১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

বাংলাদেশ-ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সই

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৮:০৬:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৪১২৩ বার দেখা হয়েছে

দুই দেশের মধ্যে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো ভুটানের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) সই করেছে বাংলাদেশ।

রোববার সকালে নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ভুটানের অর্থ বাণিজ্যমন্ত্রী লোকনাথ শর্মা। খবর ইউএনবির

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং থিম্পু থেকে ভার্চুয়াল সংযোগের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে অংশ নেন। 

এসময় বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, ভুটান প্রান্তে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী টান্ডি দর্জিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কোনো দেশের সঙ্গে প্রথম অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি করল বাংলাদেশ। 

ভুটান বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর সর্বপ্রথম স্বীকৃতি দেয়। স্বীকৃতিদানের পর থেকে সুদীর্ঘ ৫০ বছর যাবত দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য এদিন ভুটানের সঙ্গে পিটিএ স্বাক্ষর করা হলো।

এদিকে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, আগামী দিনে বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পিটিএ বা এফটিএ স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরও ১১ দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০২৪ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। ফলে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ থেকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বর্তমানে প্রাপ্ত বাংলাদেশের কিছু বাণিজ্য সুবিধা লোপ পাবে।

চুক্তিটি স্বাক্ষরের পর থেকে বাংলাদেশ ভুটানের বাজারে ১০০ পণ্যে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাবে। অন্যদিকে, ভুটান বাংলাদেশে ৩৪ পণ্যে এ সুবিধা পাবে। পরবর্তীতে আলোচনার মাধ্যমে আরও পণ্য দুদেশের তালিকায় সংযুক্ত করা হবে।

এ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় পিটিএ-এফটিএ স্বাক্ষরের যাত্রা শুরু হলো।

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে মোট বাণিজ্য ছিল ১২ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তখন বাংলাদেশ শূন্য দশমিক ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি ও একই সময়ে আমদানি করে ১২ দশমিক ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

দুদেশের বাণিজ্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫৭ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়। এ সময়ে বাংলাদেশ রপ্তানি করে ৭ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে ভুটান থেকে আমদানি হয় ৪৯ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

শেয়ার করুন

x
English Version

বাংলাদেশ-ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সই

আপডেট: ০৮:০৬:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২০

দুই দেশের মধ্যে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো ভুটানের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) সই করেছে বাংলাদেশ।

রোববার সকালে নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ভুটানের অর্থ বাণিজ্যমন্ত্রী লোকনাথ শর্মা। খবর ইউএনবির

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং থিম্পু থেকে ভার্চুয়াল সংযোগের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে অংশ নেন। 

এসময় বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, ভুটান প্রান্তে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী টান্ডি দর্জিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কোনো দেশের সঙ্গে প্রথম অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি করল বাংলাদেশ। 

ভুটান বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর সর্বপ্রথম স্বীকৃতি দেয়। স্বীকৃতিদানের পর থেকে সুদীর্ঘ ৫০ বছর যাবত দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য এদিন ভুটানের সঙ্গে পিটিএ স্বাক্ষর করা হলো।

এদিকে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, আগামী দিনে বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পিটিএ বা এফটিএ স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরও ১১ দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০২৪ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। ফলে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ থেকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বর্তমানে প্রাপ্ত বাংলাদেশের কিছু বাণিজ্য সুবিধা লোপ পাবে।

চুক্তিটি স্বাক্ষরের পর থেকে বাংলাদেশ ভুটানের বাজারে ১০০ পণ্যে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাবে। অন্যদিকে, ভুটান বাংলাদেশে ৩৪ পণ্যে এ সুবিধা পাবে। পরবর্তীতে আলোচনার মাধ্যমে আরও পণ্য দুদেশের তালিকায় সংযুক্ত করা হবে।

এ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় পিটিএ-এফটিএ স্বাক্ষরের যাত্রা শুরু হলো।

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে মোট বাণিজ্য ছিল ১২ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তখন বাংলাদেশ শূন্য দশমিক ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি ও একই সময়ে আমদানি করে ১২ দশমিক ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

দুদেশের বাণিজ্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫৭ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়। এ সময়ে বাংলাদেশ রপ্তানি করে ৭ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে ভুটান থেকে আমদানি হয় ৪৯ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।