০৩:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

ব্যাংকে টাকা উত্তোলনে গ্রাহকের ভিড়

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:২৭:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১
  • / ৪১৪৫ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। মূলত ঈদুল আজহার আগে কোরবানির পশু কেনা-বেচা ও গ্রামে যাতায়াতের সুবিধার্থে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এজন্য ব্যাংক লেনদেনের সময়েও পরিবর্তন আনা হয়েছে। ঈদের আগের তিনদিন অর্থাৎ আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই), রোববার (১৮ জুলাই) ও সোমবার (১৯ জুলাই) ব্যাংক লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ব্যাংকের আনুষঙ্গিক কাজ চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

অন্যদিকে ঈদুল আজহার আর পাঁচদিন বাকি রয়েছে। এরই মধ্যে রাজধানীর বাজারগুলোতে কোরবানির পশু চলে এসেছে। তাছাড়া মার্কেটগুলোও আজ থেকে খোলা রয়েছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যাংকগুলোর প্রায় প্রতিটি শাখায় লেনদেনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। কোনো কোনো শাখাতে ব্যাংকের বাইরেও চলে এসেছে গ্রাহকের সারি। এটিএম বুথেও ভিড় লক্ষ করা গেছে গ্রাহকের।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ব্যাংকাররা বলছেন, ঈদের আগে কোরবানির পশু ও নিত্যপণ্য কেনার জন্যই গ্রাহক নগদ টাকা উত্তোলনের জন্য ভিড় করছেন। আর গ্রাহকরা বলছেন, কোরবানির এখনো কয়েকদিন বাকি থাকলেও আজ মার্কেট খোলা হচ্ছে, বাজারে কোরবানির পশুও চলে এসেছে। বাড়তি চাপ নিতে চান না, আগেই সব কিনতে চান। এজন্য তো নগদ টাকার প্রয়োজন হবে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এদিন মতিঝিল ব্যাংক পাড়ার প্রায় প্রতিটি ব্যাংকের শাখাতেই রয়েছে গ্রাহকের সবর উপস্থিতি। সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ করা গেছে সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখায়। অন্যদিকে মতিঝিলের বাইরে পল্টন, শান্তিনগর, মগবাজার, কারওয়ান বাজার, গুলশান, রামপুরা, বাড্ডা এলাকাতেও রয়েছে গ্রাহকের উপস্থিতি।

এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আজ ব্যাংক খোলার পর পরই গ্রাহকের উপস্থিতি রয়েছে। মূলত কোরবানির পশু কেনা ও অন্যান্য কেনাকাটা করতে তারা নগদ টাকা উত্তোলন করছেন। গ্রাহকের কেউ কেউ নতুন টাকার জন্যও এসেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন গ্রাহকরা ঘরে আটকা ছিলেন। আজ সমস্ত পরিবহন চলছে, এ অবস্থায় তারা ব্যাংকমুখী হচ্ছেন। তাছাড়া আমাদের ব্যাংকেও শতভাগ কর্মকর্তারা আজ উপস্থিত রয়েছেন গ্রাহকদের সেবা দেয়ার জন্য।’

সাজিদ নামে ইস্টার্ন ব্যাংকের বাড্ডা শাখায় আসা এক গ্রাহক বলেন, আজ থেকে সব কিছুই অনেকটা স্বাভবিক হয়েছে। অন্যদিকে করোনাভাইরাসের আক্রমণ তো কমেনি। তাই আগেই কেনাকাটা ও কোরবানির পশু কেনার কাজটা সেরে নিতে চাই। এজন্য নগদ টাকার প্রয়োজন, সেজন্যই আজ ব্যাংকে আসা। তবে ব্যাংকে এসে দেখি আমার মতো আরও অনেকেই এসেছেন।’

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x

ব্যাংকে টাকা উত্তোলনে গ্রাহকের ভিড়

আপডেট: ০২:২৭:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। মূলত ঈদুল আজহার আগে কোরবানির পশু কেনা-বেচা ও গ্রামে যাতায়াতের সুবিধার্থে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এজন্য ব্যাংক লেনদেনের সময়েও পরিবর্তন আনা হয়েছে। ঈদের আগের তিনদিন অর্থাৎ আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই), রোববার (১৮ জুলাই) ও সোমবার (১৯ জুলাই) ব্যাংক লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ব্যাংকের আনুষঙ্গিক কাজ চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

অন্যদিকে ঈদুল আজহার আর পাঁচদিন বাকি রয়েছে। এরই মধ্যে রাজধানীর বাজারগুলোতে কোরবানির পশু চলে এসেছে। তাছাড়া মার্কেটগুলোও আজ থেকে খোলা রয়েছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যাংকগুলোর প্রায় প্রতিটি শাখায় লেনদেনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। কোনো কোনো শাখাতে ব্যাংকের বাইরেও চলে এসেছে গ্রাহকের সারি। এটিএম বুথেও ভিড় লক্ষ করা গেছে গ্রাহকের।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ব্যাংকাররা বলছেন, ঈদের আগে কোরবানির পশু ও নিত্যপণ্য কেনার জন্যই গ্রাহক নগদ টাকা উত্তোলনের জন্য ভিড় করছেন। আর গ্রাহকরা বলছেন, কোরবানির এখনো কয়েকদিন বাকি থাকলেও আজ মার্কেট খোলা হচ্ছে, বাজারে কোরবানির পশুও চলে এসেছে। বাড়তি চাপ নিতে চান না, আগেই সব কিনতে চান। এজন্য তো নগদ টাকার প্রয়োজন হবে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এদিন মতিঝিল ব্যাংক পাড়ার প্রায় প্রতিটি ব্যাংকের শাখাতেই রয়েছে গ্রাহকের সবর উপস্থিতি। সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ করা গেছে সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখায়। অন্যদিকে মতিঝিলের বাইরে পল্টন, শান্তিনগর, মগবাজার, কারওয়ান বাজার, গুলশান, রামপুরা, বাড্ডা এলাকাতেও রয়েছে গ্রাহকের উপস্থিতি।

এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আজ ব্যাংক খোলার পর পরই গ্রাহকের উপস্থিতি রয়েছে। মূলত কোরবানির পশু কেনা ও অন্যান্য কেনাকাটা করতে তারা নগদ টাকা উত্তোলন করছেন। গ্রাহকের কেউ কেউ নতুন টাকার জন্যও এসেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন গ্রাহকরা ঘরে আটকা ছিলেন। আজ সমস্ত পরিবহন চলছে, এ অবস্থায় তারা ব্যাংকমুখী হচ্ছেন। তাছাড়া আমাদের ব্যাংকেও শতভাগ কর্মকর্তারা আজ উপস্থিত রয়েছেন গ্রাহকদের সেবা দেয়ার জন্য।’

সাজিদ নামে ইস্টার্ন ব্যাংকের বাড্ডা শাখায় আসা এক গ্রাহক বলেন, আজ থেকে সব কিছুই অনেকটা স্বাভবিক হয়েছে। অন্যদিকে করোনাভাইরাসের আক্রমণ তো কমেনি। তাই আগেই কেনাকাটা ও কোরবানির পশু কেনার কাজটা সেরে নিতে চাই। এজন্য নগদ টাকার প্রয়োজন, সেজন্যই আজ ব্যাংকে আসা। তবে ব্যাংকে এসে দেখি আমার মতো আরও অনেকেই এসেছেন।’

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: