০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি: প্রধানমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৫৬:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২
  • / ৪১০৮ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: করোনার কারণে সারাবিশ্বের অর্থনীতির অবস্থা মন্দা।তাই বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সোমবার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দ্রব্যমূল্য নিয়ে একটা কথা আসছে। এটা শুধু বাংলাদেশে না, করোনার কারণে বিশ্বের অর্থনীতি মন্দা। যে কারণে পৃথিবীর সবদেশে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। 

তিনি বলেন, এখন একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করেছে। সেটা নিয়েও একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সারাবিশ্বে। যার কুফলটা আসছে। এখন আমরাও তার কুফল ভোগ করছি। আমাদের এখানেও কিছু জিনিসের দাম বাড়ছে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে যখন বেড়ে যায়, তখন এটার স্বাভাবিক কিছু প্রভাব পড়ে। 

সরকারপ্রধান বলেন, তাছাড়া এখানে কিছু লোক আছেই, যারা ব্যবসা করে দুই পয়সা বেশি কামাই করতে চায়। সেখানে মনিটরিং করার ব্যবস্থা আমরা করছি।
 
জনগণ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের খাদ্যের যেন অভাব না হয়। এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। যে যা পারবেন কিছু উৎপাদন করবেন। নিজের চাহিদা, নিজেই পূরণ করতে চেষ্টা করবেন। নিজের খাদ্য নিজেই যোগান দিতে চেষ্টা করবেন। যদি এটা আমরা করতে পারি, তাহলে আমাদের আর কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। 

তিনি বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বিএনপির আমলে কতইবা ছিল। আজকে আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৯১ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে সবাইকে বলবো যার যেখানে যতটুকু জমি আছে, সবাই কিছু না কিছু ফসল ফলান। নিজের খাবারের ব্যবস্থা নিজে তৈরি করেন। যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক, যুদ্ধাবস্থা হোক বা যেকোনো ঘটনা হোক, অন্তত আমাদের দেশের মানুষের খাদ্যের অভাব না দেখা দেয়। সেটাই আমাদের চেষ্টা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পরে পুষ্টির ব্যবস্থা করেছি। বিনা পয়সায় চিকিৎসা ও বই দেওয়া, সবধরনের ব্যবস্থা আমরা করে যাচ্ছি। 

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং গণভবন থেকে সঞ্চালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ প্রমুখ। 

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ০২:৫৬:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: করোনার কারণে সারাবিশ্বের অর্থনীতির অবস্থা মন্দা।তাই বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সোমবার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দ্রব্যমূল্য নিয়ে একটা কথা আসছে। এটা শুধু বাংলাদেশে না, করোনার কারণে বিশ্বের অর্থনীতি মন্দা। যে কারণে পৃথিবীর সবদেশে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। 

তিনি বলেন, এখন একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করেছে। সেটা নিয়েও একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সারাবিশ্বে। যার কুফলটা আসছে। এখন আমরাও তার কুফল ভোগ করছি। আমাদের এখানেও কিছু জিনিসের দাম বাড়ছে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে যখন বেড়ে যায়, তখন এটার স্বাভাবিক কিছু প্রভাব পড়ে। 

সরকারপ্রধান বলেন, তাছাড়া এখানে কিছু লোক আছেই, যারা ব্যবসা করে দুই পয়সা বেশি কামাই করতে চায়। সেখানে মনিটরিং করার ব্যবস্থা আমরা করছি।
 
জনগণ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের খাদ্যের যেন অভাব না হয়। এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। যে যা পারবেন কিছু উৎপাদন করবেন। নিজের চাহিদা, নিজেই পূরণ করতে চেষ্টা করবেন। নিজের খাদ্য নিজেই যোগান দিতে চেষ্টা করবেন। যদি এটা আমরা করতে পারি, তাহলে আমাদের আর কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। 

তিনি বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বিএনপির আমলে কতইবা ছিল। আজকে আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৯১ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে সবাইকে বলবো যার যেখানে যতটুকু জমি আছে, সবাই কিছু না কিছু ফসল ফলান। নিজের খাবারের ব্যবস্থা নিজে তৈরি করেন। যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক, যুদ্ধাবস্থা হোক বা যেকোনো ঘটনা হোক, অন্তত আমাদের দেশের মানুষের খাদ্যের অভাব না দেখা দেয়। সেটাই আমাদের চেষ্টা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পরে পুষ্টির ব্যবস্থা করেছি। বিনা পয়সায় চিকিৎসা ও বই দেওয়া, সবধরনের ব্যবস্থা আমরা করে যাচ্ছি। 

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং গণভবন থেকে সঞ্চালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ প্রমুখ। 

ঢাকা/টিএ