০২:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বিত তালিকার খসড়া প্রকাশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৫১:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ ২০২১
  • / ১০৬০৬ বার দেখা হয়েছে

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বিত তালিকার খসড়া প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য সম্বলিত ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এম আই এস) কাজ এখনও চলমান রয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করা হয়েছে, জেলা (মহানগরের ক্ষেত্রে) ও উপজেলা প্রশাসন এবং সমাজসেবা অধিদফতরের সরাসরি সহযোগিতায় এরই মধ্যে দেওয়া ইউজার আইডি (User id) ও পাসওয়ার্ড (Password) এর মাধ্যমে প্রস্তুত করা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য সম্বলিত ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এম আই এস) এ মন্ত্রণায়ের স্বীকৃত ৩৩ ধরনের প্রমাণকের মধ্যে যেকোনো একটিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম থাকলে তার বা তাদের তথ্য যোগ করা হয়েছে। এ কার্যক্রম এখনও চলমান।

উপসচিব মো. মতিয়ার রহমান জানান, এম আই এস অপশনটি এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.molwa.gov.bd এর টপ মেনুবারে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ওই এমআইএস মেনুবারে জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, ঠিকানা এবং জন্ম তারিখ স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরবর্তী সুবিধাভোগীদের তথ্য দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি জানান, এম আই এস মেনুবারে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রোফাইলে একটি ইউনিক নম্বরসহ সেই বীর মুক্তিযোদ্ধার সব ধরনের প্রমাণক রয়েছে। যেমন: ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তিবার্তা বা বিভিন্ন শ্রেণির গেজেটে নাম রয়েছে তার নামসহ নম্বরও দেওয়া আছে। ফলে কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম, পরিচিতি বা মুক্তিযোদ্ধা সংক্রান্ত প্রমাণকে তথ্যগত বিভ্রাট থাকলে তা সংশোধন করা যাবে।

এম আই এস-এ প্রকাশিত কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে কেউ চলমান যাচাই ও বাছাই কার্যক্রমের আওতায় থাকলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আই, ২০০২’ এর ৭ (ঝ) ধারা অনুযায়ী ভিন্নরূপ কোনো সুপারিশ করলে পরবর্তীতে তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

২০০৯ সালের আগে প্রকাশিত বেসামরিক গেজেটসমূহ নিয়মিতকরণের লক্ষ্যে যাচাই-বাছাই পরবর্তী প্রতিবেদনে যেসব ক্ষেত্রে প্রমাণকের তথ্য প্রয়োজন, সংশ্লিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তা নিজ দায়িত্বে ওই এম আই এস-এ যোগ করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

এম আই এস-এর ভিত্তিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বিত তালিকা চূড়ান্ত এবং সঠিক ব্যাংক হিসাবে সম্মানী ভাতা দেওয়ার লক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ও বাবার নাম ছাড়া অন্য কোনো তথ্য (ব্যাংক হিসাব সংক্রান্ত তথ্যসহ) সংশোধনের প্রয়োজন থাকলে তা আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে সংশোধন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

একই সঙ্গে কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধার জাতীয় পরিচয়পত্রে বর্ণিত নাম ও বাবার নামের সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণকে বর্ণিত নাম ও বাবার নামে অস্বাভাবিক বিচ্যুতি দেখা গেলে প্রয়োজনে মন্ত্রণালয়ের মতামত নেওয়া যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বিত তালিকার খসড়া প্রকাশ

আপডেট: ০৫:৫১:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ ২০২১

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বিত তালিকার খসড়া প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য সম্বলিত ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এম আই এস) কাজ এখনও চলমান রয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করা হয়েছে, জেলা (মহানগরের ক্ষেত্রে) ও উপজেলা প্রশাসন এবং সমাজসেবা অধিদফতরের সরাসরি সহযোগিতায় এরই মধ্যে দেওয়া ইউজার আইডি (User id) ও পাসওয়ার্ড (Password) এর মাধ্যমে প্রস্তুত করা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য সম্বলিত ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এম আই এস) এ মন্ত্রণায়ের স্বীকৃত ৩৩ ধরনের প্রমাণকের মধ্যে যেকোনো একটিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম থাকলে তার বা তাদের তথ্য যোগ করা হয়েছে। এ কার্যক্রম এখনও চলমান।

উপসচিব মো. মতিয়ার রহমান জানান, এম আই এস অপশনটি এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.molwa.gov.bd এর টপ মেনুবারে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ওই এমআইএস মেনুবারে জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, ঠিকানা এবং জন্ম তারিখ স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরবর্তী সুবিধাভোগীদের তথ্য দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি জানান, এম আই এস মেনুবারে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রোফাইলে একটি ইউনিক নম্বরসহ সেই বীর মুক্তিযোদ্ধার সব ধরনের প্রমাণক রয়েছে। যেমন: ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তিবার্তা বা বিভিন্ন শ্রেণির গেজেটে নাম রয়েছে তার নামসহ নম্বরও দেওয়া আছে। ফলে কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম, পরিচিতি বা মুক্তিযোদ্ধা সংক্রান্ত প্রমাণকে তথ্যগত বিভ্রাট থাকলে তা সংশোধন করা যাবে।

এম আই এস-এ প্রকাশিত কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে কেউ চলমান যাচাই ও বাছাই কার্যক্রমের আওতায় থাকলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আই, ২০০২’ এর ৭ (ঝ) ধারা অনুযায়ী ভিন্নরূপ কোনো সুপারিশ করলে পরবর্তীতে তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

২০০৯ সালের আগে প্রকাশিত বেসামরিক গেজেটসমূহ নিয়মিতকরণের লক্ষ্যে যাচাই-বাছাই পরবর্তী প্রতিবেদনে যেসব ক্ষেত্রে প্রমাণকের তথ্য প্রয়োজন, সংশ্লিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তা নিজ দায়িত্বে ওই এম আই এস-এ যোগ করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

এম আই এস-এর ভিত্তিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বিত তালিকা চূড়ান্ত এবং সঠিক ব্যাংক হিসাবে সম্মানী ভাতা দেওয়ার লক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ও বাবার নাম ছাড়া অন্য কোনো তথ্য (ব্যাংক হিসাব সংক্রান্ত তথ্যসহ) সংশোধনের প্রয়োজন থাকলে তা আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে সংশোধন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

একই সঙ্গে কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধার জাতীয় পরিচয়পত্রে বর্ণিত নাম ও বাবার নামের সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণকে বর্ণিত নাম ও বাবার নামে অস্বাভাবিক বিচ্যুতি দেখা গেলে প্রয়োজনে মন্ত্রণালয়ের মতামত নেওয়া যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: