০৯:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ভর্তির ৫ দিনের মধ্যেই মারা যায় ৪৮ শতাংশ করোনা রোগী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৩৬:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪১৩২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) রোগের তীব্রতা আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর)। একইসঙ্গে আক্রান্ত রোগীরা খুব দ্রুত মারা যাচ্ছেন। সংস্থাটি বলছে, হাসপাতালে ভর্তির ৫ দিনেই মারা যাচ্ছে ৪৮ শতাংশ করোনা রোগী।

করোনার বিভিন্ন দিক নিয়ে করা একটি গবেষণার তথ্য শনিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে।

২৮ জানুয়ারি থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে তথ্য পর্যালোচনা করে আইইডিসিআর বলছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার ৪৪ শতাংশ। এ সময়ে আক্রান্ত রোগীদের প্রায় বড় অংশ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকিরা (৩৩ শতাংশ) প্রাতিষ্ঠানিক বা হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। আর হাসপাতালে করোনায় মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পাঁচ দিনের মধ্যে মারা গেছেন। আর ৫ থেকে ১০ দিনের ভেতরে মারা গেছেন ১৬ শতাংশ।

আইইডিসিআরের তথ্য বলছে, কোভিড-১৯ মহামারিতে গেল মার্চে মৃতের সংখ্যা ছিল ৬৩৮, যা এপ্রিলের প্রথম ১৫ দিনে এসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪১–এ। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ৩২ দশমিক ২ শতাংশ।

হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মৃত্যু পর্যালোচনা করে আইইডিসিআর বলছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতদের মধ্যে ৫২ শতাংশ উপসর্গ শুরুর ৫ দিনের মাথায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ২৬ শতাংশ উপসর্গ শুরুর ১০ দিনের মাথায় হাসপাতালে ভর্তি হন। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে উপসর্গ শুরুর ১১ থেকে ১৫ দিনের মাথায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১২ শতাংশ।

আইইডিসিআরের গবেষণা প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হলো-
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ বিশ্বমহামারিতে মৃত্যুর কারণগুলাে আইইডিসিআর নিয়মিত পর্যালােচনা করে থাকে। কারণগুলাে চিহ্নিত করে মৃত্যু কমিয়ে আনাই এর উদ্দেশ্য। কোভিড-১৯ মহামারিতে ২০২১ সালের মার্চে মৃতের সংখ্যা ছিল ৬৩৮, যা এপ্রিলে (১৫ এপ্রিল) বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৯৪১-এ। মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি ৩২.২ শতাংশ। অন্যদিকে শুধু ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে তার আগের বছরের সর্বোচ্চ হারের চেয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি মৃত্যুবরণ করেছেন (৩০ জুন, ২০২০ মৃতের সংখ্যা ৬৪ জন।

২৮ জানুয়ারি থেকে এপ্রিল ১৫, ২০২১ এর তথ্য পর্যালােচনায় দেখা যায়, কোভিড-১৯। রােগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার ছিল ৪৪ শতাংশ অর্থাৎ এ সময় আক্রান্ত রােগীদের প্রায় বড় অংশ হাসপাতালে ভর্তি, বাকিরা প্রাতিষ্ঠানিক (৩৩ শতাংশ) বা হােম আইসলেশন এ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত মৃত রােগীদের ৫২ শতাংশ উপসর্গ শুরুর ৫ দিনের মধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। ২৬ শতাংশ উপসর্গ শুরুর ৫-১০ দিনের মধ্যেই ভর্তি হয়েছিল। ১২ শতাংশ ভর্তি হয় উপসর্গ শুরুর ১১- ১৫ দিনের মধ্যে। এ উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে কোভিড-১৯ রােগের তীব্রতা আরও বেড়েছে।

কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত মৃত রােগীদের ৪৮ শতাংশ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ৫ দিনের ভিতরে মৃত্যুবরণ করেছেন। ১৬ শতাংশ মৃত্যুবরণ করেন ভর্তি হওয়ার ৫-১০ দিনের ভিতরে। এই উপাত্তের বিশ্লেষণেও দেখছি যে কোভিড-১৯ রােগী খুব দ্রুত মৃত্যুবরণ করছেন।

গত বছরের জুলাই মাসে যখন কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট মৃত্যুহার সর্বোচ্চ ছিল সে সময়ে নারী-পুরুষের মৃত্যুর (২২৬/৯৮২) অনুপাত ছিল ১:৩.৫। এ বছরের এপ্রিলে এসে দেখা যাচ্ছে যে নারী-পুরুষের মৃত্যুর (২৬৩/৬১৪) অনুপাত ১:২.২৩। অর্থাৎ গত বছরের চাইতে নারী বেশি হারে মৃত্যুবরণ করছেন।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

ভর্তির ৫ দিনের মধ্যেই মারা যায় ৪৮ শতাংশ করোনা রোগী

আপডেট: ১২:৩৬:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) রোগের তীব্রতা আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর)। একইসঙ্গে আক্রান্ত রোগীরা খুব দ্রুত মারা যাচ্ছেন। সংস্থাটি বলছে, হাসপাতালে ভর্তির ৫ দিনেই মারা যাচ্ছে ৪৮ শতাংশ করোনা রোগী।

করোনার বিভিন্ন দিক নিয়ে করা একটি গবেষণার তথ্য শনিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে।

২৮ জানুয়ারি থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে তথ্য পর্যালোচনা করে আইইডিসিআর বলছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার ৪৪ শতাংশ। এ সময়ে আক্রান্ত রোগীদের প্রায় বড় অংশ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকিরা (৩৩ শতাংশ) প্রাতিষ্ঠানিক বা হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। আর হাসপাতালে করোনায় মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পাঁচ দিনের মধ্যে মারা গেছেন। আর ৫ থেকে ১০ দিনের ভেতরে মারা গেছেন ১৬ শতাংশ।

আইইডিসিআরের তথ্য বলছে, কোভিড-১৯ মহামারিতে গেল মার্চে মৃতের সংখ্যা ছিল ৬৩৮, যা এপ্রিলের প্রথম ১৫ দিনে এসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪১–এ। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ৩২ দশমিক ২ শতাংশ।

হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মৃত্যু পর্যালোচনা করে আইইডিসিআর বলছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতদের মধ্যে ৫২ শতাংশ উপসর্গ শুরুর ৫ দিনের মাথায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ২৬ শতাংশ উপসর্গ শুরুর ১০ দিনের মাথায় হাসপাতালে ভর্তি হন। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে উপসর্গ শুরুর ১১ থেকে ১৫ দিনের মাথায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১২ শতাংশ।

আইইডিসিআরের গবেষণা প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হলো-
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ বিশ্বমহামারিতে মৃত্যুর কারণগুলাে আইইডিসিআর নিয়মিত পর্যালােচনা করে থাকে। কারণগুলাে চিহ্নিত করে মৃত্যু কমিয়ে আনাই এর উদ্দেশ্য। কোভিড-১৯ মহামারিতে ২০২১ সালের মার্চে মৃতের সংখ্যা ছিল ৬৩৮, যা এপ্রিলে (১৫ এপ্রিল) বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৯৪১-এ। মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি ৩২.২ শতাংশ। অন্যদিকে শুধু ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে তার আগের বছরের সর্বোচ্চ হারের চেয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি মৃত্যুবরণ করেছেন (৩০ জুন, ২০২০ মৃতের সংখ্যা ৬৪ জন।

২৮ জানুয়ারি থেকে এপ্রিল ১৫, ২০২১ এর তথ্য পর্যালােচনায় দেখা যায়, কোভিড-১৯। রােগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার ছিল ৪৪ শতাংশ অর্থাৎ এ সময় আক্রান্ত রােগীদের প্রায় বড় অংশ হাসপাতালে ভর্তি, বাকিরা প্রাতিষ্ঠানিক (৩৩ শতাংশ) বা হােম আইসলেশন এ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত মৃত রােগীদের ৫২ শতাংশ উপসর্গ শুরুর ৫ দিনের মধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। ২৬ শতাংশ উপসর্গ শুরুর ৫-১০ দিনের মধ্যেই ভর্তি হয়েছিল। ১২ শতাংশ ভর্তি হয় উপসর্গ শুরুর ১১- ১৫ দিনের মধ্যে। এ উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে কোভিড-১৯ রােগের তীব্রতা আরও বেড়েছে।

কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত মৃত রােগীদের ৪৮ শতাংশ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ৫ দিনের ভিতরে মৃত্যুবরণ করেছেন। ১৬ শতাংশ মৃত্যুবরণ করেন ভর্তি হওয়ার ৫-১০ দিনের ভিতরে। এই উপাত্তের বিশ্লেষণেও দেখছি যে কোভিড-১৯ রােগী খুব দ্রুত মৃত্যুবরণ করছেন।

গত বছরের জুলাই মাসে যখন কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট মৃত্যুহার সর্বোচ্চ ছিল সে সময়ে নারী-পুরুষের মৃত্যুর (২২৬/৯৮২) অনুপাত ছিল ১:৩.৫। এ বছরের এপ্রিলে এসে দেখা যাচ্ছে যে নারী-পুরুষের মৃত্যুর (২৬৩/৬১৪) অনুপাত ১:২.২৩। অর্থাৎ গত বছরের চাইতে নারী বেশি হারে মৃত্যুবরণ করছেন।

ঢাকা/এসএ