০১:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনার প্রকোপ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:২৩:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মে ২০২১
  • / ৪১৪৯ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: চলতি মাসের শুরু থেকে দেশে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও তা এখন বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল সর্বশেষ আরো ১ হাজার ৪৫৭ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এ সময় আরো ৩৬ জন কভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের ৪৮২টি পরীক্ষাগারে ১৯ হাজার ৪৩৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সর্বশেষ শনাক্তের সংখ্যা নিয়ে দেশে মোট করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৯৪ জনে ও মোট মারা গেছেন ১২ হাজার ২৮৪ জন কভিড-১৯ পজিটিভ রোগী। গতকাল বাড়ি ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ১ হাজার ৩৭৮ জন সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৭ হাজার ৫১০ জনে।

এ পর্যন্ত দেশে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪২ লাখ ২৬ হাজার ৩৭১টি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৫১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৫ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

গতকাল মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ ও ১০ জন নারী। তাদের মধ্যে ২৫ জন সরকারি হাসপাতালে, ১০ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং একজন বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বয়স বিবেচনায় এদের মধ্যে ১৯ জনের বয়স ছিলেন ষাটোর্ধ্ব। বাকিদের মধ্যে নয়জনের বয়স ৫১-৬০ বছর, পাঁচজনের বয়স ৪১-৫০ বছর, একজনের বয়স ৩১-৪০ বছর এবং দুজনের বয়স ২১-৩০ বছরের মধ্যে ছিল। বিভাগভিত্তিক হিসেবে মৃতদের মধ্যে ১২ জন ঢাকা বিভাগের, ১৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, তিনজন রাজশাহী বিভাগের, দুজন খুলনা বিভাগের, তিনজন সিলেট বিভাগের এবং একজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এ পর্যন্ত মৃত ১২ হাজার ২৮৪ জনের মধ্যে ৮ হাজার ৮৮৪ জন পুরুষ ও ৩ হাজার ৪০০ জন নারী।

জানা যায়, দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হন। গত ২৭ এপ্রিল করোনা রোগীর সংখ্যা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানায় সরকার। চলতি বছরের ১১ মে তা ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে প্রথম নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে শতাধিক দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়লে গত বছরের ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

ঢাকা/এসআর

শেয়ার করুন

x
English Version

ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনার প্রকোপ

আপডেট: ০২:২৩:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: চলতি মাসের শুরু থেকে দেশে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও তা এখন বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল সর্বশেষ আরো ১ হাজার ৪৫৭ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এ সময় আরো ৩৬ জন কভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের ৪৮২টি পরীক্ষাগারে ১৯ হাজার ৪৩৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সর্বশেষ শনাক্তের সংখ্যা নিয়ে দেশে মোট করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৯৪ জনে ও মোট মারা গেছেন ১২ হাজার ২৮৪ জন কভিড-১৯ পজিটিভ রোগী। গতকাল বাড়ি ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ১ হাজার ৩৭৮ জন সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৭ হাজার ৫১০ জনে।

এ পর্যন্ত দেশে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪২ লাখ ২৬ হাজার ৩৭১টি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৫১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৫ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

গতকাল মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ ও ১০ জন নারী। তাদের মধ্যে ২৫ জন সরকারি হাসপাতালে, ১০ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং একজন বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বয়স বিবেচনায় এদের মধ্যে ১৯ জনের বয়স ছিলেন ষাটোর্ধ্ব। বাকিদের মধ্যে নয়জনের বয়স ৫১-৬০ বছর, পাঁচজনের বয়স ৪১-৫০ বছর, একজনের বয়স ৩১-৪০ বছর এবং দুজনের বয়স ২১-৩০ বছরের মধ্যে ছিল। বিভাগভিত্তিক হিসেবে মৃতদের মধ্যে ১২ জন ঢাকা বিভাগের, ১৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, তিনজন রাজশাহী বিভাগের, দুজন খুলনা বিভাগের, তিনজন সিলেট বিভাগের এবং একজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এ পর্যন্ত মৃত ১২ হাজার ২৮৪ জনের মধ্যে ৮ হাজার ৮৮৪ জন পুরুষ ও ৩ হাজার ৪০০ জন নারী।

জানা যায়, দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হন। গত ২৭ এপ্রিল করোনা রোগীর সংখ্যা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানায় সরকার। চলতি বছরের ১১ মে তা ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে প্রথম নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে শতাধিক দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়লে গত বছরের ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

ঢাকা/এসআর