০৮:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

বুধবার থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:০৮:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩
  • / ৪১৬৭ বার দেখা হয়েছে

সিলেট-তামাবিল সড়কে নির্বিঘ্নে বাস চলাচল করতে দেওয়া ও প্রশাসন কর্তৃক কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে আগামীকাল বুধবার (১২ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সিলেট জেলায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।

আজ মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির পলাশ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, জৈন্তাপুর ১৭ পরগনা কি দেশের ভেতর আরেকটি রাষ্ট্র যে তারা তাদের মতো করে নিয়ম কানুন করবে। আমরা সরকারকে ট্যাক্স দিয়ে রাস্তায় গাড়ি নামিয়েছি। সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহতের ঘটনা দুঃখজনক। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটি এখনো পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়নি। সেটি সালিশ কমিটির হেফাজতে কেন থাকবে। পুলিশ আগে গাড়িটি তাদের হেফাজতে নেবে এটিই আমরা চাই। আর যারা আমাদের গাড়ি চলতে দেবে না বলে হুমকি দেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে। আজ আমরা জেলার সংগঠন ও মালিকপক্ষকে নিয়ে বসে আগামীকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য শুধুমাত্র সিলেট জেলায় পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছি। আগামীকালকের মধ্যে যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেয় তবে আমরা বিভাগীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বসবো। পরবর্তী করণীয় কী হবে তা সেই বৈঠকে নির্ধারণ হবে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৭ জুলাই) রাত সাড়ে ১০ টায় সিলেট-তামাবিল সড়কের দরবস্ত এলাকায় বাস ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে পাঁচজন মারা যান। এর পরদিন শনিবার রাতে জৈন্তাপুর ১৭ পরগনার সালিশ কমিটির এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৯ জুলাই থেকে সিলেট তামাবিল সড়কে সব ধরনের বাস মিনিবাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ১০ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জৈন্তাপুর -কানাইঘাট-গোয়াইনঘাট এলাকায় সব ধরনের বাস-মিনিবাস বন্ধের ঘোষণা দেয় জৈন্তাপুর ১৭ পরগনার সালিশ কমিটি।

আরও পড়ুন: ৯৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিএসসিসি’র বিশেষ অভিযান

১০ জুলাই রাতে জৈন্তাপুর ১৭ পরগনার সালিশ কমিটির বৈঠক থেকে তিনটি দাবি জানানো হয়। সেগুলো হচ্ছে- ১৭ পরগনার কাছে পরিবহন শ্রমিক নেতা ময়নুল ও মালিক সমিতি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষমা চাওয়ার আগ পর্যন্ত উত্তর সিলেটে তামাবিল রোড, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট রোডে বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। মালিক সমিতি নিজেই গাড়ি বন্ধ করেছে তাই ক্ষমা চাওয়ার পর পুনরায় বাস চালাতে চাইলে ১৭ পরগনার অনুমতি নিয়েই বাস চালাতে হবে। বাস ব্যতীত সকল গাড়ি চলাচল করবে। যাদি চলাচলে কেউ বাধা দেয় তাহলে ১৭ পরগনার আপামর জনতা তা প্রতিহত করবে। এমন ঘোষণার প্রেক্ষিতে পুরো জেলায় পরিবহন শ্রমিক ও মালিক সংগঠন কর্তৃক ধর্মঘট আহ্বান করা হয়।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

বুধবার থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট

আপডেট: ০৭:০৮:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩

সিলেট-তামাবিল সড়কে নির্বিঘ্নে বাস চলাচল করতে দেওয়া ও প্রশাসন কর্তৃক কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে আগামীকাল বুধবার (১২ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সিলেট জেলায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।

আজ মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির পলাশ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, জৈন্তাপুর ১৭ পরগনা কি দেশের ভেতর আরেকটি রাষ্ট্র যে তারা তাদের মতো করে নিয়ম কানুন করবে। আমরা সরকারকে ট্যাক্স দিয়ে রাস্তায় গাড়ি নামিয়েছি। সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহতের ঘটনা দুঃখজনক। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটি এখনো পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়নি। সেটি সালিশ কমিটির হেফাজতে কেন থাকবে। পুলিশ আগে গাড়িটি তাদের হেফাজতে নেবে এটিই আমরা চাই। আর যারা আমাদের গাড়ি চলতে দেবে না বলে হুমকি দেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে। আজ আমরা জেলার সংগঠন ও মালিকপক্ষকে নিয়ে বসে আগামীকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য শুধুমাত্র সিলেট জেলায় পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছি। আগামীকালকের মধ্যে যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেয় তবে আমরা বিভাগীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বসবো। পরবর্তী করণীয় কী হবে তা সেই বৈঠকে নির্ধারণ হবে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৭ জুলাই) রাত সাড়ে ১০ টায় সিলেট-তামাবিল সড়কের দরবস্ত এলাকায় বাস ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে পাঁচজন মারা যান। এর পরদিন শনিবার রাতে জৈন্তাপুর ১৭ পরগনার সালিশ কমিটির এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৯ জুলাই থেকে সিলেট তামাবিল সড়কে সব ধরনের বাস মিনিবাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ১০ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জৈন্তাপুর -কানাইঘাট-গোয়াইনঘাট এলাকায় সব ধরনের বাস-মিনিবাস বন্ধের ঘোষণা দেয় জৈন্তাপুর ১৭ পরগনার সালিশ কমিটি।

আরও পড়ুন: ৯৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিএসসিসি’র বিশেষ অভিযান

১০ জুলাই রাতে জৈন্তাপুর ১৭ পরগনার সালিশ কমিটির বৈঠক থেকে তিনটি দাবি জানানো হয়। সেগুলো হচ্ছে- ১৭ পরগনার কাছে পরিবহন শ্রমিক নেতা ময়নুল ও মালিক সমিতি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষমা চাওয়ার আগ পর্যন্ত উত্তর সিলেটে তামাবিল রোড, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট রোডে বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। মালিক সমিতি নিজেই গাড়ি বন্ধ করেছে তাই ক্ষমা চাওয়ার পর পুনরায় বাস চালাতে চাইলে ১৭ পরগনার অনুমতি নিয়েই বাস চালাতে হবে। বাস ব্যতীত সকল গাড়ি চলাচল করবে। যাদি চলাচলে কেউ বাধা দেয় তাহলে ১৭ পরগনার আপামর জনতা তা প্রতিহত করবে। এমন ঘোষণার প্রেক্ষিতে পুরো জেলায় পরিবহন শ্রমিক ও মালিক সংগঠন কর্তৃক ধর্মঘট আহ্বান করা হয়।

ঢাকা/টিএ