০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বাঁচা-মরার লড়াইয়ে জামালদের সামনে নেপাল

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:০৬:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অক্টোবর ২০২১
  • / ৪১০৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রতিপক্ষ নেপাল, প্রতিযোগিতাও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ, বদলেছে শুধু ভেন্যু। আন্তর্জাতিক ফুটবলে নেপালের বিপক্ষে পাল্লা ভারী বাংলাদেশের। ১৯৯৩ সাল থেকে শুরু করে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নেপালের সঙ্গে ২৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ১২ জয়ের বিপরীতে জামালদের হার ৮টি। বাকি চার ম্যাচ ড্র। নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১৯৮৩ সালে। মারদেকা কাপের ওই ম্যাচে নেপালকে ১-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ। পরের বছরই সাউথ এশিয়ান গেমসে ৫-০ গোলে জয় পায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। যদিও আসরের ফাইনালে বাংলাদেশকে ৪-২ গোলে হারিয়ে সোনা জিতে নেয় স্বাগতিক নেপালে।

এবার শিরোপায় চোখ রেখে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে মালদ্বীপ গিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। কিন্তু স্বাগতিক মালদ্বীপের কাছেই ২-০ গোলে হেরে কঠিন সমীকরণের সামনে এখন জামাল ভূঁইয়া-তপু বর্মণরা। লিগপর্বের শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে জিততেই হবে বাংলাদেশকে। তাহলেই মিলবে ফাইনালের টিকিট।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় মালদ্বীপ জাতীয় স্টেডিয়ামে নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে ড্র করলেই ফাইনালে চলে যাবে নেপাল। কিন্তু জয়ব্যতীত আর কোনো ফলাফলের সুযোগ নেই বাংলাদেশের সামনে। নেপালকে হারাতে পারলেই মিলবে চতুর্থবারের মতো সাফের ফাইনাল খেলার টিকিট।

এই ম্যাচের আগে বাংলাদেশ কোচ অস্কার ব্রুজন বলেছেন, ‘আমাদের একটা শক্তিশালী দিক হচ্ছে আমরা রক্ষণে খুব একটা ভুগিনি। মালদ্বীপ ম্যাচে আমাদের দুটো গোল খাওয়া নিয়ে কথা হচ্ছে, কিন্তু ওই ম্যাচে আমরা দুটো গোল খেয়েছি সেট পিস থেকে। কেবল দলের ডিফেন্ডারদের ওপর নয়, আমাদের রক্ষণের যে কৌশল, তার ওপর আমার আস্থা রয়েছে।’

এসময় বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নিজেদের পরিকল্পনার বিষয়ে খানিক ধারণা দিয়ে বাংলাদেশের কোচ বলেন, ‘আগামীকাল আমাদের জমাট থাকতে হবে। সেন্ট্রাল এরিয়ায় নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে, নেপালকে আমরা দ্রুত প্রতি-আক্রমণে ওঠার সুযোগ দিতে পারি না। সে অনুযায়ী আমাদের পরিকল্পনা আছে।’

শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, দিনের পরের ম্যাচটি ভারতের জন্যও বাঁচা-মরার। স্বাগতিক মালদ্বীপের বিপক্ষে রাত ১০টায় খেলবে ভারত। সেই ম্যাচে তারা জয়ব্যতীত অন্য কোনো ফল পেলেই বাদ পড়ে যাবে প্রথম পর্ব থেকে। সাফের লিগপর্বের শেষদিনের এই রোমাঞ্চে নিজেদের জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী অস্কার। তিনি বলেছেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী যেভাবে খেলতে চাই, আমাদের সেভাবে খেলতে হবে। দুই স্ট্রাইকার নিয়ে খেলব। দুটি ম্যাচই সেমি-ফাইনাল (অন্য ম্যাচে মুখোমুখি ভারত ও মালদ্বীপ)। ম্যাচ জিততে হবে। আমাদের জিততেই হবে এবং আমি আত্মবিশ্বাসী। আমাদের জন্য সুন্দর দিন অপেক্ষায় আছে।’ বাংলাদেশ-নেপালের সবশেষ মুখোমুখি লড়াইটি ছিলো গোলশূন্য ড্র। তবে এর আগের ম্যাচে নেপালকে ২-০ গোলে হারিয়েছিলো জামাল ভূঁইয়ার দল। অবশ্য সাফের পরিসংখ্যানে হাসি নেপালের মুখে। সবশেষ ১৬ বছর আগে সাফে নেপালকে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। এরপর নিজেরা হেরেছে তিনটি ম্যাচে। এবার নতুন গল্পই লিখতে হবে অস্কারের বাংলাদেশকে।

ঢাকা/এমটি 

শেয়ার করুন

x
English Version

বাঁচা-মরার লড়াইয়ে জামালদের সামনে নেপাল

আপডেট: ১২:০৬:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অক্টোবর ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রতিপক্ষ নেপাল, প্রতিযোগিতাও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ, বদলেছে শুধু ভেন্যু। আন্তর্জাতিক ফুটবলে নেপালের বিপক্ষে পাল্লা ভারী বাংলাদেশের। ১৯৯৩ সাল থেকে শুরু করে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নেপালের সঙ্গে ২৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ১২ জয়ের বিপরীতে জামালদের হার ৮টি। বাকি চার ম্যাচ ড্র। নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১৯৮৩ সালে। মারদেকা কাপের ওই ম্যাচে নেপালকে ১-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ। পরের বছরই সাউথ এশিয়ান গেমসে ৫-০ গোলে জয় পায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। যদিও আসরের ফাইনালে বাংলাদেশকে ৪-২ গোলে হারিয়ে সোনা জিতে নেয় স্বাগতিক নেপালে।

এবার শিরোপায় চোখ রেখে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে মালদ্বীপ গিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। কিন্তু স্বাগতিক মালদ্বীপের কাছেই ২-০ গোলে হেরে কঠিন সমীকরণের সামনে এখন জামাল ভূঁইয়া-তপু বর্মণরা। লিগপর্বের শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে জিততেই হবে বাংলাদেশকে। তাহলেই মিলবে ফাইনালের টিকিট।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় মালদ্বীপ জাতীয় স্টেডিয়ামে নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে ড্র করলেই ফাইনালে চলে যাবে নেপাল। কিন্তু জয়ব্যতীত আর কোনো ফলাফলের সুযোগ নেই বাংলাদেশের সামনে। নেপালকে হারাতে পারলেই মিলবে চতুর্থবারের মতো সাফের ফাইনাল খেলার টিকিট।

এই ম্যাচের আগে বাংলাদেশ কোচ অস্কার ব্রুজন বলেছেন, ‘আমাদের একটা শক্তিশালী দিক হচ্ছে আমরা রক্ষণে খুব একটা ভুগিনি। মালদ্বীপ ম্যাচে আমাদের দুটো গোল খাওয়া নিয়ে কথা হচ্ছে, কিন্তু ওই ম্যাচে আমরা দুটো গোল খেয়েছি সেট পিস থেকে। কেবল দলের ডিফেন্ডারদের ওপর নয়, আমাদের রক্ষণের যে কৌশল, তার ওপর আমার আস্থা রয়েছে।’

এসময় বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নিজেদের পরিকল্পনার বিষয়ে খানিক ধারণা দিয়ে বাংলাদেশের কোচ বলেন, ‘আগামীকাল আমাদের জমাট থাকতে হবে। সেন্ট্রাল এরিয়ায় নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে, নেপালকে আমরা দ্রুত প্রতি-আক্রমণে ওঠার সুযোগ দিতে পারি না। সে অনুযায়ী আমাদের পরিকল্পনা আছে।’

শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, দিনের পরের ম্যাচটি ভারতের জন্যও বাঁচা-মরার। স্বাগতিক মালদ্বীপের বিপক্ষে রাত ১০টায় খেলবে ভারত। সেই ম্যাচে তারা জয়ব্যতীত অন্য কোনো ফল পেলেই বাদ পড়ে যাবে প্রথম পর্ব থেকে। সাফের লিগপর্বের শেষদিনের এই রোমাঞ্চে নিজেদের জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী অস্কার। তিনি বলেছেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী যেভাবে খেলতে চাই, আমাদের সেভাবে খেলতে হবে। দুই স্ট্রাইকার নিয়ে খেলব। দুটি ম্যাচই সেমি-ফাইনাল (অন্য ম্যাচে মুখোমুখি ভারত ও মালদ্বীপ)। ম্যাচ জিততে হবে। আমাদের জিততেই হবে এবং আমি আত্মবিশ্বাসী। আমাদের জন্য সুন্দর দিন অপেক্ষায় আছে।’ বাংলাদেশ-নেপালের সবশেষ মুখোমুখি লড়াইটি ছিলো গোলশূন্য ড্র। তবে এর আগের ম্যাচে নেপালকে ২-০ গোলে হারিয়েছিলো জামাল ভূঁইয়ার দল। অবশ্য সাফের পরিসংখ্যানে হাসি নেপালের মুখে। সবশেষ ১৬ বছর আগে সাফে নেপালকে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। এরপর নিজেরা হেরেছে তিনটি ম্যাচে। এবার নতুন গল্পই লিখতে হবে অস্কারের বাংলাদেশকে।

ঢাকা/এমটি