০৬:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

বিএনপির সমাবেশে ডিএমপির সাত নির্দেশনা লঙ্ঘন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:২৬:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩
  • / ৪১৬৩ বার দেখা হয়েছে

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ২৩ শর্তে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু আজ বুধবার (১২ জুলাই) এই সমাবেশে ডিএমপির ২৩ নির্দেশনার মধ্যে সাত নির্দেশনাই মানেনি বিএনপি।

ডিএমপির ২৩ শর্তের ৬ নম্বরে বলা হয়, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেকিং করতে হবে। কিন্তু সরেজমিনে দেখা গেছে, বিএনপির সমাবেশ আগত নেতাকর্মীদের চেকিং করার জন্য কোনো মেটাল ডিটেক্টর রাখা হয়নি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ডিএমপির ৪ নম্বর শর্তে বলা হয়, নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে। কিন্তু সমাবেশে আইডি কার্ডসহ কোনো স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন না। তবে, দলটির কিছু নেতাকর্মী সমাবেশে শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে কাজ করেছেন।

ডিএমপির ৫ নম্বর নির্দেশনা বলা হয়, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলের চার দিকে উন্নত রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। কিন্তু বিএনপি সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেনি।

ডিএমপির ৭ নম্বর শর্তে বলা হয়েছে, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে। কিন্তু বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখেনি।

ডিএমপির ১৫ নম্বর শর্তে বলা হয়, অনুমোদিত সময়ের মধ্যে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে। কিন্তু বেলা সাড়ে ৫টায় সমাবেশের প্রধান অতিথি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বক্তব্য শুরু করেন।

ডিএমপির ১৬ নম্বর শর্তে বলা হয়, কোনো অবস্থাতেই মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। কিন্তু বিএনপির সমাবেশের মঞ্চ তৈরি করা হয় নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে। ফলে, বেলা ১১টার পর থেকে ফকিরাপুল থেকে নাইটিঙ্গেল মোড়গামী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আর বেলা ১টার পর থেকে কাকরাইল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় দিকে সড়কে নেতাকর্মীরা অবস্থান নিলে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালকে ডেঙ্গু ডেডিকেটেড করার সিদ্ধান্ত

এসব বিষয়ে বিএনপির কোনো নেতাই নাম উদ্ধৃত হয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিএনপির সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে রাস্তার মধ্যে। তাহলে রাস্তায় কীভাবে গাড়ি চলবে। আর চাইলেও ডিএমপির নির্দেশিত সময়ে সমাবেশ শেষ করা যায় না।

তিনি আরও বলেন, এটা কি কোনো আবদ্ধ জায়গা কিংবা হল রুমে সমাবেশে হচ্ছে নাকি যে হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেক করে প্রবেশ করানো হবে। উন্মুক্ত জায়গায় এসব শর্ত চাইলেও মানা যায় না।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

বিএনপির সমাবেশে ডিএমপির সাত নির্দেশনা লঙ্ঘন

আপডেট: ০৬:২৬:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ২৩ শর্তে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু আজ বুধবার (১২ জুলাই) এই সমাবেশে ডিএমপির ২৩ নির্দেশনার মধ্যে সাত নির্দেশনাই মানেনি বিএনপি।

ডিএমপির ২৩ শর্তের ৬ নম্বরে বলা হয়, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেকিং করতে হবে। কিন্তু সরেজমিনে দেখা গেছে, বিএনপির সমাবেশ আগত নেতাকর্মীদের চেকিং করার জন্য কোনো মেটাল ডিটেক্টর রাখা হয়নি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ডিএমপির ৪ নম্বর শর্তে বলা হয়, নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে। কিন্তু সমাবেশে আইডি কার্ডসহ কোনো স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন না। তবে, দলটির কিছু নেতাকর্মী সমাবেশে শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে কাজ করেছেন।

ডিএমপির ৫ নম্বর নির্দেশনা বলা হয়, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলের চার দিকে উন্নত রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। কিন্তু বিএনপি সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেনি।

ডিএমপির ৭ নম্বর শর্তে বলা হয়েছে, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে। কিন্তু বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখেনি।

ডিএমপির ১৫ নম্বর শর্তে বলা হয়, অনুমোদিত সময়ের মধ্যে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে। কিন্তু বেলা সাড়ে ৫টায় সমাবেশের প্রধান অতিথি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বক্তব্য শুরু করেন।

ডিএমপির ১৬ নম্বর শর্তে বলা হয়, কোনো অবস্থাতেই মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। কিন্তু বিএনপির সমাবেশের মঞ্চ তৈরি করা হয় নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে। ফলে, বেলা ১১টার পর থেকে ফকিরাপুল থেকে নাইটিঙ্গেল মোড়গামী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আর বেলা ১টার পর থেকে কাকরাইল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় দিকে সড়কে নেতাকর্মীরা অবস্থান নিলে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালকে ডেঙ্গু ডেডিকেটেড করার সিদ্ধান্ত

এসব বিষয়ে বিএনপির কোনো নেতাই নাম উদ্ধৃত হয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিএনপির সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে রাস্তার মধ্যে। তাহলে রাস্তায় কীভাবে গাড়ি চলবে। আর চাইলেও ডিএমপির নির্দেশিত সময়ে সমাবেশ শেষ করা যায় না।

তিনি আরও বলেন, এটা কি কোনো আবদ্ধ জায়গা কিংবা হল রুমে সমাবেশে হচ্ছে নাকি যে হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেক করে প্রবেশ করানো হবে। উন্মুক্ত জায়গায় এসব শর্ত চাইলেও মানা যায় না।

ঢাকা/এসএ