১২:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

বিলে সই না করলে ভয়াবহ পরিস্থিতি, ট্রাম্পকে বাইডেনের সতর্কবার্তা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৪৬:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৪১৪৬ বার দেখা হয়েছে

কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় কংগ্রেসে পাস হওয়া ৯০ হাজার কোটি ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজে সই করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জরুরি ভিত্তিতে আহ্বান জানিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। করোনা মহামারিকালীন বর্ধিত প্যাকেজটিতে স্বাক্ষরে বিলম্বে ‘ভয়াবহ পরিণতি’ সম্পর্কে ট্রাম্পকে সতর্ক করেছেন তিনি।

শনিবার ২৬ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে বাইডেন বলছেন, ‘নিজের দায়িত্বের প্রতি চরম অবেহলা করছেন প্রেসিডেন্ট। যদিও এই বিল নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে। কিন্তু এখন ছাড় দেওয়া খুবই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।’

শনিবারের মধ্যে বিলটিতে সই না করলে লাখ লাখ মার্কিনি বেকার ভাতার মেয়াদ এবং বেকার ভাতা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বেন। একই সঙ্গে অনেকে উচ্ছেদ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দেশটির শ্রম বিভাগের তথ্যমতে,  ট্রাম্পের বর্তমান অবস্থানের কারণে এক কোটি ৪০ লাখ মার্কিন নাগরিক তাদের প্রত্যাশিত বেকার ভাতা থেকে বঞ্চিত হতে চলেছেন। সংকট না কাটলে সরকারের কিছু অংশ তাদের নিয়মিত কাজ বন্ধ করে দিতে পারেন বলেও শঙ্কা করা হচ্ছে।

মার্কিন কংগ্রসে সম্প্রতি পাস হওয়া বিলকে ‘অসম্মানজনক ও অপব্যয়’ বলে আখ্যায়িত করলেও প্রত্যেক মার্কিনির জন্য মাথাপিছু বরাদ্দের হার বাড়ানোর জন্য ট্রাম্প কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘বিলের নাম দেওয়া হয়েছে কোভিড রিলিফ বিল, কিন্তু কোভিডের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্কই নেই।’

প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করে আসছেন, এই বিলটির বড় পরিমাণ অর্থ ‘বিশেষ আগ্রহ’, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও বৈদেশিক সহায়তার পেছনে ব্যয় হবে। সেখানে জীবিকার জন্য যুদ্ধ করে চলা লাখো মার্কিন নাগরিকদের জন্য এককালীন ৬০০ ডলারের প্রণোদনা সহায়তা বেশ কম। এমন দাবি করে ট্রাম্প বলেন, কেন মার্কিন রাজনীতিকরা দেশের বেকার মানুষের জন্য ৬০০ ডলার না দিয়ে ২ হাজার দিতে চান না? আমাদের জনগণকে ডলার দিতে হবে। 

তার মতে এই বিল সংস্কার করতে হবে। জনপ্রতি ৬০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ডলার বা দম্পতিদের জন্য ৪ হাজার ডলার করা। একটি উপযুক্ত বিল তৈরি করে তার কাছে পাঠানোর কথাও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

তবে বিলে এখন পর্যন্ত সই না করায় সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। অনেকে বিলটি ছাড় দেওয়ার কথা বললেও নিজের অবস্থানে অনড় ট্রাম্প।

শেয়ার করুন

x
English Version

বিলে সই না করলে ভয়াবহ পরিস্থিতি, ট্রাম্পকে বাইডেনের সতর্কবার্তা

আপডেট: ১১:৪৬:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০

কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় কংগ্রেসে পাস হওয়া ৯০ হাজার কোটি ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজে সই করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জরুরি ভিত্তিতে আহ্বান জানিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। করোনা মহামারিকালীন বর্ধিত প্যাকেজটিতে স্বাক্ষরে বিলম্বে ‘ভয়াবহ পরিণতি’ সম্পর্কে ট্রাম্পকে সতর্ক করেছেন তিনি।

শনিবার ২৬ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে বাইডেন বলছেন, ‘নিজের দায়িত্বের প্রতি চরম অবেহলা করছেন প্রেসিডেন্ট। যদিও এই বিল নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে। কিন্তু এখন ছাড় দেওয়া খুবই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।’

শনিবারের মধ্যে বিলটিতে সই না করলে লাখ লাখ মার্কিনি বেকার ভাতার মেয়াদ এবং বেকার ভাতা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বেন। একই সঙ্গে অনেকে উচ্ছেদ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দেশটির শ্রম বিভাগের তথ্যমতে,  ট্রাম্পের বর্তমান অবস্থানের কারণে এক কোটি ৪০ লাখ মার্কিন নাগরিক তাদের প্রত্যাশিত বেকার ভাতা থেকে বঞ্চিত হতে চলেছেন। সংকট না কাটলে সরকারের কিছু অংশ তাদের নিয়মিত কাজ বন্ধ করে দিতে পারেন বলেও শঙ্কা করা হচ্ছে।

মার্কিন কংগ্রসে সম্প্রতি পাস হওয়া বিলকে ‘অসম্মানজনক ও অপব্যয়’ বলে আখ্যায়িত করলেও প্রত্যেক মার্কিনির জন্য মাথাপিছু বরাদ্দের হার বাড়ানোর জন্য ট্রাম্প কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘বিলের নাম দেওয়া হয়েছে কোভিড রিলিফ বিল, কিন্তু কোভিডের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্কই নেই।’

প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করে আসছেন, এই বিলটির বড় পরিমাণ অর্থ ‘বিশেষ আগ্রহ’, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও বৈদেশিক সহায়তার পেছনে ব্যয় হবে। সেখানে জীবিকার জন্য যুদ্ধ করে চলা লাখো মার্কিন নাগরিকদের জন্য এককালীন ৬০০ ডলারের প্রণোদনা সহায়তা বেশ কম। এমন দাবি করে ট্রাম্প বলেন, কেন মার্কিন রাজনীতিকরা দেশের বেকার মানুষের জন্য ৬০০ ডলার না দিয়ে ২ হাজার দিতে চান না? আমাদের জনগণকে ডলার দিতে হবে। 

তার মতে এই বিল সংস্কার করতে হবে। জনপ্রতি ৬০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ডলার বা দম্পতিদের জন্য ৪ হাজার ডলার করা। একটি উপযুক্ত বিল তৈরি করে তার কাছে পাঠানোর কথাও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

তবে বিলে এখন পর্যন্ত সই না করায় সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। অনেকে বিলটি ছাড় দেওয়ার কথা বললেও নিজের অবস্থানে অনড় ট্রাম্প।