১০:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাজেট বাস্তবায়ন বড় চ্যালেঞ্জ তবে অসম্ভব নয়

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৩৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জুন ২০২২
  • / ১০২৯৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ জাতীয় বাজেট বাস্তবায়ন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জের। তবে অসম্ভব নয়। ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) নেতারা শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সভাপতি মামুনুর রশিদ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আইসিএমএবির সভাপতি বলেন, ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের বিপরীতে আয় ধরা হয়েছে বাজেটে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। ফলে ঘাটতি থাকবে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। করোনার পর এই বাজেট বাস্তবায়ন সরকারের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ। আইসিএমএবি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওয়াতাধীন প্রফেশনাল অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসাবে সরকারের পাশে থেকে এ বাজেট অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে চায়। তিনি বলেন, বাজেটে ভ্যাট বিধিমালা ২০১৬ মোতাবেক কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টরা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে সহায়ক হিসাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এটি ইতিবাচক। হিসাবব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে ফিন্যান্সিয়াল অডিটের পাশাপাশি কস্ট অডিট বাস্তবায়নের দাবি জানান। পাশের দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে তা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ সময়ে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ করার দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি নিরাপত্তা, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা, শিল্পায়ন, ব্যবসা প্রসার ও পুঁজিবাজার উন্নয়ন, গার্মেন্ট খাতে বিশেষ সুবিধা প্রদান, পরিবহণ শিল্প এবং বিমান পরিবহণ শিল্পের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদানসহ এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয় বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করপোরেট ট্যাক্স পুনর্গঠন এবং বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের আস্থায় আনতে ধারাবাহিক করনীতি ও ব্যক্তিগত করদাতাদের করের হার পুনর্গঠন করারও প্রয়োজন, যাতে স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠী স্বস্তি পায়। এনবিআর-এর ডিজিটালাইজেশন, ট্যাক্স খাত সংস্কার, মহিলা উদ্যোক্তা এবং ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে আরও প্রণোদনা প্রদান জরুরি। মামুনুর রশিদ আরও বলেন, কর কাঠামোতে স্টার্টআপ সেন্ড বক্স একটি নতুন উদ্যোগ। এটি ইতিবাচক। এখানে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য সব ধরনের উদ্যোগকে সমান সুযোগ দেওয়া উচিত।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

বাজেট বাস্তবায়ন বড় চ্যালেঞ্জ তবে অসম্ভব নয়

আপডেট: ১০:৩৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জুন ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ জাতীয় বাজেট বাস্তবায়ন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জের। তবে অসম্ভব নয়। ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) নেতারা শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সভাপতি মামুনুর রশিদ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আইসিএমএবির সভাপতি বলেন, ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের বিপরীতে আয় ধরা হয়েছে বাজেটে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। ফলে ঘাটতি থাকবে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। করোনার পর এই বাজেট বাস্তবায়ন সরকারের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ। আইসিএমএবি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওয়াতাধীন প্রফেশনাল অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসাবে সরকারের পাশে থেকে এ বাজেট অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে চায়। তিনি বলেন, বাজেটে ভ্যাট বিধিমালা ২০১৬ মোতাবেক কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টরা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে সহায়ক হিসাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এটি ইতিবাচক। হিসাবব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে ফিন্যান্সিয়াল অডিটের পাশাপাশি কস্ট অডিট বাস্তবায়নের দাবি জানান। পাশের দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে তা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ সময়ে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ করার দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি নিরাপত্তা, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা, শিল্পায়ন, ব্যবসা প্রসার ও পুঁজিবাজার উন্নয়ন, গার্মেন্ট খাতে বিশেষ সুবিধা প্রদান, পরিবহণ শিল্প এবং বিমান পরিবহণ শিল্পের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদানসহ এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয় বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করপোরেট ট্যাক্স পুনর্গঠন এবং বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের আস্থায় আনতে ধারাবাহিক করনীতি ও ব্যক্তিগত করদাতাদের করের হার পুনর্গঠন করারও প্রয়োজন, যাতে স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠী স্বস্তি পায়। এনবিআর-এর ডিজিটালাইজেশন, ট্যাক্স খাত সংস্কার, মহিলা উদ্যোক্তা এবং ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে আরও প্রণোদনা প্রদান জরুরি। মামুনুর রশিদ আরও বলেন, কর কাঠামোতে স্টার্টআপ সেন্ড বক্স একটি নতুন উদ্যোগ। এটি ইতিবাচক। এখানে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য সব ধরনের উদ্যোগকে সমান সুযোগ দেওয়া উচিত।

ঢাকা/এসএ