বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট ও বিপর্যস্ত সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থায় অবনতি হওয়ার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর মাঝে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি বেসরকারি খাতের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। আজ শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এর সভাপতি মো. সামীর সাত্তার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন।

তার ভাষ্যে, আমাদের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, প্রাথমিক জ্বালানি সংকট, যেহেতু আমাদের প্রাথমিক জ্বালানির উৎস মূলত আমদানিনির্ভর। সম্প্রতি খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, যদিও তা তুলনামূলকভাবে কম, তবে সার্বিকভাবে বেসরকারিখাতে এবং বিদ্যুৎ নির্ভর শিল্প-কারখানাসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচলনায় অতিরিক্ত ব্যয়ের বোঝা হিসেবে বিবেচিত হবে। এমনিতেই দেশের বেসরকারিখাত উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং টাকার অবমূল্যায়ন সহ অন্যান্য অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে ইতোমধ্যেই প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্যের অস্থিরতার কারণে সরকারকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে জানিয়ে তিনি আশা করেন, সরকার স্থানীয় শিল্প এবং বেসরকারিখাতের ওপর যেন বেশি মাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুতের মূল্য যৌক্তিকভাবে সমন্বয়ের লক্ষ্যে পরবর্তীতেও কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যেহেতু এটা দৃশ্যমান যে, বাংলাদেশ সরকার প্রতি মাসেই জ্বালানির মূল্য সমন্বয় করার পরিকল্পনা করছে এবং সেই সংক্রান্ত একটি কৌশল নির্ধারণের কাজ চলছে, তাই ঢাকা চেম্বারের সভাপতি সরকারের নিকট আহ্বান করেন যে, সরকার যেন বিদ্যুতের মূল্য সহনশীলভাবে এবং ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করে, যাতে করে, বেসরকারিখাত অপ্রত্যাশিত বর্ধিত ব্যয়ের বোঝা এড়াতে পারে।

আরও পড়ুন: আরও ৫ শতাংশ বাড়তে পারে বিদ্যুতের দাম

ব্যারিস্টার সাত্তার মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল্য বৃদ্ধির হয়তো কোনো বিকল্প নেই, তবুও সরকারের একটি অনুমানযোগ্য মূল্য নির্ধারণ নীতিমালা নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যাতে করে এ ধরনের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট প্রভাব সম্পর্কে বেসরকারি খাত আগে থেকেই প্রস্তুতিসহ তাদের ব্যবসা পরিচালনায় কৌশলী সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

ঢাকা/এসএ