০৪:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

মরক্কোয় ভূমিকম্পে প্রাণহানি দুই হাজার ছাড়াল

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪২০৬ বার দেখা হয়েছে

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মরক্কোয় প্রাণহানি দুই হাজার ছাড়িয়েছে। গুরুতর আহত আরও প্রায় দেড় হাজার মানুষ। উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী।

বিগত একশ বছরেও এমন ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখেননি দেশটির বাসিন্দারা। মাত্র ২০ সেকেন্ডেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় কয়েকটি শহর। অনেকে ঘুমের মধ্যেই প্রাণ হারান। খবর রয়টার্সের।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এই ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে দেশটির আল হাউজ প্রদেশে। বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন হাজার-হাজার মানুষ। এখনো বহু প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় পৌঁছাতে পারেনি জরুরি বিভাগের সদস্যরা। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দুর্যোগকবলিত এলাকাগুলোয়।

স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টা ১১ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। প্রথম ভূমিকম্পটির ১৯ মিনিট পর আরেকটি ভূকম্পন হয়। রিখটার স্কেলে দ্বিতীয় ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯। রাতে প্রাণরক্ষায় অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। শনিবারও শত শত মানুষকে সড়কের পাশে বসে থাকতে দেখা গেছে।

আরও পড়ুন: সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি মোদি-বাইডেনের

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার তথ্যমতে, মরক্কোর চতুর্থ বৃহত্তম শহর মারাকেচ থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে আটলাস পর্বতমালায় ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার।

মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মারাকেচ, আল হাউজ, ওয়ারজাজেট, আজিলাল, চিচাউয়া, তারউদান্ত এলাকায় বেশি ক্ষতি হয়েছে। বেশিরভাগ প্রাণহানি ঘটেছে পাহাড়ি এলাকায়, যেখানে দ্রুত পৌঁছানো কঠিন।

তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। আশ্রয়ের ব্যবস্থা, খাবারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তার নির্দেশ দেন তিনি।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

মরক্কোয় ভূমিকম্পে প্রাণহানি দুই হাজার ছাড়াল

আপডেট: ১১:২৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মরক্কোয় প্রাণহানি দুই হাজার ছাড়িয়েছে। গুরুতর আহত আরও প্রায় দেড় হাজার মানুষ। উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী।

বিগত একশ বছরেও এমন ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখেননি দেশটির বাসিন্দারা। মাত্র ২০ সেকেন্ডেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় কয়েকটি শহর। অনেকে ঘুমের মধ্যেই প্রাণ হারান। খবর রয়টার্সের।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এই ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে দেশটির আল হাউজ প্রদেশে। বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন হাজার-হাজার মানুষ। এখনো বহু প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় পৌঁছাতে পারেনি জরুরি বিভাগের সদস্যরা। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দুর্যোগকবলিত এলাকাগুলোয়।

স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টা ১১ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। প্রথম ভূমিকম্পটির ১৯ মিনিট পর আরেকটি ভূকম্পন হয়। রিখটার স্কেলে দ্বিতীয় ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯। রাতে প্রাণরক্ষায় অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। শনিবারও শত শত মানুষকে সড়কের পাশে বসে থাকতে দেখা গেছে।

আরও পড়ুন: সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি মোদি-বাইডেনের

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার তথ্যমতে, মরক্কোর চতুর্থ বৃহত্তম শহর মারাকেচ থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে আটলাস পর্বতমালায় ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার।

মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মারাকেচ, আল হাউজ, ওয়ারজাজেট, আজিলাল, চিচাউয়া, তারউদান্ত এলাকায় বেশি ক্ষতি হয়েছে। বেশিরভাগ প্রাণহানি ঘটেছে পাহাড়ি এলাকায়, যেখানে দ্রুত পৌঁছানো কঠিন।

তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। আশ্রয়ের ব্যবস্থা, খাবারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তার নির্দেশ দেন তিনি।

ঢাকা/এসএ