০৭:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪

ফ্লোর প্রাইসের পুনর্বহাল চায় দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৪৮:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২
  • / ১০২৫৪ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে গত ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ৮ কার্যদিবসই সূচকের পতন ঘটেছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যাওয়ায় ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না পুঁজিবাজার। ফলে এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে তালিকাভুক্ত কোম্পানি-মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার এবং ইউনিটের সর্বনিম্ন সীমা বা ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সম্মেলন কক্ষে কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ দাবি জানোনো হয়। বৈঠকে পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেছে কমিশন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এ সময় বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে মো. মহসিন মিয়া, মো. মামুন হোসেন শামীম, মো. ওমর শরিফ, মো. পারভেজ আলী, আনোয়ার হোসেন ও মো. সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের বিষয়ে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কমিশনের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কমিশনকে আমরা অনতিবিলম্বে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণে জোর দাবি জানিয়েছি। পুঁজিবাজারে যখন দৈনিক লেনদেন দুই থেকে তিন হাজার কোটি টাকা হতো তখন যে সকল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী উচ্চ মূল্যে অতিমূল্যায়িত শেয়ারে বিনিয়োগ করেছিল, তাদেরকে খুঁজে বের করে পুনরায় বিনিয়োগে বাধ্য করার দাবি জানিয়েছি। এছাড়া পুঁজিবাজারে স্থায়ী স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত সকল ধরনের আইপিও, রাইট শেয়ার, বোনাস শেয়ার, বন্ড, ডিরেক্টর সেল, প্লেসমেন্ট শেয়ার ও এসএমই প্লাটফর্মে শেয়ারের যোগান বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছি।

এদিকে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আমরা তাদের বক্তব্য শুনেছি।

আরও পড়ুন: পতন ঠেকাতে ‘ফ্লোর প্রাইস’ পুনর্বহাল জরুরি

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২০ সালের ১৯ মার্চ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে পুঁজিবাজারে পতন ঠেকাতে কোম্পানিগুলোর শেয়ার ও ইউনিট দরের ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে বিএসইসি। এতে পুঁজিবাজার বড় পতন রোধ হয় এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসে।

ঢাকা/এসআর

শেয়ার করুন

x

ফ্লোর প্রাইসের পুনর্বহাল চায় দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা

আপডেট: ১১:৪৮:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে গত ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ৮ কার্যদিবসই সূচকের পতন ঘটেছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যাওয়ায় ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না পুঁজিবাজার। ফলে এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে তালিকাভুক্ত কোম্পানি-মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার এবং ইউনিটের সর্বনিম্ন সীমা বা ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সম্মেলন কক্ষে কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ দাবি জানোনো হয়। বৈঠকে পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেছে কমিশন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এ সময় বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে মো. মহসিন মিয়া, মো. মামুন হোসেন শামীম, মো. ওমর শরিফ, মো. পারভেজ আলী, আনোয়ার হোসেন ও মো. সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের বিষয়ে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কমিশনের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কমিশনকে আমরা অনতিবিলম্বে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণে জোর দাবি জানিয়েছি। পুঁজিবাজারে যখন দৈনিক লেনদেন দুই থেকে তিন হাজার কোটি টাকা হতো তখন যে সকল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী উচ্চ মূল্যে অতিমূল্যায়িত শেয়ারে বিনিয়োগ করেছিল, তাদেরকে খুঁজে বের করে পুনরায় বিনিয়োগে বাধ্য করার দাবি জানিয়েছি। এছাড়া পুঁজিবাজারে স্থায়ী স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত সকল ধরনের আইপিও, রাইট শেয়ার, বোনাস শেয়ার, বন্ড, ডিরেক্টর সেল, প্লেসমেন্ট শেয়ার ও এসএমই প্লাটফর্মে শেয়ারের যোগান বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছি।

এদিকে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আমরা তাদের বক্তব্য শুনেছি।

আরও পড়ুন: পতন ঠেকাতে ‘ফ্লোর প্রাইস’ পুনর্বহাল জরুরি

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২০ সালের ১৯ মার্চ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে পুঁজিবাজারে পতন ঠেকাতে কোম্পানিগুলোর শেয়ার ও ইউনিট দরের ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে বিএসইসি। এতে পুঁজিবাজার বড় পতন রোধ হয় এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসে।

ঢাকা/এসআর