০৩:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে খুলনা পাওয়ারের ২ বিদ্যুৎকেন্দ্র

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:৪৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মে ২০২১
  • / ৪৫৯৩ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বন্ধ হয়ে যেতে পারে পুঁজিবাজারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের তালিকাভুক্ত খুলনা পাওয়ার কোম্পানির ২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই দুটি কেন্দ্রের ক্রয় চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। কোম্পানির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কেপিসিএলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, খুলনা পাওয়ার কোম্পানির কেপিসি ইউনিট-২ ১১৫ মেগাওয়াট এবং কেপিসি ৪০ মেগাওয়াট নোয়াপাড়া প্লান্টের বিদ্যমান বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) মেয়াদ যথাক্রমে ৩১ মে ২০২১ এবং ২৮ মে ২১ এ শেষ হতে চলেছে।

এরই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) চিঠির মাধ্যমে কেপিসি ইউনিট ১১৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্ট এবং কেপিসি ৪০ মেগাওয়াট নোয়াপাড়া প্ল্যান্টকে যথাক্রমে পহেলা জুন ২০২১ এবং ২৯ মে ২১ জুন থেকে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। এ সময় কোম্পানি জানায়, তবুও বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর পিপিএ নবায়নের চেষ্টা করছে তারা।

এর আগে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির চুক্তির মেয়াদ নবায়নের জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে এ অনুরোধ করা হয়।

বিএসইসির ওই চিঠিতে বলা হয়, খুলনা পাওয়ারের মালিকানাধীন খুলনা পাওয়ার ইউনিট-২-এর পিপিএ মেয়াদ আগামী ৩১ মে এবং খানজাহান আলী পাওয়ারের পিপিএ মেয়াদ আগামী ২৮ মে শেষ হতে যাচ্ছে। এসব কোম্পানি শেয়ার বিক্রি করে ব্যক্তি শ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে মূলধন সংগ্রহ করে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিন্তু বিনিয়োগের পর থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিগুলো যে লভ্যাংশ দিয়েছে, তা থেকে বিনিয়োগের অর্থ ফেরত পাননি বিনিয়োগকারীরা। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, খুলনা পাওয়ারের মালিকানাধীন দুই বিদ্যুৎকেন্দ্র ফার্নেস অয়েলভিত্তিক। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে ফার্নেস অয়েলের দর নিুমুখী হওয়ায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন খরচ অনেক কম। ফলে এ দুই কোম্পানির কাছ থেকে সরকার এখন কম মূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে পারবে। তা ছাড়া খুলনা পাওয়ারের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার মাত্র ৩০ শতাংশ ব্যবহার হচ্ছে। অর্থাৎ এর সক্ষমতার ৭০ শতাংশ অব্যবহৃত থাকছে, যা আগামী ২০ বছর উৎপাদন বজায় রাখার সক্ষমতা রাখে। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে খুলনা পাওয়ারসহ তালিকাভুক্ত অন্যান্য বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সরকারের সম্পাদিত ক্রয় চুক্তি নবায়ন করার সুযোগ আছে কিনা, তা জানাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরির আওতাভুক্ত। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধণ ৭০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩৯৭ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির সর্বমোট শেয়ারের ৬৯.৯৯ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের নিকট, ৯.২০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিকট, ০.৩০ শতাংশ প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের নিকট ও ২০.৫১ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নিকট রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০মে) কোম্পানিটির শেয়ার ১.৬৫ শতাংশ বা ০.৭ টাকা বেড়ে সর্বশেষ ৪৩ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এদিন, কোম্পানিটির শেয়ার সর্বনিম্ন ৪২.৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৬ টাকায় লেনদেন হয়েছে।

শেয়ার করুন

x
English Version

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে খুলনা পাওয়ারের ২ বিদ্যুৎকেন্দ্র

আপডেট: ০৮:৪৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বন্ধ হয়ে যেতে পারে পুঁজিবাজারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের তালিকাভুক্ত খুলনা পাওয়ার কোম্পানির ২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই দুটি কেন্দ্রের ক্রয় চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। কোম্পানির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কেপিসিএলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, খুলনা পাওয়ার কোম্পানির কেপিসি ইউনিট-২ ১১৫ মেগাওয়াট এবং কেপিসি ৪০ মেগাওয়াট নোয়াপাড়া প্লান্টের বিদ্যমান বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) মেয়াদ যথাক্রমে ৩১ মে ২০২১ এবং ২৮ মে ২১ এ শেষ হতে চলেছে।

এরই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) চিঠির মাধ্যমে কেপিসি ইউনিট ১১৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্ট এবং কেপিসি ৪০ মেগাওয়াট নোয়াপাড়া প্ল্যান্টকে যথাক্রমে পহেলা জুন ২০২১ এবং ২৯ মে ২১ জুন থেকে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। এ সময় কোম্পানি জানায়, তবুও বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর পিপিএ নবায়নের চেষ্টা করছে তারা।

এর আগে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির চুক্তির মেয়াদ নবায়নের জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে এ অনুরোধ করা হয়।

বিএসইসির ওই চিঠিতে বলা হয়, খুলনা পাওয়ারের মালিকানাধীন খুলনা পাওয়ার ইউনিট-২-এর পিপিএ মেয়াদ আগামী ৩১ মে এবং খানজাহান আলী পাওয়ারের পিপিএ মেয়াদ আগামী ২৮ মে শেষ হতে যাচ্ছে। এসব কোম্পানি শেয়ার বিক্রি করে ব্যক্তি শ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে মূলধন সংগ্রহ করে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিন্তু বিনিয়োগের পর থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিগুলো যে লভ্যাংশ দিয়েছে, তা থেকে বিনিয়োগের অর্থ ফেরত পাননি বিনিয়োগকারীরা। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, খুলনা পাওয়ারের মালিকানাধীন দুই বিদ্যুৎকেন্দ্র ফার্নেস অয়েলভিত্তিক। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে ফার্নেস অয়েলের দর নিুমুখী হওয়ায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন খরচ অনেক কম। ফলে এ দুই কোম্পানির কাছ থেকে সরকার এখন কম মূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে পারবে। তা ছাড়া খুলনা পাওয়ারের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার মাত্র ৩০ শতাংশ ব্যবহার হচ্ছে। অর্থাৎ এর সক্ষমতার ৭০ শতাংশ অব্যবহৃত থাকছে, যা আগামী ২০ বছর উৎপাদন বজায় রাখার সক্ষমতা রাখে। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে খুলনা পাওয়ারসহ তালিকাভুক্ত অন্যান্য বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সরকারের সম্পাদিত ক্রয় চুক্তি নবায়ন করার সুযোগ আছে কিনা, তা জানাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরির আওতাভুক্ত। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধণ ৭০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩৯৭ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির সর্বমোট শেয়ারের ৬৯.৯৯ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের নিকট, ৯.২০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিকট, ০.৩০ শতাংশ প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের নিকট ও ২০.৫১ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নিকট রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০মে) কোম্পানিটির শেয়ার ১.৬৫ শতাংশ বা ০.৭ টাকা বেড়ে সর্বশেষ ৪৩ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এদিন, কোম্পানিটির শেয়ার সর্বনিম্ন ৪২.৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৬ টাকায় লেনদেন হয়েছে।