০২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
সালতামামি: ২০২৩

বছরজুড়ে আলোচনায় ডলার সংকট, মূল্যস্ফীতি ও খেলাপি ঋণ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৫২:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪১৬৯ বার দেখা হয়েছে

চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৩ সাল জুড়ে আলোচনায় ছিল রিজার্ভ-সংকট। ডলার সংকটে ব্যবসায়ীদের ঋণপত্র (এলসি) খুলতে গিয়ে পরতে হয়েছে বিড়ম্বনায়। ব্যাংক ও খোলাবাজারে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয় ডলার। আলোচ্য বছরটিতেই ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণে হয় নতুন রেকর্ড। বছরটিতে এক যুগের মধ্যে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে যায়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিদায়ী বছরে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ। এরই মধ্যে ঋণের দুই কিস্তি দিয়েছে আইএমএফ। বছরের শেষ মাসে দাতা সংস্থাটির ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। এর আগে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বহুল আলোচিত মোট ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ৪০ কোটি ডলার ঋণের ওপর ভর করে দেশের রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছে। এই দুই সংস্থার ঋণ পাওয়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলারে। তবে খরচ করার মতো রিজার্ভ (বিপিএম৬) আছে ২০ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, গত অক্টোবর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। যা গত ১১ বছর ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত নভেম্বরে এই হার ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশে নেমে আসলেও স্বস্তি আসছে না। গত বছর জুড়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ছিল আলোচনায়।

২০২৩ সালে প্রায় ১২ লাখ মানুষ দেশের বাহিরে কাজ করতে গেছে। বছরের জানুয়ারি- নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে ১ হাজার ৯৯২ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এর আগের বছরের একই সময়ে এসেছিলো ১ হাজার ৯৫৮ কোটি ডলার। অর্থাৎ ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।

আরও পড়ুন: ৫৯ প্রবাসী পেলেন সিআইপি মর্যাদা

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত মার্চের পর থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু তাতে সংকট আরও প্রকট হয়। পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন-অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এর ওপর।

এরপর দুই সংগঠনের নেতারা বিভিন্ন লেনদেনে ডলারের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ শুরু করেন। তবে কিছু ব্যাংক ডলারের নির্ধারিত দামের চেয়ে ৫ থেকে ৬ টাকা বেশি দরে ডলার কেনাবেচা করছে বলে অভিযোগ উঠে। কারসাজির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দেশের সাতটি মূলধারার ও তিনটি ইসলামী ধারার ব্যাংককে জরিমানা করেছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক।

আলোচিত এই বছরে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের রেকর্ড তৈরি হয়। চলতি বছরের জুন প্রান্তিক শেষে ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ১০ দশমিক ১১ শতাংশ। এসময় পর্যন্ত ব্যাংকিংখাতে মোট বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা।

আইএমএফের শর্ত ও ব্যাংকের তারল্য সংকট কাটাতে ৯ শতাংশ সুদহার তুলে আগামীতে ঋণের সুদহার কত হবে তা ‘স্মার্ট’ পদ্ধতিতে ঠিক করা হয়। নতুন এ পদ্ধতি চলতি বছরের জুলাই থেকে কার্যকর হয়। ৯ শতাংশ ঋণ সুদহার তুলে দিয়ে ট্রেজারি বিল, বন্ডের ছয় মাসের গড় সুদহার(ওয়েটেড) বিবেচনা করে প্রতি মাসে একটি রেফারেন্স রেট নির্ধারণ করে দিবে বাংলাদেশ ব্যাংক; এর সঙ্গে সর্বোচ্চ তিন শতাংশ সুদ যোগ করে ঋণ সুদহার নির্ধারণ করতে পারবে বাণিজ্যিক ব্যাংক।

এদিকে ২০২৩ সালে ব্যাংকিংখাতে নৈরাজ্য ঠেকাতে একই পরিবার থেকে ব্যাংকের পরিচালক ৩ জনে নামিয়ে আনার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর সংশোধনী অনুযায়ী একটি ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডে একই পরিবারের সর্বোচ্চ ৪ জন সদস্য বসতে পারবেন। ২০১৮ সালে আইনটিতে পরিবর্তন আনা হয়। চলতি বছরের ২১ জুন জাতীয় সংসদে পাস হওয়া নতুন আইনে বলা হয়েছে, একক পরিবারের পরিচালকের সংখ্যা ৩ জনের বেশি হতে পারবে না।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে আর্থিক হিসাবে ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯৬ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ে এই সূচকে ১২৭ কোটি ডলার উদ্বৃত্ত ছিল। ২০২১-২২ অর্থবছরে আর্থিক হিসাবের সূচকে ১ হাজার ৫৪৬ কোটি ডলারের বড় উদ্বৃত্ত ছিল।

সবশেষ আলোচনায় আসে বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সুপারিশে ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে নতুন পর্ষদও গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকটিতে সুশাসন আনতে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয় বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x
English Version

সালতামামি: ২০২৩

বছরজুড়ে আলোচনায় ডলার সংকট, মূল্যস্ফীতি ও খেলাপি ঋণ

আপডেট: ০৫:৫২:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৩ সাল জুড়ে আলোচনায় ছিল রিজার্ভ-সংকট। ডলার সংকটে ব্যবসায়ীদের ঋণপত্র (এলসি) খুলতে গিয়ে পরতে হয়েছে বিড়ম্বনায়। ব্যাংক ও খোলাবাজারে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয় ডলার। আলোচ্য বছরটিতেই ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণে হয় নতুন রেকর্ড। বছরটিতে এক যুগের মধ্যে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে যায়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিদায়ী বছরে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ। এরই মধ্যে ঋণের দুই কিস্তি দিয়েছে আইএমএফ। বছরের শেষ মাসে দাতা সংস্থাটির ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। এর আগে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বহুল আলোচিত মোট ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ৪০ কোটি ডলার ঋণের ওপর ভর করে দেশের রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছে। এই দুই সংস্থার ঋণ পাওয়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলারে। তবে খরচ করার মতো রিজার্ভ (বিপিএম৬) আছে ২০ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, গত অক্টোবর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। যা গত ১১ বছর ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত নভেম্বরে এই হার ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশে নেমে আসলেও স্বস্তি আসছে না। গত বছর জুড়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ছিল আলোচনায়।

২০২৩ সালে প্রায় ১২ লাখ মানুষ দেশের বাহিরে কাজ করতে গেছে। বছরের জানুয়ারি- নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে ১ হাজার ৯৯২ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এর আগের বছরের একই সময়ে এসেছিলো ১ হাজার ৯৫৮ কোটি ডলার। অর্থাৎ ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।

আরও পড়ুন: ৫৯ প্রবাসী পেলেন সিআইপি মর্যাদা

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত মার্চের পর থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু তাতে সংকট আরও প্রকট হয়। পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন-অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এর ওপর।

এরপর দুই সংগঠনের নেতারা বিভিন্ন লেনদেনে ডলারের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ শুরু করেন। তবে কিছু ব্যাংক ডলারের নির্ধারিত দামের চেয়ে ৫ থেকে ৬ টাকা বেশি দরে ডলার কেনাবেচা করছে বলে অভিযোগ উঠে। কারসাজির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দেশের সাতটি মূলধারার ও তিনটি ইসলামী ধারার ব্যাংককে জরিমানা করেছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক।

আলোচিত এই বছরে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের রেকর্ড তৈরি হয়। চলতি বছরের জুন প্রান্তিক শেষে ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ১০ দশমিক ১১ শতাংশ। এসময় পর্যন্ত ব্যাংকিংখাতে মোট বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা।

আইএমএফের শর্ত ও ব্যাংকের তারল্য সংকট কাটাতে ৯ শতাংশ সুদহার তুলে আগামীতে ঋণের সুদহার কত হবে তা ‘স্মার্ট’ পদ্ধতিতে ঠিক করা হয়। নতুন এ পদ্ধতি চলতি বছরের জুলাই থেকে কার্যকর হয়। ৯ শতাংশ ঋণ সুদহার তুলে দিয়ে ট্রেজারি বিল, বন্ডের ছয় মাসের গড় সুদহার(ওয়েটেড) বিবেচনা করে প্রতি মাসে একটি রেফারেন্স রেট নির্ধারণ করে দিবে বাংলাদেশ ব্যাংক; এর সঙ্গে সর্বোচ্চ তিন শতাংশ সুদ যোগ করে ঋণ সুদহার নির্ধারণ করতে পারবে বাণিজ্যিক ব্যাংক।

এদিকে ২০২৩ সালে ব্যাংকিংখাতে নৈরাজ্য ঠেকাতে একই পরিবার থেকে ব্যাংকের পরিচালক ৩ জনে নামিয়ে আনার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর সংশোধনী অনুযায়ী একটি ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডে একই পরিবারের সর্বোচ্চ ৪ জন সদস্য বসতে পারবেন। ২০১৮ সালে আইনটিতে পরিবর্তন আনা হয়। চলতি বছরের ২১ জুন জাতীয় সংসদে পাস হওয়া নতুন আইনে বলা হয়েছে, একক পরিবারের পরিচালকের সংখ্যা ৩ জনের বেশি হতে পারবে না।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে আর্থিক হিসাবে ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯৬ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ে এই সূচকে ১২৭ কোটি ডলার উদ্বৃত্ত ছিল। ২০২১-২২ অর্থবছরে আর্থিক হিসাবের সূচকে ১ হাজার ৫৪৬ কোটি ডলারের বড় উদ্বৃত্ত ছিল।

সবশেষ আলোচনায় আসে বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সুপারিশে ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে নতুন পর্ষদও গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকটিতে সুশাসন আনতে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয় বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।

ঢাকা/এসএম