১১:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চীনের আগ্রহ নেই: রাষ্ট্রদূত

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:৩২:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪১৫৫ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে চীনের আগ্রহী নেই জানিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা চীনের নীতি নয়। তবে কোনো দেশের উন্নয়নে শান্তি ও স্থীতিশীলতা অপরিহার্য। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থীতিশীলতা বজায় থাকবে, যাতে সামাজিক উন্নয়ন চলমান থাকে।

আজ শনিবার সকালে ‘বাংলাদেশ-চায়না সিল্ক রোড ফোরাম’র একটি সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) ২০তম জাতীয় কংগ্রেস নিয়ে এ সেমিনার আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ-চায়না সিল্ক রোড ফোরাম’।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এতে ক্ষমতাসীন দলের অন্যতম শরীক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং ‘বাংলাদেশ-চায়না সিল্ক রোড ফোরাম’র সভাপতি ও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।

গণতন্ত্র নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, পশ্চিমা উদার গণতন্ত্রই শুধু গণতন্ত্র নয়। চীনও গণতন্ত্রকে মূল্য দেয়। তবে কেবল ভোট দেওয়াটাই গণতন্ত্র নয়। আমরাও গণতন্ত্র চর্চা করি।

আরও পড়ুন: ৭ দিন গ্যাস বিভ্রাট হতে পারে যেসব এলাকায়

বাংলাদেশের পানি সমস্যা সমাধানে তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পকে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে লি জিমিং বলেন, তিস্তা প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশ সরকার আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা তা গ্রহণ করেছি। এটা নিয়ে সমীক্ষা চলছে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে যে বাইরের চাপ আছে সেটি আমরা বুঝতে পারি। এ প্রকল্প ভূ-রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর।

তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পে চীন বিনিয়োগে আগ্রহী জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ সরকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চাইলে চীন সব ধরনের সহায়তা দেবে। প্রকল্পটি চীন অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। এটি বাস্তবায়নে বাধা চীন নয়। এখানে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশ সরকারের চাওয়া। বাংলাদেশ চাইলে চীন এটি বাস্তবায়ন করবে।

বাংলাদেশ ভাটির দেশ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই অনুযায়ী সীমান্তের কাছে কোনো বাঁধ নির্মাণ করা হবে না এবং বিপরীত স্রোতের কারণে উজানের দেশের জন্য এটি ক্ষতিকর নয়। এই প্রকল্পটি উজানের দেশের জন্য কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না। আমাকেও কয়েকজন বলেছে, এই প্রকল্পের বিষয়ে যেন আমি সাবধানে থাকি। কারণ ভূ-রাজনৈতিকভাবে এটি খুবই স্পর্শকাতর।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চীনের আগ্রহ নেই: রাষ্ট্রদূত

আপডেট: ০৭:৩২:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে চীনের আগ্রহী নেই জানিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা চীনের নীতি নয়। তবে কোনো দেশের উন্নয়নে শান্তি ও স্থীতিশীলতা অপরিহার্য। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থীতিশীলতা বজায় থাকবে, যাতে সামাজিক উন্নয়ন চলমান থাকে।

আজ শনিবার সকালে ‘বাংলাদেশ-চায়না সিল্ক রোড ফোরাম’র একটি সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) ২০তম জাতীয় কংগ্রেস নিয়ে এ সেমিনার আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ-চায়না সিল্ক রোড ফোরাম’।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এতে ক্ষমতাসীন দলের অন্যতম শরীক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং ‘বাংলাদেশ-চায়না সিল্ক রোড ফোরাম’র সভাপতি ও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।

গণতন্ত্র নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, পশ্চিমা উদার গণতন্ত্রই শুধু গণতন্ত্র নয়। চীনও গণতন্ত্রকে মূল্য দেয়। তবে কেবল ভোট দেওয়াটাই গণতন্ত্র নয়। আমরাও গণতন্ত্র চর্চা করি।

আরও পড়ুন: ৭ দিন গ্যাস বিভ্রাট হতে পারে যেসব এলাকায়

বাংলাদেশের পানি সমস্যা সমাধানে তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পকে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে লি জিমিং বলেন, তিস্তা প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশ সরকার আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা তা গ্রহণ করেছি। এটা নিয়ে সমীক্ষা চলছে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে যে বাইরের চাপ আছে সেটি আমরা বুঝতে পারি। এ প্রকল্প ভূ-রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর।

তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পে চীন বিনিয়োগে আগ্রহী জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ সরকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চাইলে চীন সব ধরনের সহায়তা দেবে। প্রকল্পটি চীন অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। এটি বাস্তবায়নে বাধা চীন নয়। এখানে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশ সরকারের চাওয়া। বাংলাদেশ চাইলে চীন এটি বাস্তবায়ন করবে।

বাংলাদেশ ভাটির দেশ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই অনুযায়ী সীমান্তের কাছে কোনো বাঁধ নির্মাণ করা হবে না এবং বিপরীত স্রোতের কারণে উজানের দেশের জন্য এটি ক্ষতিকর নয়। এই প্রকল্পটি উজানের দেশের জন্য কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না। আমাকেও কয়েকজন বলেছে, এই প্রকল্পের বিষয়ে যেন আমি সাবধানে থাকি। কারণ ভূ-রাজনৈতিকভাবে এটি খুবই স্পর্শকাতর।

ঢাকা/টিএ