০২:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে আইএমএফ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:২৬:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪১৯১ বার দেখা হয়েছে

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতকালে অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ।

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ, উচ্চ আয়ের বাংলাদেশ গড়তে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

আজ সোমবার (১৬ জানুয়ারি) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান বাংলাদেশে সফররত আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ। পরে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত-সমৃদ্ধ এবং উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হতে চায়। এই আকাঙ্ক্ষা পূরণে আইএমএফ সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

অ্যান্তইনেত মনসিও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আইএমএফের দীর্ঘদিনের অংশীদারত্ব রয়েছে। আইএমএফ এই অংশীদারত্বকে যত্নসহকারে লালন করে। আমি সে অংশীদারত্বকে আরও শক্তিশালী করতে এখানে এসেছি।

আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির ভয়ানক প্রভাব, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কঠিন পরিস্থিতির কারণে পুরো বিশ্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনীতিগুলো বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে; বিশেষ করে মুদ্রাস্ফীতির চাপ, নিত্যপণের মূল্য বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সমস্যা।

এসব সমস্যা মোকাবিলায় আইএমএফ বাংলাদেশের প্রচেষ্টার পাশে থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন অ্যান্তইনেত মনসিও।

করোনা মহামারির প্রভাব এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশের অগ্রগতির গতি কিছুটা কম হয়েছে।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রভাব থেকে বাঁচাতে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সহাযতা বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশও সমস্যায় পড়েছে। সরকার নিম্ন আয়ের মানুষের সহায়তার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী এবং খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি সম্প্রসারণ করেছে।

আরও পড়ুন: নতুন মুদ্রানীতি বেসরকারি খাতকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করবে: ঢাকা চেম্বার

শেখ হাসিনা বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনকে টার্গেট করে সরকার উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সকল অনাবাদী জমি চাষের আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো কষ্ট পাচ্ছে, এমনকি অনেক উন্নত দেশেও।

অগ্রিম ব্যবস্থা হিসেবে বাংলাদেশ আইএমএফের কাছে সহায়তা চেয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বেলআউটের জন্য নয় বরং একটি আগাম ব্যবস্থা হিসেবে আইএমএফের কাছে সহায়তা চেয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বলেন, গত এক দশক বাংলাদেশ ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাক্ষাৎকালে নারীর ক্ষমতায়ন, নারী শিক্ষা, কমিউনিটি ক্লিনিক এবং আইসিটি ক্যাম্প বিষয়ে আলোচনা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, সিনিয়র অর্থ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং আইএমএফ-এর ঢাকার আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দে।

সাক্ষাতকালে আইএমএফ প্রতিনিধি ১৯৭২ সালের ১৭ আগস্ট বাংলাদেশ যখন আইএমএফের সদস্যপদ লাভ করে তখনকার দুটো ছবি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। সূত্র: বাসস

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে আইএমএফ

আপডেট: ০৫:২৬:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ, উচ্চ আয়ের বাংলাদেশ গড়তে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

আজ সোমবার (১৬ জানুয়ারি) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান বাংলাদেশে সফররত আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ। পরে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত-সমৃদ্ধ এবং উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হতে চায়। এই আকাঙ্ক্ষা পূরণে আইএমএফ সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

অ্যান্তইনেত মনসিও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আইএমএফের দীর্ঘদিনের অংশীদারত্ব রয়েছে। আইএমএফ এই অংশীদারত্বকে যত্নসহকারে লালন করে। আমি সে অংশীদারত্বকে আরও শক্তিশালী করতে এখানে এসেছি।

আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির ভয়ানক প্রভাব, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কঠিন পরিস্থিতির কারণে পুরো বিশ্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনীতিগুলো বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে; বিশেষ করে মুদ্রাস্ফীতির চাপ, নিত্যপণের মূল্য বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সমস্যা।

এসব সমস্যা মোকাবিলায় আইএমএফ বাংলাদেশের প্রচেষ্টার পাশে থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন অ্যান্তইনেত মনসিও।

করোনা মহামারির প্রভাব এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশের অগ্রগতির গতি কিছুটা কম হয়েছে।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রভাব থেকে বাঁচাতে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সহাযতা বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশও সমস্যায় পড়েছে। সরকার নিম্ন আয়ের মানুষের সহায়তার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী এবং খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি সম্প্রসারণ করেছে।

আরও পড়ুন: নতুন মুদ্রানীতি বেসরকারি খাতকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করবে: ঢাকা চেম্বার

শেখ হাসিনা বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনকে টার্গেট করে সরকার উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সকল অনাবাদী জমি চাষের আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো কষ্ট পাচ্ছে, এমনকি অনেক উন্নত দেশেও।

অগ্রিম ব্যবস্থা হিসেবে বাংলাদেশ আইএমএফের কাছে সহায়তা চেয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বেলআউটের জন্য নয় বরং একটি আগাম ব্যবস্থা হিসেবে আইএমএফের কাছে সহায়তা চেয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বলেন, গত এক দশক বাংলাদেশ ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাক্ষাৎকালে নারীর ক্ষমতায়ন, নারী শিক্ষা, কমিউনিটি ক্লিনিক এবং আইসিটি ক্যাম্প বিষয়ে আলোচনা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, সিনিয়র অর্থ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং আইএমএফ-এর ঢাকার আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দে।

সাক্ষাতকালে আইএমএফ প্রতিনিধি ১৯৭২ সালের ১৭ আগস্ট বাংলাদেশ যখন আইএমএফের সদস্যপদ লাভ করে তখনকার দুটো ছবি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। সূত্র: বাসস

ঢাকা/টিএ