যাপিটাল ওয়ার্ক ইন প্রোগ্রেস, স্বল্প মেয়াদী ঋণ বৃদ্ধি পাওয়ার সব ধরনের কাগজপত্রসহ ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএসইসি।

প্রিমিয়ার সিমেন্টের কোম্পানি সচিব কাজী মো. শফিকুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যবেক্ষন করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ব্যাখ্যা চেয়েছে। কোম্পানি থেকে কমিশনের চাওয়া ব্যাখ্যা অচিরেই দিয়ে দেওয়া হবে।’    
 
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, প্রিমিয়ার সিমেন্টের আর্থিক প্রতিবেদনের কিছু তথ্য সন্দেহ করছে কমিশন। তাই কোম্পানির কাছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ক নথি ও তাদের ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে।

প্রিমিয়ার সিমেন্ট শেয়ারবাজারে ২০১৩ সালে তালিকাভুক্ত হয়েছে। কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১০৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

প্রিমিয়ার সিমেন্টের আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়মে বিএসইসির ব্যাখ্যা তলব

আপডেট: ০১:৪৯:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুঁজিবাজারে সিমেন্ট খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের ৩০ জুন ২০২১ সালের সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে বেশ কিছু অসঙ্গতি পেয়েছে।

বিএসইসি সম্প্রতি প্রিমিয়ার সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ বিষয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। অসঙ্গতির বিষয়ে দশ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসির পর্যাবেক্ষণে উঠে এসেছে, প্রিমিয়ার সিমেন্ট ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে ক্যাপিটাল ওয়ার্ক ইন প্রোগ্রেস দেখিয়েছে ৯৫৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। আগের বছর একই সময়ে তা ছিল ৮২০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। অথচ ২০১৯ সালের ৩০ জুন তা ছিল ৩৯১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে প্রতি বছরই ধারাবাহিকভাবে ক্যাপিটাল ওয়ার্ক ইন প্রোগেস বেড়েছে। আর এই অর্থে যেসব নতুন প্রকল্প করা হয়েছে তার তথ্য চেয়েছে কমিশন। 

শুধু তাই নয় প্রকল্পের নাম, ভেন্ডর, প্রকল্প ব্যয়, প্রকল্প শেষ হওয়ার সম্ভাব্য সময় বা কাজ শেষ হওয়ার হার এবং ২০১৭ সালে থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রত্যেক বছরের প্রকল্পের অর্থ প্রদানের বিষয়েও বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়েছে কমিশন।

এদিকে, প্রিমিয়ার সিমেন্টের ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে ধারাবাহিকভাবে স্বল্প মেয়াদী ব্যাংক ঋণও বেড়েছে। ২০১৯ সালে ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির স্বল্প মেয়াদী ব্যাংক ঋণ ছিল ৫৬১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। পরের বছর একই সময়ে এসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আর ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে স্বল্প মেয়াদী ঋণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৭৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আর তাই ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে কোম্পানির গত ৫ বছরের দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগের ব্যাখ্যা, ক্যাপিটাল ওয়ার্ক ইন প্রোগ্রেস, স্বল্প মেয়াদী ঋণ বৃদ্ধি পাওয়ার সব ধরনের কাগজপত্রসহ ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএসইসি।

প্রিমিয়ার সিমেন্টের কোম্পানি সচিব কাজী মো. শফিকুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যবেক্ষন করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ব্যাখ্যা চেয়েছে। কোম্পানি থেকে কমিশনের চাওয়া ব্যাখ্যা অচিরেই দিয়ে দেওয়া হবে।’    
 
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, প্রিমিয়ার সিমেন্টের আর্থিক প্রতিবেদনের কিছু তথ্য সন্দেহ করছে কমিশন। তাই কোম্পানির কাছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ক নথি ও তাদের ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে।

প্রিমিয়ার সিমেন্ট শেয়ারবাজারে ২০১৩ সালে তালিকাভুক্ত হয়েছে। কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১০৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

ঢাকা/টিএ