০৪:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

বিএসইসির পদক্ষেপে পুঁজিবাজারে কিছুটা স্বস্তি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:২৫:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ মার্চ ২০২২
  • / ৪১২৯ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল  প্রতিবেদক: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব সাড়ে তিন হাজার মাইল দূরত্বে থেকেও ভালোই টের পাওয়া গেছে দেশের পুুঁজিবাজারে। ফলে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স পয়েন্ট হারিয়েছে প্রায় ৫০০। এ অবস্থান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে নানামুখী পদক্ষেপ নিতে হয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি)। নিয়ন্ত্রক সংস্থার পদক্ষেপে এরই মধ্যে ঘুরেও দাঁড়িয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। গত সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসে বড় পতন হলেও পরের তিনদিনে অনেকটা সংশোধন এসেছে পুঁজিবাজারে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

পুঁজিবাজারের পতন থামাতে সাম্প্রতিক সময়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পদক্ষেপগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের দর কমার ক্ষেত্রে ২ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণ ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরামর্শ। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের দর আগের দিনের সমাপনী মূল্যের তুলনায় সর্বোচ্চ ২ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারবে। তবে সিকিউরিটিজের দর বাড়ার ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার আগের মতো ১০ শতাংশই অপরিবর্তিত থাকবে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯১টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২০৭টির। কমেছে ১৫৬টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২৩টির। লেনদেন হয়নি ৫টির। সে হিসাবে সপ্তাহজুড়ে ৫৩ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে আর কমেছে ৪০ শতাংশের দর। সপ্তাহজুড়ে এই দর বৃদ্ধির পেছনে বিএসইসির ভূমিকা মুখ্য ছিল বলে মনে করছেন বাজার-সংশ্লিষ্টরা।

বাজারে উত্থানে ফেরাতে গত সপ্তাহে সব থেকে বেশি ৮ দশমিক ১০ শতাংশ অবদান রেখেছে আইটি খাত। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবদান রেখেছে বস্ত্র খাত।

আলোচিত সপ্তাহের শেষের তিন কার্যদিবসে বাজার উত্থানে মোড় নিলেও সপ্তাহজুড়ে হারানো সূচক ফেরানো সম্ভব হয়নি। সপ্তাহ শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৪২ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৬৬৮ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৬ হাজার ৬৯৬ পয়েন্টে।

অন্য সূচকের মধ্যে ডিএসইর নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৩৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমে ২ হাজার ৪২৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ৪৬৩ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস প্রায় ৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৬ শতাংশ কমে ১ হাজার ৪৩৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৪৪২ পয়েন্টে।

এদিকে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট ৩ হাজার ৯৭২ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার ৬৩৪ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ৩ হাজার ৭৪৫ কোটি ৮৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬২৫ টাকা।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

বিএসইসির পদক্ষেপে পুঁজিবাজারে কিছুটা স্বস্তি

আপডেট: ১২:২৫:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ মার্চ ২০২২

বিজনেস জার্নাল  প্রতিবেদক: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব সাড়ে তিন হাজার মাইল দূরত্বে থেকেও ভালোই টের পাওয়া গেছে দেশের পুুঁজিবাজারে। ফলে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স পয়েন্ট হারিয়েছে প্রায় ৫০০। এ অবস্থান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে নানামুখী পদক্ষেপ নিতে হয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি)। নিয়ন্ত্রক সংস্থার পদক্ষেপে এরই মধ্যে ঘুরেও দাঁড়িয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। গত সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসে বড় পতন হলেও পরের তিনদিনে অনেকটা সংশোধন এসেছে পুঁজিবাজারে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

পুঁজিবাজারের পতন থামাতে সাম্প্রতিক সময়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পদক্ষেপগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের দর কমার ক্ষেত্রে ২ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণ ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরামর্শ। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের দর আগের দিনের সমাপনী মূল্যের তুলনায় সর্বোচ্চ ২ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারবে। তবে সিকিউরিটিজের দর বাড়ার ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার আগের মতো ১০ শতাংশই অপরিবর্তিত থাকবে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯১টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২০৭টির। কমেছে ১৫৬টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২৩টির। লেনদেন হয়নি ৫টির। সে হিসাবে সপ্তাহজুড়ে ৫৩ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে আর কমেছে ৪০ শতাংশের দর। সপ্তাহজুড়ে এই দর বৃদ্ধির পেছনে বিএসইসির ভূমিকা মুখ্য ছিল বলে মনে করছেন বাজার-সংশ্লিষ্টরা।

বাজারে উত্থানে ফেরাতে গত সপ্তাহে সব থেকে বেশি ৮ দশমিক ১০ শতাংশ অবদান রেখেছে আইটি খাত। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবদান রেখেছে বস্ত্র খাত।

আলোচিত সপ্তাহের শেষের তিন কার্যদিবসে বাজার উত্থানে মোড় নিলেও সপ্তাহজুড়ে হারানো সূচক ফেরানো সম্ভব হয়নি। সপ্তাহ শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৪২ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৬৬৮ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৬ হাজার ৬৯৬ পয়েন্টে।

অন্য সূচকের মধ্যে ডিএসইর নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৩৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমে ২ হাজার ৪২৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ৪৬৩ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস প্রায় ৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৬ শতাংশ কমে ১ হাজার ৪৩৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৪৪২ পয়েন্টে।

এদিকে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট ৩ হাজার ৯৭২ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার ৬৩৪ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ৩ হাজার ৭৪৫ কোটি ৮৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬২৫ টাকা।

ঢাকা/টিএ